টেলিগ্রাফ শব্দটি দিয়ে যে যন্ত্রকে বোঝানো হয় তা মূলতঃ বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ। এই টেলিগ্রাফে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ সংকেত ( electrical signal) ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ লাইন বা বেতার চ্যানেলের মাধ্যমে দূর দূরান্তে লিখিত বার্তা বা পত্র প্রেরণ করা হয়। তবে টেলিগ্রাফ দ্বারা শুধু বার্তা বা খবরটাই পাঠানো যায়, মূল লিখিত পত্রটিকে পাঠানো যায় না।
টেলিগ্রাফে বার্তাটিকে প্রথমে মোর্স কোডে রূপান্তরিত করে নেয়া হয় এবং তার পরে এই কোডটি টেলিগ্রাফের প্রেরক-যন্ত্রের সাহায্যে অন্যপ্রান্তে পাঠানো হয়। অন্যপ্রান্তেও একটি টেলিগ্রাফ থাকে যার গ্রাহক-যন্ত্রে কোড-বার্তাটিকে গ্রহণ করে আবার ভাষায় রূপান্তর করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। বার্তা পাঠানোর এই পদ্ধতিকে বলে টেলিগ্রাফি, আর গ্রাহকের কাছে বার্তাটি যে রূপে পৌঁছে দেয়া হয় তাকে বলে টেলিগ্রাম।
টেলিগ্রাফ ছিল টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার প্রথম নিদর্শন যা মুহুর্তের মধ্যে দূর-দূরান্তের খবর এনে দিত মানুষের কাছে। এর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব ছিল ব্যপক। যার ফলে আবিস্কারের মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই দেশ থেকে দেশে এবং সাগরের এপার-ওপারে টেলিগ্রাফের লাইন ছড়িয়ে পড়ে।