বর্তমানে পাবজি ফ্রী ফায়ার গেম ইত্যাদি সকল গেম গুলো অনেক জনপ্রিয় এবং আমরা প্রায়ই খেলে থাকি আবার চারপাশে যদি আমরা একটু খেয়াল করে দেখি তবে দেখা যায় অধিকাংশ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা থেকে শুরু করে একদম বয়স্ক পুরুষ পর্যন্ত এ ধরনের গেম গুলো খেলে থাকে এগুলো খুবই জনপ্রিয় গেম যেগুলো সারা বিশ্বে খুবই পরিচিত। আর এ ধরনের গেম খেলার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে সুইসাইড পর্যন্ত করেছে এবং এ ধরনের গেমে আসক্ত হয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিংবা অনেকে এ ধরনের গেম আসক্ত হওয়ার কারণে মারা গিয়েছেন এমন কিছু ডেঞ্জারাস গেমস রয়েছে। ব্লু হোয়েল এর মত নামক আপনারা হয়তো শুনেছেন এই গেমস্ এর নাম যেটা একটি মরণব্যাধি গেম যে গেমটা খেলার পর অনেকেই মারা যায় এই গেমটা খেলার পর এই গেমস থেকে কেউ বের হয়ে আসতে পারে না। যাইহোক আমরা সামনে এগুলো বলবো না। গেইম খেলার উপকারিতা নিয়ে কথা বলার আগে কিছু কথা বলতে হয় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গেমস খেলে তাকে এমনকি আমরা গেমস খেলে থাকি কিন্তু গেমস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলা মোটেও ঠিক নয়।তারপরেও অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে আর আমরা সাধারণত জেনে থাকি বা জানি যে গেমস খেলা খুবই ক্ষতিকারক এবং গেমস খেলা অপকারিতা রয়েছে গেমস খেলা আমাদের জন্য আমাদের শরীরের জন্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের কিছু উপকারিতা বলবো গেম সম্পর্কে অর্থাৎ গেম খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়ে থাকে বা কি কি উপকার হতে পারে চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমরা আমাদের টপিকে চলে যায়।
একাকীত্ব দূর করেঃ
গেমস খেলে আমাদের একাকীত্ব দূর করা যায়। অনেকে আছেন যারা একা থাকলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা চলে আসে। তাদের মস্তিষ্কে সাধারণত এটা হয়ে থাকে তাদের টেনশনের কারণে তারা যদি গেমস খেলে তাহলে তাদের এই ধরনের চিন্তাধারা বা তাদের মস্তিষ্কে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা কখনোই আসবেনা এবং তার টেনশন কমে যাবে এবং তার অনেক ভালো লাগবে। একা থাকলে বিভিন্ন ধরনের কষ্টের কথা মনে পড়ে এবং সে সময় যদি আমরা গেমস খেলি এবং গেমস এর ভিতরে যদি মনোযোগ দিয়ে থাকি তবে আমাদের মস্তিষ্কে অন্য ধরনের কোন চিন্তাধারা বা এধরনের কোন চিন্তাধারা কখনোই আসবেনা। তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা কখনই গেমসের আসক্ত না হয়ে যায়। কখনোই গেমসে আসক্ত হওয়া যাবে না অর্থাৎ গেমটিকে আমাদের নেশা বানানো যাবেনা।
স্থিতিশীলতার বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করেঃ
ভিডিও গেমস সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে খুবই উপকারী আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। মনে করেন আমরা একটা মিশন টাইপের গেম খেলতেছি সেক্ষেত্রে আমরা যখন একটা মিশন কমপ্লিট করে ফেলি' তখন আমাদেরকে আরেকটা মিশন কমপ্লিট করতে বলা হয়। তখন আমাদের মস্তিষ্ক আমাদেরকে ওই সেকেন্ড যে মিশন কার কথা বলা হয়েছে ওই মিশন কমপ্লিট করার জন্য আমাদের সৃজনশীলতার প্রয়োজন হয় এমন কিছু টাইপ এর গেমস রয়েছে যেগুলো ব্রেইন ভিত্তিক অর্থাৎ আপনাকে ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে গেমসগুলোর লেভেল কমপ্লিট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আমাদের এ লেভেল কমপ্লিট করার চেষ্টা করি যে কারণে আমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন উপায় বের করি এবং বিভিন্ন ভাবে প্রচেষ্টা করিবার চেষ্টা করে থাকে এই লেবেলগুলো কে কমপ্লিট করার জন্য। আর যেহেতু এগুলো ব্রেইন মূলক অর্থাৎ মেধাকে কাজে লাগিয়ে এ গেমসগুলো খেলার জন্য বানিয়ে বানানো হয়েছে এই গেমগুলো আমরা খেলতে পারি এবং আমাদের সৃজনশীলতার উন্নতি ঘটাতে পারি। তবে আমি আবারো বলছি কোন গেমে আসক্ত হওয়া যাবে না। সেই গেমটা যতটা ভালো কিংবা যতটাই মজার হোক না কেন।
ভিডিও গেম আমাদের দৈহিক ভাবে একটিভ করে তুলেঃ
গেমস আপনাকে দৈহিকভাবে অনেকটাই একটিভ করে তুলবে গেমস খেলার ফলে আমাদের শারীরিক একটিভিটিস গুলো অনেক গুন বেড়ে যায়। গেমস খেলতে খেলতে আপনাদের আলাদা একটা অভিজ্ঞতা হবে এবং আপনি অনেক একটিভ হয়ে যাবেন। আমি যদি একটা এক্সাম্পল দেই প্রত্যেকটা গেমসের ক্যাটাগরি কিন্তু আলাদা আলাদা আরেকটা গেমস এর ভিতরে একেক ধরনের মিশন থেকে থাকে যে কারণে আমরা গেমসগুলো খেলে থাকি আর যে গেমসগুলো আমাদের অনেকগুলো শিক্ষা দিয়ে থাকে অনেকগুলো গেমস রয়েছে যেগুলো আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয় কিভাবে লাইভে সার্ভাইভ করে থাকা যায়, কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, এমন অনেক গেমস রয়েছে যেগুলো শিক্ষামূলক গেমস আরে ধরনের গেমসে মূলত আমাদের অনেক ধরনের শিক্ষা দিয়ে থাকে। যেমন ডাক্তারদের জন্য সার্জিক্যাল কিছু গেমস রয়েছে যেগুলো খেলে তারা খুব সহজেই হিউম্যান বডি বিভিন্ন পার্ট দেখতে পারে এবং শিখতে পারে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
হ্যা বন্ধুরা আপনারা হয়তো এতদিন শুনে এসেছেন যে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি লোপ পায় অর্থাৎ কম্পিউটারের সামনে বেশিক্ষণ বসে থাকলে আমাদের দৃষ্টিশক্তির অনেক কমে যায়। কিন্তু আমি আজ আপনাকে জানাবো যে গেমস খেললে আপনাদের দৃষ্টি শক্তি কিভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বা কিভাবে বৃদ্ধি পায়। আমরা যখন কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকি তখন এর ভেতর থেকে আলোক রোশনি আমাদের অনেক ক্ষতি করে তবে ভিডিও গেম খেলার সময় আমরা দূর থেকে কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে ছেলে থাকে যে কারণে আমাদের চোখ এক এক সময় এক এক দিকে ফোকাস করে আর সেটা দূর থেকে খেলার কারণে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তুলেঃ
এমন অনেক গেম রয়েছে যে গেম গুলো আমাদের পাঠ্যপুস্তক বইয়ের অবলম্বনে তৈরি করা। যেমন গণিত সমাধান, ইংরেজি সমাধান, বিজ্ঞান সমাধান, সাধারণ জ্ঞান, এবং বিভিন্ন পাজেল গেম এরকম অনেক গেমস রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়। যেহেতু এগুলোর শিক্ষামূলক গেম এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি এবং আমাদের স্মৃতিশক্তিকে অনেক ডেভলপ করতে পারি। শুধুমাত্র যে শিক্ষামূলক গেম খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এমনটা নয়। অন্যান্য গেম খেললেও আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে কারণ অন্যান্য গেমগুলোতে কিভাবে কি করতে হবে এগুলো তো আমাদের মনে রাখতে হয় এগুলো মনে রাখলে আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
তবে এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের গেমগুলো খেলতে হবে কারণ ভিডিও গেমের যেমন উপকার রয়েছে তেমনই তার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। আর গেম এর উপকারী দিক থেকে অপকারি দিকটাই অনেক বেশি এটা আমাদের সবারই জানা উচিত।
আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত ভিডিও গেমস খেললে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারেঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রথমবারের মত ভিডিও গেমে আসক্তিকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকাভুক্ত করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগব্যাধির শ্রেণি বিন্যাসের তালিকায় এই আসক্তিকে ''গেমিং রোগ'' বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে।
খসড়া একটি নথিতে ভিডিও গেমে আসক্তিকে একটা আচরণগত সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই আচরণে আসক্তির সব লক্ষ্মণ রয়েছে অর্থাৎ বারবার এই খেলার প্রবণতা দেখা যায় এবং এর থেকে সরে আসা কঠিন বলেও দেখা যায়। এছাড়াও ''জীবনের অন্যান্য সব কিছু ছাপিয়ে প্রাধান্য পায়'' এই গেমিং-এর নেশা।
কোন কোন দেশে ভিডিও গেম খেলার নেশাকে ইতিমধ্যেই বড়রকম জন স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাব
চিহ্ণিত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা সবশেষ পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে ২০১৮ সালে।
এই নির্দেশিকায় রোগব্যাধির কোড, উপসর্গ, লক্ষ্মণ এগুলো দেওয়া থাকে। চিকিৎসক ও গবেষকরা রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা পর্যালোচনার জন্য এই নির্দেশিকা ব্যবহার করেন।
এই নির্দেশিকায় বলা হবে অন্তত ১২ মাস কারো ওপর নজর রেখে পর্যালোচনা করতে হবে ভিডিও গেম খেলার ব্যাপারে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কীনা, খেলার ব্যাপারে তার আচরণ অস্বাভাবিক কীনা।
''কিন্তু কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ যদি খুবই বেশি মাত্রায় দেখা যায়, তাহলে ১২ মাসের কম সময়ের মধ্যেই তাকে রোগগ্রস্ত বলে চিহ্ণিত করা যাবে।''
উপসর্গগুলো কী?
ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের অভাব (খেলার সময়কাল, ইচ্ছার তীব্রতা, এবং খেলার সংখ্যার বিচারে)
গেমিং-কে যখন কেউ অন্য সব কাজের ওপরে রাখছে
এর নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও যখন কেউ ভিডিও গেম খেলার ছাড়তে পারছে না বা খেলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে।
লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের প্রযুক্তিতে নেশা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড: রিচার্ড গ্র্যায়াম এই আসক্তিকে রোগ হিসাবে গণ্য করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
"এর ফলে এইধরনের আসক্তি মোকাবেলায় বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও বিষয়টাকে মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।"
তবে যারা মনে করেন এধরনের আসক্তিকে রোগ মনে করার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিকতা নেই, তাদের যুক্তিকে তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
"যেসব ছেলেমেয়ে আসলে খেলায় উৎসাহী অনেকসময় তাদের বাবামা তাদের আগ্রহকে আসক্তি বলে ভুল করতে পারেন- বিভ্রান্ত হতে পারেন।"
তিনি বলেন তিনি প্রতি বছর ৫০টির মত নতুন রোগী দেখেন যারা ডিজিটাল নেশার শিকার। তিনি দেখেন এসব ব্যক্তির আচরণ তার জীবনকে কীভাবে প্রাভাবিত হচ্ছে - তার ঘুম, খাওয়াদাওয়া, সামজিক জীবন এবং শিক্ষা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কীনা।
ড: গ্র্যায়াম বলছেন এটা রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে কীনা তা মূল্যায়ন করতে সবচেয়ে গুরুত্ব তিনি দেন যে বিষয়টির ওপর সেটা হল, "এই আসক্তি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কোনরকম প্রভাব ফেলছে কীনা?"
এটা এখন বিশ্বের অনেক দেশেই বড় সমস্যা তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একটা নতুন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কমবয়সীদের মধ্যরাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত অনলাইন গেমস খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জাপানে যারা খেলে তারা প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি খেললে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
চীনে টেনসেন্ট নামে বড় ইন্টারনেট কোম্পানি বাচ্চারা কত ঘন্টা ইন্টারনেটে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলো খেলবে তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখেছে মেয়েদের থেকে ছেলে
বর্তমানে পাবজি ফ্রী ফায়ার গেম ইত্যাদি সকল গেম গুলো অনেক জনপ্রিয় এবং আমরা প্রায়ই খেলে থাকি আবার চারপাশে যদি আমরা একটু খেয়াল করে দেখি তবে দেখা যায় অধিকাংশ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা থেকে শুরু করে একদম বয়স্ক পুরুষ পর্যন্ত এ ধরনের গেম গুলো খেলে থাকে এগুলো খুবই জনপ্রিয় গেম যেগুলো সারা বিশ্বে খুবই পরিচিত। আর এ ধরনের গেম খেলার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে সুইসাইড পর্যন্ত করেছে এবং এ ধরনের গেমে আসক্ত হয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিংবা অনেকে এ ধরনের গেম আসক্ত হওয়ার কারণে মারা গিয়েছেন এমন কিছু ডেঞ্জারাস গেমস রয়েছে। ব্লু হোয়েল এর মত নামক আপনারা হয়তো শুনেছেন এই গেমস্ এর নাম যেটা একটি মরণব্যাধি গেম যে গেমটা খেলার পর অনেকেই মারা যায় এই গেমটা খেলার পর এই গেমস থেকে কেউ বের হয়ে আসতে পারে না। যাইহোক আমরা সামনে এগুলো বলবো না। গেইম খেলার উপকারিতা নিয়ে কথা বলার আগে কিছু কথা বলতে হয় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা গেমস খেলে তাকে এমনকি আমরা গেমস খেলে থাকি কিন্তু গেমস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলা মোটেও ঠিক নয়।তারপরেও অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে আর আমরা সাধারণত জেনে থাকি বা জানি যে গেমস খেলা খুবই ক্ষতিকারক এবং গেমস খেলা অপকারিতা রয়েছে গেমস খেলা আমাদের জন্য আমাদের শরীরের জন্য আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের কিছু উপকারিতা বলবো গেম সম্পর্কে অর্থাৎ গেম খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়ে থাকে বা কি কি উপকার হতে পারে চলুন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আমরা আমাদের টপিকে চলে যায়।
একাকীত্ব দূর করেঃ
গেমস খেলে আমাদের একাকীত্ব দূর করা যায়। অনেকে আছেন যারা একা থাকলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা চলে আসে। তাদের মস্তিষ্কে সাধারণত এটা হয়ে থাকে তাদের টেনশনের কারণে তারা যদি গেমস খেলে তাহলে তাদের এই ধরনের চিন্তাধারা বা তাদের মস্তিষ্কে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা কখনোই আসবেনা এবং তার টেনশন কমে যাবে এবং তার অনেক ভালো লাগবে। একা থাকলে বিভিন্ন ধরনের কষ্টের কথা মনে পড়ে এবং সে সময় যদি আমরা গেমস খেলি এবং গেমস এর ভিতরে যদি মনোযোগ দিয়ে থাকি তবে আমাদের মস্তিষ্কে অন্য ধরনের কোন চিন্তাধারা বা এধরনের কোন চিন্তাধারা কখনোই আসবেনা। তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা কখনই গেমসের আসক্ত না হয়ে যায়। কখনোই গেমসে আসক্ত হওয়া যাবে না অর্থাৎ গেমটিকে আমাদের নেশা বানানো যাবেনা।
স্থিতিশীলতার বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করেঃ
ভিডিও গেমস সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে খুবই উপকারী আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। মনে করেন আমরা একটা মিশন টাইপের গেম খেলতেছি সেক্ষেত্রে আমরা যখন একটা মিশন কমপ্লিট করে ফেলি' তখন আমাদেরকে আরেকটা মিশন কমপ্লিট করতে বলা হয়। তখন আমাদের মস্তিষ্ক আমাদেরকে ওই সেকেন্ড যে মিশন কার কথা বলা হয়েছে ওই মিশন কমপ্লিট করার জন্য আমাদের সৃজনশীলতার প্রয়োজন হয় এমন কিছু টাইপ এর গেমস রয়েছে যেগুলো ব্রেইন ভিত্তিক অর্থাৎ আপনাকে ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে গেমসগুলোর লেভেল কমপ্লিট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আমাদের এ লেভেল কমপ্লিট করার চেষ্টা করি যে কারণে আমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন উপায় বের করি এবং বিভিন্ন ভাবে প্রচেষ্টা করিবার চেষ্টা করে থাকে এই লেবেলগুলো কে কমপ্লিট করার জন্য। আর যেহেতু এগুলো ব্রেইন মূলক অর্থাৎ মেধাকে কাজে লাগিয়ে এ গেমসগুলো খেলার জন্য বানিয়ে বানানো হয়েছে এই গেমগুলো আমরা খেলতে পারি এবং আমাদের সৃজনশীলতার উন্নতি ঘটাতে পারি। তবে আমি আবারো বলছি কোন গেমে আসক্ত হওয়া যাবে না। সেই গেমটা যতটা ভালো কিংবা যতটাই মজার হোক না কেন।
ভিডিও গেম আমাদের দৈহিক ভাবে একটিভ করে তুলেঃ
গেমস আপনাকে দৈহিকভাবে অনেকটাই একটিভ করে তুলবে গেমস খেলার ফলে আমাদের শারীরিক একটিভিটিস গুলো অনেক গুন বেড়ে যায়। গেমস খেলতে খেলতে আপনাদের আলাদা একটা অভিজ্ঞতা হবে এবং আপনি অনেক একটিভ হয়ে যাবেন। আমি যদি একটা এক্সাম্পল দেই প্রত্যেকটা গেমসের ক্যাটাগরি কিন্তু আলাদা আলাদা আরেকটা গেমস এর ভিতরে একেক ধরনের মিশন থেকে থাকে যে কারণে আমরা গেমসগুলো খেলে থাকি আর যে গেমসগুলো আমাদের অনেকগুলো শিক্ষা দিয়ে থাকে অনেকগুলো গেমস রয়েছে যেগুলো আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয় কিভাবে লাইভে সার্ভাইভ করে থাকা যায়, কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, এমন অনেক গেমস রয়েছে যেগুলো শিক্ষামূলক গেমস আরে ধরনের গেমসে মূলত আমাদের অনেক ধরনের শিক্ষা দিয়ে থাকে। যেমন ডাক্তারদের জন্য সার্জিক্যাল কিছু গেমস রয়েছে যেগুলো খেলে তারা খুব সহজেই হিউম্যান বডি বিভিন্ন পার্ট দেখতে পারে এবং শিখতে পারে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
হ্যা বন্ধুরা আপনারা হয়তো এতদিন শুনে এসেছেন যে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি লোপ পায় অর্থাৎ কম্পিউটারের সামনে বেশিক্ষণ বসে থাকলে আমাদের দৃষ্টিশক্তির অনেক কমে যায়। কিন্তু আমি আজ আপনাকে জানাবো যে গেমস খেললে আপনাদের দৃষ্টি শক্তি কিভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বা কিভাবে বৃদ্ধি পায়। আমরা যখন কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকি তখন এর ভেতর থেকে আলোক রোশনি আমাদের অনেক ক্ষতি করে তবে ভিডিও গেম খেলার সময় আমরা দূর থেকে কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে ছেলে থাকে যে কারণে আমাদের চোখ এক এক সময় এক এক দিকে ফোকাস করে আর সেটা দূর থেকে খেলার কারণে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তুলেঃ
এমন অনেক গেম রয়েছে যে গেম গুলো আমাদের পাঠ্যপুস্তক বইয়ের অবলম্বনে তৈরি করা। যেমন গণিত সমাধান, ইংরেজি সমাধান, বিজ্ঞান সমাধান, সাধারণ জ্ঞান, এবং বিভিন্ন পাজেল গেম এরকম অনেক গেমস রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়। যেহেতু এগুলোর শিক্ষামূলক গেম এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি এবং আমাদের স্মৃতিশক্তিকে অনেক ডেভলপ করতে পারি। শুধুমাত্র যে শিক্ষামূলক গেম খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এমনটা নয়। অন্যান্য গেম খেললেও আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে কারণ অন্যান্য গেমগুলোতে কিভাবে কি করতে হবে এগুলো তো আমাদের মনে রাখতে হয় এগুলো মনে রাখলে আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
তবে এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের গেমগুলো খেলতে হবে কারণ ভিডিও গেমের যেমন উপকার রয়েছে তেমনই তার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। আর গেম এর উপকারী দিক থেকে অপকারি দিকটাই অনেক বেশি এটা আমাদের সবারই জানা উচিত।
আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত ভিডিও গেমস খেললে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারেঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রথমবারের মত ভিডিও গেমে আসক্তিকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তালিকাভুক্ত করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগব্যাধির শ্রেণি বিন্যাসের তালিকায় এই আসক্তিকে ''গেমিং রোগ'' বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে।
খসড়া একটি নথিতে ভিডিও গেমে আসক্তিকে একটা আচরণগত সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই আচরণে আসক্তির সব লক্ষ্মণ রয়েছে অর্থাৎ বারবার এই খেলার প্রবণতা দেখা যায় এবং এর থেকে সরে আসা কঠিন বলেও দেখা যায়। এছাড়াও ''জীবনের অন্যান্য সব কিছু ছাপিয়ে প্রাধান্য পায়'' এই গেমিং-এর নেশা।
কোন কোন দেশে ভিডিও গেম খেলার নেশাকে ইতিমধ্যেই বড়রকম জন স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাব
চিহ্ণিত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা সবশেষ পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে ২০১৮ সালে।
এই নির্দেশিকায় রোগব্যাধির কোড, উপসর্গ, লক্ষ্মণ এগুলো দেওয়া থাকে। চিকিৎসক ও গবেষকরা রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা পর্যালোচনার জন্য এই নির্দেশিকা ব্যবহার করেন।
এই নির্দেশিকায় বলা হবে অন্তত ১২ মাস কারো ওপর নজর রেখে পর্যালোচনা করতে হবে ভিডিও গেম খেলার ব্যাপারে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কীনা, খেলার ব্যাপারে তার আচরণ অস্বাভাবিক কীনা।
''কিন্তু কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ যদি খুবই বেশি মাত্রায় দেখা যায়, তাহলে ১২ মাসের কম সময়ের মধ্যেই তাকে রোগগ্রস্ত বলে চিহ্ণিত করা যাবে।''
উপসর্গগুলো কী?
ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের অভাব (খেলার সময়কাল, ইচ্ছার তীব্রতা, এবং খেলার সংখ্যার বিচারে)
গেমিং-কে যখন কেউ অন্য সব কাজের ওপরে রাখছে
এর নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও যখন কেউ ভিডিও গেম খেলার ছাড়তে পারছে না বা খেলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে।
লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হাসপাতালের প্রযুক্তিতে নেশা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড: রিচার্ড গ্র্যায়াম এই আসক্তিকে রোগ হিসাবে গণ্য করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
"এর ফলে এইধরনের আসক্তি মোকাবেলায় বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও বিষয়টাকে মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।"
তবে যারা মনে করেন এধরনের আসক্তিকে রোগ মনে করার পেছনে যথেষ্ট যৌক্তিকতা নেই, তাদের যুক্তিকে তিনি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
"যেসব ছেলেমেয়ে আসলে খেলায় উৎসাহী অনেকসময় তাদের বাবামা তাদের আগ্রহকে আসক্তি বলে ভুল করতে পারেন- বিভ্রান্ত হতে পারেন।"
তিনি বলেন তিনি প্রতি বছর ৫০টির মত নতুন রোগী দেখেন যারা ডিজিটাল নেশার শিকার। তিনি দেখেন এসব ব্যক্তির আচরণ তার জীবনকে কীভাবে প্রাভাবিত হচ্ছে - তার ঘুম, খাওয়াদাওয়া, সামজিক জীবন এবং শিক্ষা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কীনা।
ড: গ্র্যায়াম বলছেন এটা রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে কীনা তা মূল্যায়ন করতে সবচেয়ে গুরুত্ব তিনি দেন যে বিষয়টির ওপর সেটা হল, "এই আসক্তি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কোনরকম প্রভাব ফেলছে কীনা?"
এটা এখন বিশ্বের অনেক দেশেই বড় সমস্যা তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একটা নতুন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কমবয়সীদের মধ্যরাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত অনলাইন গেমস খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জাপানে যারা খেলে তারা প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি খেললে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
চীনে টেনসেন্ট নামে বড় ইন্টারনেট কোম্পানি বাচ্চারা কত ঘন্টা ইন্টারনেটে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলো খেলবে তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখেছে মেয়েদের থেকে ছেলেরা ভিডিও গেমে সময় কাটায় বেশি।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি নিউজ