প্লাস্টিক ব্যাগের অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু তার কোনটাই খুব জনপ্রিয় নয়।
আমি ব্যাখ্যা করি, প্রচলিত প্ল্যাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হতে পারে বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক যার কথা আমার আগের লেখক বলেছেন।বানিজ্য মেলায় পাওয়া যাচ্ছে, সোনালী ব্যাগ। আরেকটি বিকল্প হচ্ছে বায়ো-প্লাস্টিক (বায়ো প্লাস্টিক আর বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক এক নয়)। যেমন হয়তো দেখেছেন, একজন আলু থেকে পলিথিন তৈরি করেছেন। এটি বায়ো-প্লাস্টিক। এর নিউজ লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
তবে আপনি যে অর্থে বলেছেন, এগুলো এখনো কার্যকর বিকল্প হয়ে উঠতে পারে নি। তার কারণ এগুলোর দাম প্রচলিত পলিথিন ব্যাগের চেয়ে বেশী। উৎপাদন না বাড়ানো পর্যন্ত এদের দাম বেশী থাকবেই। আবার ব্যবহার না বাড়লে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। এটা একটা দুষ্ট্য চক্র। প্রশ্ন হচ্ছে এই চক্র ভাঙ্গা যায় কিভাবে? এখানেই পলিসির প্রশ্ন। এই প্লাস্টিকের সাধারন মূল্যের বাইরে আর একটি মূল্য আছে। তা হচ্ছে এর পরিবেশগত মূল্য বা এনভিরনমেন্টাল ভ্যালু। যে মূল্য আমরা কেউ পকেট থেকে দিতে রাজি নই। সরকার এই টাকা দিতে পারে যেহেতু সরকার পরিবেশ রক্ষার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার ইন্সেন্টিভ হিসাবে বায়োপ্লাস্টিক বা বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক উৎপাদনকারী কারখানাকে উৎপাদন পিছু টাকা দিতে পারে। এছাড়াও এ ধরনের প্লাস্টিক প্রচলিত করার আরো কিছু রাস্তা আছে। যেমন সুপারশপ এ ধরনের ব্যাগ ব্যবহারকে ইন্সেন্টিভাইজ করা, গ্রাহককে এই ব্যাগ কিনলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেয়া ইত্যাদি। এভাবে যখন এই ব্যাগের প্রচলন বাড়বে তখন ব্যাগ এর উৎপাদন খরচ কমে যাবে। তখন সরকার সাধারন বাজারে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে সাধারন পলিথিন ব্যাগ তুলে নেয়ার জন্য। এখন মানুষ ৩ টাকা দিয়ে এই প্লাস্টিক ব্যাগ কিনবে না। কিন্তু যদি ১ টাকায় কিনতে পারে এবং প্রচলিত পলিথিন এর সাপ্লাই না থাকে তবে কিন্তু মানুষ এই ব্যাগ কিনবেই।
অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়, বিকল্প আছে কিন্তু এই বিকল্পকে কার্যকর করার কোন "ওয়ান শট" সমাধান নেই। বেশ কিছু পলিসির মিলিত চেষ্টায় এই সব বিকল্পকে কার্যকর করা যাবে।