২০১৭ সালে চীন এবং জাপানের একদল বিজ্ঞানী নিশ্চিত করেন যে তারা পাঁচটি শিম্পাঞ্জিকে রক-পেপার-সিজার এর মৌলিক স্তরটি শিখাতে পেরেছেন। একটা টাচস্ক্রীনে রক,পেপার,সিজারের মধ্যে যেকোনো দুটো বস্তুর ছবি পাশাপাশি রাখা হতো। শিম্পাঞ্জিগুলো যখনই বিজয়ী জোড়টি বাছাই করতো তখন তাদের পুরষ্কৃত করা হতো। এভাবে ওরা প্রথমে শিখে যে পেপার রক কে হারায়, তারপর রক সিজার কে হারায় আর শেষমেশ সিজার পেপার কে হারায়।
পরবর্তীতে যখন শিম্পাঞ্জিগুলোকে এলোমেলোভাবে ছবিগুলো দেখানো হয় তখন দশবারের মধ্যে নয়বারই তারা সঠিক বিজয়ী জোড়টি খুঁজে বের করে। তাদের এই বুদ্ধিমত্তা একটি চার বছরের মানবশিশুর সাথে তুলনা করা যায়। যদিও শিম্পাঞ্জিরা খেলাটির নিয়ম শিখেছে, কিন্তু তারা নিজেরা এরকম কোনো অঙ্গভঙ্গি করতো না। তাই এখনো স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি যে শিম্পাঞ্জিদের আদৌ রক-পেপার-সিজার খেলার মতো চাতুর্য আছে কিনা।
Source: BBC Science Focus
ক্রেডিট: মোঃ তৌফিক-ই-ইলাহী