পড়তে বসলে ঘুম আসার কারন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+20 টি ভোট
10,771 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (71,290 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+7 টি ভোট
করেছেন (2,300 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
বই পড়তে গেলে চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়, এবং প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডান দিকে, আবার ডান থেকে বাম দিকে ঘোরাতে হয়। শুধু তা-ই না, চোখ যেসব দেখে, সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদও তৈরি করে নিতে হয়, এবং সেগুলো দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, তা-ও অনুধাবন করতে হয়। আবার পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয় পঠিত বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার চ্যালেঞ্জ। এভাবে পড়ার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশি যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তেমনই একসাথে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্কও ওঠে হাঁপিয়ে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘুমের চেয়ে শ্রেয়তর বিশ্রাম কী হতে পারে! তাই তো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে, এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পড়ার সময় অনেকেই নিজের জন্য একটি আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করে নিতে চায়। অনেকেই হয়তো শুয়ে শুয়ে পড়ে, আবার অনেকে বিশ্রামের ভঙ্গিতে শরীর এলিয়ে দিয়ে পড়ে। তাদের কাছে মনে হয় এভাবে পড়লে পড়া সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শরীরকে যখন আরামদায়ক অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক ধরেই নেয় যে এখন সময় কেবল বিশ্রামের। অথচ তখন যদি পড়ার মতো মানসিক পরিশ্রমের একটি কাজ করতে যাওয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করে বসে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়।
তথ‍্যসূত্র : কোরা।
+5 টি ভোট
করেছেন (71,290 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

কারণ তখন ব্রেইনকে সাধারণ অবস্থা থেকেও বেশী কাজ করতে হয় আর চোখের পেশীগুলোর ও পরিশ্রম হয়ে থাকে যার জন্য ব্রেইন এবং চোখের পেশীগুলোর বিশ্রাম দরকার হয়।
কিন্তু এমন টা হলে উপন্যাস বা গল্পের বই পড়ার সময় হয়না কেন? কারণ সাধারণত আমাদের মস্তিষ্কে আমরা সেট করেই দিয়েছি একাডেমিক বই মানেই প্রেশার! আর প্রেশার নিলে তো রেস্টের দরকার আছে।

+5 টি ভোট
করেছেন (71,290 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে বের করেছেন। প্রথমত, বই পড়তে গেলে চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়, এবং প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডান দিকে, আবার ডান থেকে বাম দিকে ঘোরাতে হয়। শুধু তা-ই না, চোখ যেসব দেখে, সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদও তৈরি করে নিতে হয়, এবং সেগুলো দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, তা-ও অনুধাবন করতে হয়। আবার পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয় পঠিত বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার চ্যালেঞ্জ। এভাবে পড়ার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশি যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তেমনই একসাথে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্কও ওঠে হাঁপিয়ে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘুমের চেয়ে শ্রেয়তর বিশ্রাম কী হতে পারে! তাই তো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে, এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।

+5 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

Riddita Islam Nidhi-

পড়তে বসলেই ১০ মিনিটের মধ্যে ঘুম আসলে যা করবেনঃ 

১। উজ্জ্বল আলোয় পড়তে বসুন । দিনের বেলা যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলোর জন্য জানালা এবং দরজা খোলা রাখুন। রাতের বেলা টেবিল ল্যাম্প ইউজ করতে পারেন। কম আলোয় কখনো পড়বেন না।

২। কোনো কিছুতে ১০-১৫ মিনিটের বেশি একটানা মনযোগ ধরে রাখা কঠিন । সেটা বিরক্তিকর হলে আরও কঠিন। ১০ মিনিট পর পর ১-২ মিনিটের ব্রেক দিন। দিনের বেলা হলে বেলকোনির আলো বাতাস খেয়ে আসুন। রাতের বেলা হাত এবং মাথা ঘুরিয়ে নাড়ুন। এবং জল পান করুন।

৩। অবশ্যই বিছানায় পড়তে বসবেন না। পুরো শরীর রেস্টে চলে গেলে বাকি মস্তিষ্ক আর চোখেরও রেস্ট নিতে ইচ্ছে করবে। এজন্য চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন।

(অনেকে বিছানায় পড়তে সাছন্দ্য পান। তাদের ক্ষেত্রে যেই জায়গায় তারা উপযোগী সেইখানে পড়া উচিত কিন্তু চেয়ার টেবিল বেষ্ট এতে আপনার পড়ার প্রতি তীব্র ইচ্ছা ও আগ্রহ বাড়বে)

৪। শব্দ করে পড়লে ঘুম আসার সম্ভাবনা একবারেই কমে যাবে। মনে মনে পড়তে গেলে ঘুম বেশি আসে।

(কিন্তু শব্দ করে পড়লে আপনি মিনিট এ ১৫০ টির মত শব্দ উচ্চারণ করতে পারবেন কিন্তু নিশ্চুপ ভাবে পড়লে ২৫০+ তাই রিভিশানের ক্ষেত্রে চুপ করে পরাই বেটার)

৫। সারাদিন ঘরে বসে থাকবেন না । মাঝে মাঝে বাইরে বের হোন প্রাকৃতিক আলো বাতাসে।

৬।পড়া শুরু করার আগে নিয়মিত চা কফি খান। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বেশি চা কফি খেলে ইফেক্ট কমে যেতে পারে।

৭। মোটিভেশন অনেক দরকার । আপনি কেন পড়বেন বা পড়ছেন , সেটা মাথায় এনে প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়ুন।

৮। স্টিকি নোট/পেন্সিল/কলম দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার ইন্দ্রিয় সক্রিয় থাকবে ও পেশীগুলাও সতেজ থাকবে!

সর্বশেষ, পড়াশোনা মানসিক সাধনার ব্যাপার। ভোগের জিনিষ থেকে নিজেকে দূরে রেখে চেয়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। এত সহজ এবং আনন্দদায়ক হলে সবাই ভাল রেজাল্ট করতো। সেক্ষেত্রে এর কোনো বিশেষত্ব থাকতো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পড়বেন, আপনি সফল হবেন। না পারলে কোনো উপদেশই আপনার জন্য কাজে আসবে না!

©সংগৃহীত

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
বই পড়তে গেলে চোখ সবসময় বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে হয়, এবং প্রতি মুহূর্তে চোখকে বাম থেকে ডান দিকে, আবার ডান থেকে বাম দিকে ঘোরাতে হয়। শুধু তা-ই না, চোখ যেসব দেখে, সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদও তৈরি করে নিতে হয়, এবং সেগুলো দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে, তা-ও অনুধাবন করতে হয়। আবার পাঠ্যপুস্তক পড়ার সময় বাড়তি চাপ হিসেবে যোগ হয় পঠিত বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখার চ্যালেঞ্জ। এভাবে পড়ার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশি যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তেমনই একসাথে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে মস্তিষ্কও ওঠে হাঁপিয়ে। তখন চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘুমের চেয়ে শ্রেয়তর বিশ্রাম কী হতে পারে! তাই তো ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে, এবং মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পড়ার সময় অনেকেই নিজের জন্য একটি আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করে নিতে চায়। অনেকেই হয়তো শুয়ে শুয়ে পড়ে, আবার অনেকে বিশ্রামের ভঙ্গিতে শরীর এলিয়ে দিয়ে পড়ে। তাদের কাছে মনে হয় এভাবে পড়লে পড়া সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শরীরকে যখন আরামদায়ক অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক ধরেই নেয় যে এখন সময় কেবল বিশ্রামের। অথচ তখন যদি পড়ার মতো মানসিক পরিশ্রমের একটি কাজ করতে যাওয়া হয়, তখন মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করে বসে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়।
 তথ্যসূত্র: কোরা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+15 টি ভোট
2 টি উত্তর 551 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,910 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 569 বার দেখা হয়েছে
07 নভেম্বর 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Laisaafrinlisa (140 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 268 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,461 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)

10,812 টি প্রশ্ন

18,518 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

620,319 জন সদস্য

87 জন অনলাইনে রয়েছে
27 জন সদস্য এবং 60 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Dibbo_Nath

    230 পয়েন্ট

  2. giavangol2025

    120 পয়েন্ট

  3. hailmagic4

    100 পয়েন্ট

  4. joinzipper9

    100 পয়েন্ট

  5. dreamquill91

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...