বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে শাখায় রোবট নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা করা হয় তাই রোবটিক্স।
আসুন আগে জানি রোবট কি। রোবট হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমপন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। একে যে বুদ্ধি মত্তা দেয়া হবে সেটার মাধ্যমে সে বিভিন্ন কাজ করতে পারবে।
রোবটের ভালো দিক
রোবট যে ভবিষ্যত বিশ্বে কি অভাবনীয় বিপ্লব আনতে যাচ্ছে তা ধারণার অতীত। বর্তমানেই রোবট দিয়ে আমরা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও বিপদজনক কাজ করিয়ে নিতে পারছি। রোবটের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি দ্বিগুণ বেগে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। রোবট ড্রোন, রোবট কার ইত্যাদি যে মাইলফলক স্থাপন করছে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, দৈনন্দিন প্রযুক্তি সকল কিছুতে রোবট ইতিমধ্যেই অবদান রাখতে শুরু করেছে। রোবটের যে কত ভালো দিক রয়েছে ও আরও কত উপকারী রোবট যে তৈরি হতে যাচ্ছে এটাই মনে হয় গবেষণার বিষয়।
রোবটের খারাপ দিক
প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এই একবিংশ শতাব্দী তে বিভিন্ন প্রযুক্তি, যন্ত্র ও রোবট উদ্ভাবন হতেই আছে। ফলে এর বড় একটা কু-প্রভাব পড়ছে মানবজাতীর ওপর। প্রচুর মানুষ চাকরী ও জীবনধারণ করার উপায় হারাচ্ছে প্রযুক্তির কারণে। সেলফ ড্রাইভিং কার তৈরি করা হয়েছে, যেটা বাজারে চালু হলেই কোটি কোটি ড্রাইভার চাকরী হারাবে। ধীরে ধীরে সকল শিল্প কারখানায়, অফিসে চাকরীজীবি ও শ্রমিকদের বদলে রোবট ব্যবহার হবে। দৈনন্দিন কাজে কর্মে রোবটের প্রাধান্য পাবে। ফলে চাকরী হারাবে কোটি কোটি মানুষ।
এছাড়া, দিন দিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে উন্নতি হচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন বাকি নেই যেদিন একটা রোবটের নিজের বিচার-বুদ্ধি,আবেগ-অনুভূতি থাকবে। এটা হলে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণে মানুষেরা থাকলেও পৃথিবীর সকল কার্যক্রম চালাবে রোবটেরা। সোজা কথায়, মানবজাতির ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে।
সাইমুম সালেহীন