চন্দ্রধনু
|| রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৬ আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিরল! বহু বছর পর দেখা গেল সেই চন্দ্রধুন!
চন্দ্রধুন। চাঁদের আলো বায়ুম-লে সূর্যের মতো রংধনু সৃষ্টি করে। তবে চন্দ্রধনু দেখেছেন, এমন মানুষ পৃথিবীতে খুবই সামান্য, তা বলা যায়। কারণ চন্দ্রধনু প্রকৃতির এক বিরল উপহার।
নিস্বর্গবিদ কেলি গ্রোভিয়ার চন্দ্রধনু নিয়ে বিবিসিতে লিখেছেন। ব্রিটিশ কবি উইলিয়াম কোলের চন্দ্রধনু দেখার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন তিনি। ১৭৯৯ সালে নরফোকে এক শরত সন্ধ্যায় একাকী হাঁটছিলেন কবি উইলিয়াম কোল। হঠাৎ রাতের আকাশে তিনি আবিষ্কার করেন রংধনুর মতো বর্ণিল ধনু।
রংধনু সৃষ্টি হয় সূর্যের আলোয়। আর চন্দ্রধনু সৃষ্টি হয় চাঁদের আলোয়। চাদের আলোয় আকাশে ধনুর মতো যে আলোকোচ্ছটা কবি কোল দেখেছিলেন, তার রূপ তিনি কবিতায় বর্ণনা করেছেন, যার দুটি লাইন এমন- ‘বায়ুম-লে আদ্র বাতাস বইছে/ঝাপসা চাঁদোয়ায় ভেসেছে চন্দ্রধুন।’
ভাষান্তরে ক্রুটি থাকতে পারে। তবে কবি কোলের চোখে চন্দ্রধনুর যে রূপ ধরা পড়েছে, তা ছিল সত্যি ও মোহনীয়।
চন্দ্রধনু নিয়ে পাঠকের বিভ্রান্তি থাকতে পারে। এ জন্য কবি কোল তার কবিতার শেষে একটি নির্দেশনা জুড়ে দেন, যাতে তিনি বলেন, ১৭৯৯ সালের ‘নরফোক ক্রনিক্যাল’-এর ১৭ নভেম্বর সংখ্যায় চোখ রাখুন। এ সংবাদপত্রে চন্দ্রধনু সম্পর্কে খবর প্রকাশ করা হয়।
সেই থেকে ২১৭ বছর পর চন্দ্রধনু নিয়ে আবার খবর প্রকাশিত হলো। আবার এক শরত রাতের ঝাপসা চাঁদের আলোয় উঁকি দিল চন্দ্রধনু। কবি কোলের মতো চন্দ্রধনু নিয়ে কেউ নতুন করে কবিতা লিখেছেন কি না, এখনো জানা যায়নি। তবে এবার চন্দ্রধনু নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর রূপ নিয়ে বলা হয়েছে অনেক কথা।
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের আকাশে ১৮ অক্টোবর কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় চন্দ্রধনু। এর একজোড়া ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।