আমি জানি যে পিপঁড়া কখনো ঘুমায় না। এর কারণ কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,238 বার দেখা হয়েছে
"প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে করেছেন (670 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,140 পয়েন্ট)

পিঁপড়া কি ঘুমায়?

প্রথমেই পিঁপড়ার চোখ নিয়ে দুটা কথা। এদের দুইটি পুঞ্জাক্ষি ও তিনটি সরলাক্ষি বিদ্যমান। আর এই দুই ধরনের চোখের কোনটিতেই চোখের পাতা নেই।

ঘুম মানেই চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকা নয়। আমাদের না হয় চোখের পাতা আছে বন্ধ করে ফেলি। যাদের চোখের পাতা নেই তারা কি তাহলে ঘুমাবে না? পিঁপড়াও ঘুমায় তবে তাদের সে ঘুম হুবহু আমাদের মতো নয়। এখানে ঘুম বিষয়টিকে আমরা গভীর বিশ্রামের সাথে তুলনা করতে পারি। পিঁপড়ার ঘুম নিয়ে কিন্তু গবেষণা পর্যন্ত হয়ে গেছে।

 

পিঁপড়া গর্তে থাকে। তো উনাদের ঘুমে দিন-রাত খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে হয়না।

রানী পিঁপড়াকে কেন্দ্র করেই কলোনি গড়ে ওঠে। ঘুমের ক্ষেত্রে রানী আর কর্মী পিঁপড়ার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য লক্ষণীয়।


১৯৮৩ সালে জেমস ও কোটেল একটি গবেষণাপত্রে পিঁপড়ার গভীর বিশ্রাম দশায় যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং এই বিশ্রামদশা ২৪ ঘণ্টায় অনেকগুলো ক্রমে ঘটার বিবরণ পাওয়া যায়। কিছু পিঁপড়া যখন বিশ্রাম নিতে থাকে তখন অন্য পিঁপড়া তাদের বাসস্থানের দেখভালের পুরো দায়িত্ব পালন করে। আর বিশ্রাম চলা কালে পিঁপড়ার ম্যান্ডিবল ও অ্যান্টেনার সঞ্চালন বেশ কমে যায় স্বাভাবিকের তুলনায়। তাই এই দশাকে গভীর বিশ্রাম দশা নাম দেন।


১৯৮৬ সালে বেইসিং ও ম্যাক্লাস্কি পিঁপড়ার ছোটোখাটো মস্তিষ্কের কার্যকারিতার তথ্য উপাত্ত নিয়ে পিঁপড়ার গভীর বিশ্রাম দশাই যে প্রচলিত অর্থে ঘুম তা জানিয়ে দেন।


ডেবি কেসিল, স্কাই ব্রাউন, ডিভন সুইক ও জর্জ ইয়ানেভ- এই কয়জন গবেষক মিলে ২০০৯ সালে পিঁপড়ার ঘুম নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।সেখানে তাঁরা বলেন বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়ার ঘুম বিভিন্ন রকম। লাল পিঁপড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন উনারা।

মানুষ যেমন একবারে ৮/৯ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে, পিঁপড়া ঠিক এমনভাবে ঘুমায় না। ওদের ঘুম ছোট ছোট পর্বে বিভক্ত।

কর্মী পিঁপড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫০ বারের মতো ঘুমায়। আর প্রতিবার তারা মাত্র ১ মিনিটেরও কম সময় ঘুমিয়ে থাকে। সবমিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় একটি কর্মী পিঁপড়া সাড়ে চার ঘণ্টার মতো ঘুমাতে পারে। তারা কখনোই একসাথে সবাই ঘুমায় না, অন্তত ৮০% জেগে থাকে। কিছু পিঁপড়া যখন বিশ্রামে যায় তখন পর্যাপ্ত সংখ্যক পিঁপড়া জেগে থাকে প্রতিরক্ষা কিংবা কাজের তাগিদে।

অন্যদিকে রানী পিঁপড়া একটু অলস বলা যায়। যদিও সে ২৪ ঘণ্টায় ৯০ বারের মতো ঘুমায়, কিন্তু প্রতিবারে প্রায় ৬ মিনিটের মতো সময় নেয়। সবমিলিয়ে রানী পিঁপড়া ৯ ঘণ্টার মতো ঘুমায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।

তাহলে দেখা গেল রানী পিঁপড়া আমাদের সমপরিমাণ ঘুম দিলেও একটানা নয়। মজার বিষয় হলো একটি কলোনিতে একাধিক রানী পিঁপড়া থাকলে তারা ঘুমানোর সময় একসাথেই ঘুমায়, একরকম জড়াজড়ি করে। কিন্তু ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তারা আলাদা হয়ে পড়ে।

ডেবি কেসিল লক্ষ্য করেন রানী পিঁপড়া মাঝে মাঝে মুখ খুলে অ্যান্টেনা একটু পাশের দিকে রেখে ঘুমায়। আবার অনেক সময় মুখ বন্ধ করে অ্যান্টেনা খাঁড়া রেখে ঘুমায়, আর এটিই এদের গভীর বিশ্রাম দশা।

সদ্য জেগে ওঠা থেকে ওঠা পিঁপড়া কিছু সময় ঢুলুঢুলু ভাবে চলাফেরা করে, এটা কিন্তু আমাদের সাথে বেশ মিলে যায়।


মস্তিষ্ক থাকলে ঘুমের দরকার পড়বেই বলা চলে। সেই ঘুমের প্যাটার্ন একেক প্রাণীর একেক রকম। আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী যারা কিনা পতঙ্গ নামে পরিচিত, এদের চোখের পাতা নেই। অন্যদিকে বেশ উন্নত প্রাণী মাছেরও চোখের পাতা নেই। তাই ঘুম বলতে প্রচলিত অর্থে আমরা যেমনটি দেখে থাকি তেমনটা এসব প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যাবে না।

পিঁপড়ার মস্তিষ্কে মোটামুটি ২৫০০০০ এর মতো নিউরন থাকে, যা আমাদের তুলনায় অনেক অনেক কম। ওদের মস্তিষ্কের গঠনও বেশ সরল। তাই ঘুমের বিষয়টিও আমাদের সাথে পুরোপুরি আলাদা।

জেনে হয়তো অবাক হবেন জেলিফিশ এর কোন মস্তিষ্ক নেই। তারপরও কিন্তু সে গভীর বিশ্রামে চলে যায় প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য, যেটাকে ঘুমের সাথে তুলনা করা হয়।

প্রশ্নের উত্তর হলো কিনা জানি না। তবে পিঁপড়ার ঘুম নিয়ে এগুলোই জানা ছিল।

copy from QUORA

0 টি ভোট
করেছেন (2,990 পয়েন্ট)

 পিঁপড়ে অতি অদ্ভুত একটি প্রাণী। আমাদের চোখের সামনে সর্বক্ষণ ঘোরাঘুরি করলেও এদের ব্যাপারে অনেককিছুই আমরা জানি না। পিঁপড়ের ফুসফুস নেই, কানও নেই। এদের হাঁটু এবং পায়ে আছে বিশেষ এক ধরণের সেনসিং ভাইব্রেসন যার মাধ্যমে এরা আশেপাশের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। পোকামাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী এই পিঁপড়ে।

 

আরেকটি অদ্ভুত ব্যাপার হলো যে পিঁপড়েরা কখনও ঘুমায় না। দিন নেই, রাত নেই, সারাক্ষণ কাজ করে চলেছে। ছোটবেলায় আমরা সকলেই ঘাসফড়িং ও পিঁপড়ের গল্পটি পড়েছি। সেখান থেকেই আমরা জানতে পারি যে পিঁপড়েরা কতোখানি পরিশ্রমী। বাস্তব জীবনেও তাই, সত্যিই তারা পরিশ্রমী। তাহলে কি ব্যস্ততার জন্য তারা ঘুমায় না? ব্যাপারটা তা নয়। পিঁপড়ের চোখের পাতা নেই, তাই এরা চোখ বন্ধ করতে পারে না। তবে তার জন্য এদের দেখতে কোনো সমস্যা হয় না। অধিকাংশ পিঁপড়ের দুটি চোখ থাকে, এতে কয়েকটি লেন্স থাকে যার সাহায্যে এরা খুব ভালো দেখতে পায়। কিছু কিছু পিঁপড়ের অবশ্য তিনটি সাধারণ চোখ থাকে। এই চোখের প্রতিটিতে একটি করে লেন্স থাকে। তবে নিশাচর প্রাণীদের মতো মাটির নীচে বসবাসকারী কিছু পিঁপড়ে দিনে দেখতে পায় না। কারণ এদের চোখে কোনো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। তাই এরা কেবল রাতেই ভালো দেখে।[1]

শুধু পিঁপড়েই নয়, এদের মতো আরো অনেক প্রাণী আছে যারা আপাতদৃষ্টিতে আমাদের খুবই পরিচিত, কিন্তু অনেক অজানা তথ্য লুকিয়ে আছে তাদের মধ্যে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 215 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,065 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 312 বার দেখা হয়েছে
04 জানুয়ারি 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md. Arafat Hasan (16,190 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,624 জন সদস্য

111 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 111 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. LarryBeverly

    100 পয়েন্ট

  5. GuadalupeHov

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...