হান্টার থিওরিকে বুশমিট প্র্যাকটিস থিওরিও বলা হয়ে থাকে। এটা হল সবচেয়ে সম্ভাব্য একটা পথ ,যেটা দিয়ে ব্যাখা করা যায় কিভাবে SIV স্ট্রেইন মানব দেহে প্রবেশ করেছে। এই থিওরি মোতাবেক আফ্রিকার অঞ্চলে বন্য জন্তুর মাংস সংগ্রহ বা পোচিং এর সময় কোন একজন শিকারী,রোগাক্রান্ত শিম্পাঞ্জি বা বানরের কামড়ের শিকার হয় কিংবা অন্য কোন উপায়ে দূষিত রক্তের সংস্পর্শে আসে,এবং এরকম দীর্ঘ এক্সপোজার এর ফলে ইনফেকশন এর সূচনা হয়। এই থিওরিকে ইতিহাস সমর্থন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের থেকে সাব সাহারান অঞ্চলে আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর উপর ইউরোপিয়ান লোকদের একটা চাপ ছিল,রিসোর্স সংগ্রহের। সবচেয়ে বড় কথা ,এই রিসোর্সের বেশির ভাগ আসত বন থেকে,আর আরেকটা কথা হল, এই আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর লোকেরা কৃষি বা গৃহপালিত পশুপালন টাইপের কাজে জড়িত ছিল না।তাদের খাদ্যেরও বেশিরভাগ অংশ আসতো বন্যপ্রাণি থেকে ।
সেরোলজিক্যাল সার্ভে করা তথ্য কিন্তু একই কথাই বলছে। এই সার্ভের ভিত ছিল যে, কন্টিনিউয়াস ব্লাড টু ব্লাড কানেকশন থাকার কারণে SIV এর স্ট্রেইনগুলো মানবদেহে এসেছে। এবং সার্ভেকারীরা আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, সেন্ট্রান আফ্রিকাতে SIV ইনফেকশন খুব সাধারণ একটা ঘটনা, উদাহরণস্বরূপ ক্যামেরুন এর ২.৩% মানুষের ভেতর পুরোনো বা নতুন SIV এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায় ,৭.৮% গ্রামে এবং এই গ্রামের ১৭.৮% মানুষের ভেতর
এই SIV এর স্ট্রেইনগুলোই HIV এর পূর্বপুরুষ
এখন এই ভুল ধারণার উতপত্তি এক মার্কিন সিনেটর এর কথা থেকে। তিনি সর্বপ্রথম এই মিথ্যা দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না,HIV এর আগের রূপ SIV যে বানরগুলি ধারণ করতো,তাদের শিকার করা হত চামড়া ও মাংসের জন্য ,আর Blood-to-blood কনটাক্ট এর ফলেই এটি মানুষের দেহে এসেছে,এবং বর্তমান রূপ পেয়েছে molecular clock ফর্মেশন ব্যবহার করে