MD Tahsin Siam: এখানে সঠিক উত্তর হল,
এই পিকচার টা আসল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির নয়। এটা অন্যান্য গ্যালাক্সির ছবি থেকে সামঞ্জস্য করে তৈরি করা মিল্কিওয়ের ছবি। এর কারন আমরা আমাদের গ্যালাক্সির ছবি কখনও এভাবে তুলতে পারবোনা। কিন্তু অন্যান্য গ্যালাক্সির ছবি নাসার হ্যাবল টেলিস্কোপ সহ বেশ কিছু টেলিস্কোপ দিয়ে এভাবে স্পষ্ট তোলা যায়। তবে ব্যাপারটা হলো মানুষ এ বিষয় কিছু জানেনা বলে এটাকে কাল্পনিক বলে উরিয়ে দেয়। এটা কাল্পনিক ছবি মোটেও নয় তবে সামান্য কালার গ্রিড দিয়ে এডিট করা। এ সম্পর্কে যারা না জানেন তাদের বলছি এগুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত রিসার্স করেন। কারন দেখছি অনেকেই উল্টো পাল্টা কমেন্ট করতেছেন।
ওই ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর হলো ওটা সুপারম্যাসিভ ব্লাকহোলের বাইরের সেই সীমারেখা যেটাকে ইভেন্ট হোরাইজন বলে। এই সীমারেখা পার করলে কোনো বস্তু এমন কি আলোও আর ফিরে আসতে পারে না। আর ওখানে আলোর মাত্রা এত বেশি হওয়ার কারন ওখানে পদার্থের পরিমান সবথেকে বেশি। ওখানে গ্যালাক্সির বেশিরভাগ বড় তাঁরার অবস্থান। তাই ওখানে পদার্থের পরিমান এতো ডেন্স হওয়ায় আলোর মাত্রা বেশি।
অনেকে বলতে পারেন যে ওখানে যেহেতু ব্লাকহোল তাহলে আলো ওখানে এত বেশি কেন? আলো ব্লাকহোল শুষে নিচ্ছে না কেন?
এর কারন হলো আলো যখন ব্লাকহোলের কাছে যায় তখন তার দিক সামান্য পরিবর্তন হয়। বেশিরভাগ আলো ব্লাকহোল শুষে নিলেও ওই দিক পরিবর্তনশিল আলো ব্লাকহোলের ইভেন্ট হোরাইজন থেকে ফিরে আসে। এবং আরেকটি করন হলো ওখানে যেহেতু বড় বড় নক্ষত্রের মাত্রা সবথেকে বেশি যার কারনে আলোর ওখানে কোনো কমতি পরেনা।
এর কারনে গ্যালাক্সির সেন্টারে আলোর মাত্রা এরকম বেশি দেখা যায়।