আমারা আকাশের রং নীল দেখি কারন নীল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম বলে তার বিচ্ছুরণ বেশি হয়। কিন্তু বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য তো নীল আলোর চেয়েও কম। তাহলে তো বেগুনি আলোর বিচ্ছুরণ বেশি হয়ে আকাশের রঙ বেগুনি হওয়ার কথা ছিল!!তা কেন হলো না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
699 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (10,910 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (10,910 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim -আকাশ নীল দেখায় সূর্যের আলোর সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার বিশেষ ধরনের কারণে। সূর্যের আলো সহ সব সাদা আলোই অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন রঙের আলোর সমন্বয়ে গঠিত। আর প্রতিটি আলোরই নিজস্ব সংশ্লিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে। এই আলো যখন কোনো বস্তুতে প্রতিফলিত হয় তখন বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন জিনিস ঘটতে পারে। উদাহরণত, সূর্যের আলো যদি পানি বা অন্য কোনো একটি স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে তখন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের প্রতিসরণ ঘটতে পারে। বা আলোর গতিপথ বাঁকিয়ে যেতে পারে। কারণ আলো যখন এক মাধ্যম (বাতাস) থেকে অন্য মাধ্যমে (পানি) ভ্রমণ করে তখন এর গতিও পরিবর্তিত হয়। প্রিজম আলোকে ভেঙ্গে এর গাঠনিক উপাদানগত রঙগুলো প্রতিফলিত করে। কারণ প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন কোনে প্রতিসরিত হয় এবং ওই রঙগুলোও ভিন্ন ভিন্ন গতিতে ভ্রমণ করে। অন্যদিকে, আয়না একটি একক দিকে আলোর প্রতিসরণ ঘটায়। এছাড়া অন্যান্য বস্তু আলোকে অনেকগুলো দিকে বিক্ষিপ্ত করে প্রতিসরিত করেত পারে। আর আকাশ নীল দেখায় আলোর একটি বিশেষ ধরনের বিক্ষিপ্ততার কারণে। এই বিক্ষিপ্ততা ঘটে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের চেয়ে এক দশমাংশ কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কণায় আলো প্রতিফলিত হলে। আর এই বিক্ষিপ্ততা উচ্চমাত্রায় আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। নিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সবচেয়ে বেশি বিক্ষিপ্ত হয়। নিম্ন বায়ুমণ্ডলে ক্ষুদ্র অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন অণু নিম্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বিক্ষিপ্ত করে- যেমন নীল এবং বেগুলি আলো। এমনকি প্রকৃতপক্ষে ৪০০ ন্যানোমিটার আলো (বেগুনি) ৭০০ ন্যানোমিটার আলোর (লাল) বিক্ষিপ্ততার চেয়ে ৯.৪ গুন বেশি। যদিও বায়ুমণ্ডলের কণাগুলো নীল রশ্মির চেয়ে বেগুনি রশ্মিই বেশি প্রতিফলিত করে তথাপি আকাশ নীল দেখায়। কারণ আমাদের চোখ নীল আলোর প্রতিই বেশি সংবেদনশীল। আর বেগুনি আলোর কিছুটা উচ্চ বায়ুমণ্ডল শুষে নেয়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলোকে বায়ুমণ্ডলের বেশিরভাগ অতিক্রম করে আপনার চোখে এসে পৌঁছাতে হয়। এমনকি বেগুনি এবং নীল আলোর যত বেশি বিক্ষিপ্ত হয় ততই লাল এবং হলুদ আলো চকমক করে ওঠে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 2,141 বার দেখা হয়েছে
+13 টি ভোট
1 উত্তর 3,023 বার দেখা হয়েছে

10,744 টি প্রশ্ন

18,397 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,946 জন সদস্য

26 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    990 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    320 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. unfortunately

    120 পয়েন্ট

  5. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...