শব্দ বাতাসহীন বা মাধ্যমহীন জায়গা দিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু দৃশ্যমান আলো বা অন্যান্য তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ) শুন্য মাধ্যমে চলাচল করতে পারে। এই রকম এক ধরণের তরঙ্গ হচ্ছে রেডিও তরঙ্গ। নভোচারিরা নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য এই রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করেন। নিচের ছবিটি দেখুন। নভোচারির পেছনে ব্যাগের মত জিনিসটা থেকে একটা অ্যান্টেনা বের হয়ে আছে। ঐ অ্যান্টেনাটিই হচ্ছে রেডিও অ্যান্টেনা।
নভোচারির মুখের কথাটিকে রেডিও তরঙ্গে পরিবর্তন করার জন্য তাদের হেলমেটে আলাদা কনভার্টার থাকে। কনভার্টার শব্দকে তরঙ্গে পরিণত করে অ্যান্টেনা দিয়ে ট্রান্সমিট করে। অপর নভোচারি বা মহাকাশযান তাদের রিসিভারের অ্যান্টেনা দিয়ে সেই তরঙ্গ রিসিভ করে আবার সেটাকে শব্দে রূপান্তর করে। এভাবেই মহাকাশে তারা কথাবার্তা চালায়।
আপনার বাসায় যদি কোন রেডিও থাকে, সেটিও কিন্তু ঠিক এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। পার্থক্য হচ্ছে সেটি কেবল রিসিভ করতে পারে, অর্থাৎ আপনি বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠানো শব্দগুলোই কেবল শুনতে পারবেন, ঐ রেডিও দিয়ে উল্টো পথে আপনার শব্দ বেতার কেন্দ্রে পাঠাতে পারবেন না। অর্থাৎ একমুখি যোগাযোগ। কিন্তু নভোচারীদের ক্ষেত্রে ট্রান্সমিট ও রিসিভ - দুটোই ঘটে থাকে। অর্থাৎ দুমুখি যোগাযোগ হয়, অনেকটা মোবাইল ফোনের মত।
ক্রেডিট: আদনান কাইয়ুম