পিঁপড়েরা পরস্পরের সঙ্গে ফেরোমোনের মাধ্যমে কথা বলে বা যোগাযোগ রাখে৷ ফেরোমোন হল এক ধরনের রাসায়নিক পথনির্দেশক, যা খাবারের খোঁজে যাবার সময় পিঁপড়েরা সারা পথে ছড়িয়ে রাখে – যেমন ড. ক্লাইনাইডামের তৈরি কাঠামোটার উপর৷ ফেরোমোন খুব তাড়াতাড়ি উপে যায়৷ পিঁপড়েরা সবচেয়ে কাছের পথটা আন্দাজ করার জন্য ফেরোমোনের এই বৈশিষ্ট্যটা কাজে লাগায়৷ খাবারের দূরত্ব যতো বেশি, ফেরোমোনের গন্ধও ততো দুর্বল৷ তবুও পিঁপড়েরা সবচেয়ে কড়া গন্ধটাই অনুসরণ করে, যার ফলে সবচেয়ে কাছের পথটা আরো জোরদারভাবে দেখানো হয়৷ নিয়ম হলো: নাক বরাবর চলে যাও! মুক্ত প্রকৃতিতে পাতা কাটা পিঁপড়ারা এমন সব যাতায়াতের পথ তৈরি করে, যা বাসা থেকে ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত চলে যায়৷
ড. ক্রিস্টফ ক্লাইনাইডাম জানতে চান, পাতা কাটা পিঁপড়েরা কীভাবে এই সব পথ তৈরি করে ও সেগুলোকে ঠিকঠাক রাখে৷ পরীক্ষাগারে এক আঁজলা পাতা টুকরো টুকরো করে কেটে সেগুলোকে বাসায় নিয়ে যেতে তাঁর পিঁপড়ের দঙ্গলটার আধ ঘণ্টার চেয়ে কম সময় লাগে, যদিও গবেষকরা পিঁপড়েদের পথে নানা ধরনের প্রতিবন্ধক রেখেছেন, যেমন নল কিংবা বাক্স৷
পাতা কাটা পিঁপড়েরা কিন্তু তাদের কাটা পাতা খায় না – জমা করে৷ সেই পচন ধরা পাতার ওপর এক ধরনের ফাংগাস বা ছত্রাক জন্মায়, যা হল এই পিঁপড়েদের আসল খাদ্য৷