কোহিনূর হীরা কেন বিখ্যাত? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
643 বার দেখা হয়েছে
"মিথোলজি" বিভাগে করেছেন (7,980 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (4,990 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
কোহিনূর হীরা সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বহুল আলোচিত যেমন তেমন আবার বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত হীরাগুলোর মধ্যে একটি এই কোহিনূর। কয়েকশো বছরের একটি লম্বা ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই হীরার নামের সাথে।কোহিনূর মানব ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত হীরা হয়ে আছে। এর নামটি ফারসি শব্দ থেকে এসেছে কোহ-ই-নূর অর্থ আলোর পর্বত। এর বিশাল আকার এবং আকার এটিকে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মূল্যবান পাথর হিসাবে তৈরি করে। কোহিনুরের মালিকানা সর্বদা বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে অন্ধ্র প্রদেশে কোহিনূর পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় থেকে এটি অনেক শাসকের হাতে পড়েছিল। কোহিনূর মূলত ৭৯৩ ক্যারেট ছিল যখন বিশ্বের বৃহত্তম হীরা তৈরি করে। মালওয়ার রাজা, মল্লাক দেও এই মূল্যবান হীরার প্রথম মালিক ছিলেন।

 বাবর ও শাহ জাহানও কোহিনুরের গৌরবময় চকিতে মুগ্ধ হয়েছিল।
১৩৩৯ সালে নাদের শাহ ভারতে এসে সিংহাসন জয় করেন, সুলতান মোহাম্মদ যুদ্ধে হেরে গেলেও কয়েক বছর পরে শাহ তাঁর এক লোকের হাতে নিহত হন, যিনি তখন পাঞ্জাবের সিংহ মহারাজা রঞ্জিত সিংকে হীরা দিয়েছিলেন। ১৮১৩ সালে, কোহিনূর ভারতে ফিরে এসেছিলেন। গর্বিত মালিক রণজিৎ সিঘ কোহিনূরকে তার আর্মলেটতে জড়ান এবং কয়েক বছর ধরে আটকা পড়েছিলেন।ব্রিটিশরা তাকে পরাজিত করলে, মূল্যবান হীরা কোহিনূর কেড়ে নিয়ে যায়। ১৮৫০ সালের জুলাইয়ে, ইস্ট ইন্ডিয়া সংস্থা এটি ইংল্যান্ডের রানির কাছে উপস্থাপন করে। এবং এর পর থেকে কোহিনূর কখনই তার সঠিক ভূমিতে ভারতে ফিরে যায়নি।
ততক্ষণে এটি ইতিমধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত হীরাতে পরিণত হয়েছে। ১৮৫১ সালে লন্ডনের ক্রিস্টাল প্যালেসে কোহিনূর জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হয়েছিল। কোহিনুরের মূল্য অজানা, তবে এটি অর্ধ শতাব্দী আগে ২০০ মিলিয়ন ডলার বলে জানা গেছে। কারণ, এটি সর্বদা চুরি বা বাধা ছিল, তবে কখনও বিক্রি হয়নি।

 

এটি একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস যে কোহিনূর অভিশপ্ত। কোহিনূর ডায়মন্ডের অভিশাপটি ১৩০৬ সালে হীরার প্রথম প্রমাণীকৃত উপস্থিতির সময় থেকেই একটি হিন্দু পাঠ্যের সাথে সম্পর্কিত। কোহিনূর ডায়মন্ডের অভিশাপটি পড়ে:
কোহ-ই-নূর হীরকের মালিক শাসকদের ইতিহাস ও জীবন সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড, বিপর্যয় এবং নির্যাতনে ভরা ছিল। ব্রিটিশ পরিবার এই অভিশাপ সম্পর্কে জানে, সুতরাং কেবল ব্রিটিশ রাজপরিবারের স্ত্রীরা তাদের মুকুটে কোহিনূর পরে।
কোহিনূর হীরার খ্যাতি সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। এটি প্রাচীন সাহিত্যের পাশাপাশি আধুনিক সাহিত্যের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোহিনূর সত্যই নিরবধি এবং অমূল্য। মহান ভারতীয় ইতিহাস কোহিনূর ছাড়া অসম্পূর্ণ।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)

কোহিনূর হীরা পৃথিবীজুড়ে বহুল আলোচিত একটি হীরা। কোহিনুরের সাথে গেঁথে আছে নানা মিথ, বিশ্বাস ও গল্প। কেউ কেউ ভাবেন এ হীরাটি ভীষণভাবে অভিশপ্ত। আবার হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, কোহিনূর ছিল অর্জুনের বাহুর অলঙ্কার।

অনেকে মনে করেন, কাকাতিয়া রাজবংশের দেবীমন্দিরে দেবীর চোখ হিসেবে কোহিনুর ব্যবহার করা হতো। সবার বিশ্বাস, আলোচনা, দ্বন্দ্ব নিয়েই কোহিনূর এখনও পৃথিবীবাসীর কাছে ঐতিহাসিক রহস্যের নাম।

কোহিনূর হীরার সন্ধান পাওয়া যায় তের শতাব্দীতে। গবেষকদের মতে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টার জেলার সন্তোষনগর অঞ্চলের কল্লর খনি থেকে এ হীরাটি উত্তোলন করা হয়। কোহিনুরের সাথে দরিয়া–ই–নূর নামে আরেকটি হীরাও উত্তোলন করা হয়। এটিকে কোহিনূরের জমজ বলা হয়ে থাকে।

কোহিনূরের প্রাথমিক ওজন ছিল ৭৯৩ ক্যারেট। কিন্তু ভেনিসের হীরা কর্তনকারী হরটেনসিও জর্জিস অদক্ষতার কারণে কোহিনূর কেটে ছোট করে ফেলেন। এর বর্তমান ওজন ১০৫ ক্যারেট।

কোহিনুর বহুল আলোচিত হলেও এটি কখনো বিক্রি করা হয়নি। সাম্রাজ্যে বদলের সাথে সাথে হীরাটিরও হাত বদল হয়েছে। আবার কোহিনূর চুরি করে নেয়ারও বহুল আলোচিত ইতিহাস রয়েছে। ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে, কোহিনূর প্রথম দিকে মালবের রাজপরিবারের অধিকারে ছিলো। তখনও কোহিনুর এত আলোচিত হয়নি।

মুঘল আমলে এটি মুঘল সাম্রাজ্যের ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। যার কারণে মুঘল শাসকবৃন্দ কোহিনূরের প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন। এ শাসকদের অধিকারে কোহিনুর ২১৩ বছর ছিল। পরে আফগানদের কাছে ৬৬ বছর ও ব্রিটেনের অধিকারে ১৩৪ বছর পার করে হীরকখণ্ডটি। এটি বর্তমানে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে।

কোহিনূর নামটি মুঘলদের দেয়া। ফারসি শব্দ কোহ–ই–নূর শব্দটি থেকে কোহিনুর শব্দটির উদ্ভব। কোহ–ই–নূর অর্থ আলোর পর্বত। পর্তুগিজ চিকিৎসক ও দার্শনিক গার্সিয়া দা ওরতো–এর রচনায় কোহিনূর সম্পর্কে বলা হয়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা। তিনি ১৫৬১ সালে প্রকাশিত তাঁর কোলোকুইজ অন দ্য সিম্পলস অ্যান্ড ড্রাগস অব ইন্ডিয়া গ্রন্থে বলেছেন, ভারতবর্ষের বৃহত্তম হীরা বিজয়নগরে সংরক্ষিত আছে। ধারণা করা হয়, উনি হয়তো কোহিনূরের কথাই বলেছেন।  

বাবরনামাতে কোহিনুর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ গ্রন্থে বাবর লিখেছেন, গোয়ালিয়রের রাজা বিক্রমজিতের পরিবারকে গ্রেফতার করার পর তারা হুমায়ুনকে কিছু রত্ন দিয়েছিল। বাবরকে প্রশংসাকারীরা বলেন এই রত্নের মধ্যে থাকা একটি হীরার মূল্য দিয়ে পুরো দুনিয়ার মানুষকে আড়াই দিন খাওয়ানো যাবে। বাবর বর্ণিত এই একটি হীরাই হচ্ছে কোহিনূর।

মুঘল আমলে এটিকে বাবরের হীরা বলা হত। পানিপথের যুদ্ধের পর বাবরকে কোহিনুর হীরা উপহার দিয়েছিলেন তাঁর পুত্র হুমায়ূন। বাবর বা হুমায়ূন কেউ এ হীরাকে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেননি। সম্রাট শাহাজাহান এসে প্রথমবারের মতো ময়ূর সিংহাসনের অলঙ্কার হিসেবে কোহিনুর ব্যবহার করেন। পরে পারস্যের নাদির শাহ কোহিনুর লুট করেন।

কোহিনূরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটির ৩৩টি পাশ রয়েছে। এর রং শ্বেত শুভ্র। কোহিনুরকে সবচেয়ে নিখুঁতভাবে কাটা হীরা মনে করা হয় হয়। এর বর্তমান মূল্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১২শ’ কোটি টাকা। এটির মালিকানা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে। ভারতবাসী মনে করে, ব্রিটিশটা কোহিনূর চুরি করে বা পাচার করে নিয়ে গেছে।

২০১৬ সালের এক রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় মনে করে, ইংরেজ শাসকেরা ভারত থেকে কোহিনূর চুরি যেমন করেনি, তেমনি লুট করেও নিয়ে যায়নি। পাঞ্জাবের মহারাজা রণজিৎ সিং ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে নিজেই এই অমূল্য সম্পদ উপহার দিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 316 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,045 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 280 বার দেখা হয়েছে
02 জানুয়ারি "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Saima akter Sathi (450 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 239 বার দেখা হয়েছে
15 এপ্রিল 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Linza Reza (2,670 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 555 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,577 জন সদস্য

60 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 58 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...