দীর্ঘদিন খেলে কি কি সমস্যার সৃষ্টি হয় দেখে নেয়া যাক।
উচ্চ রক্তচাপ
মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণকারী এসব ওষুধের কারসাজিতে শেষ পর্যন্ত রক্তচাপ সামলে রাখা যায় না। এগুলো খুব সহজেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে। সেরোটোনিন ও ডোপামাইনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে রক্তচাপও বেড়ে যায়। লক্ষণীয় বিষয় হলো, রক্তচাপ কমে আসার সঙ্গে বিষণ্নতার যোগসাজশ রয়েছে। তাই এসব ওষুধ খেলে অবস্থার উন্নতি ঘটে; কিন্তু ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকে না রক্তচাপ।
ইনসমনিয়া
দুঃখজনক হলেও সত্য, অসংখ্য মানুষ এসব ওষুধ খেয়ে ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত হয়। বিষণ্ন অবস্থায় ঘুমের অভাব ঘটলে অবস্থা অবনতির দিকে যায়। ফলে দুঃসহনীয় হয়ে ওঠে সব কিছু। ফলে তাদের ঘুম বিষয়ে আবার বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে হয়। ইনসমনিয়াকে বাগে আনতে আবার খেতে হয় অন্য ওষুধ।
ওজন বৃদ্ধি
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এত বেশি দেখা যায় যে অনেকেই অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট ওষুধ খাওয়া মাঝপথেই বন্ধ করে দেয়। কোনো লক্ষণ ছাড়াই আচমকা ওজন বেড়ে যাবে এই ওষুধের প্রভাবে। যারা স্থূলকায় তাদের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে।
মাইগ্রেন
মাথায় নরকযন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে এসব ওষুধ। অনেকেরই এ সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে এসএসআইআই গ্রহণে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যদি আগে থেকেই মাইগ্রেন থাকে এবং তার চিকিৎসা নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তো আগেভাগেই বিশেষজ্ঞকে তা বলতে হবে। দুই রোগের দুই ওষুধে বিশেষ এক অবস্থা দেখা দিতে পারে, যার নাম ‘সেরোটোনিন সিনড্রোম’। এর ফলে অনিদ্রা, এলোমেলো হৃৎস্পন্দন আর প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়।
আত্মহত্যার প্রবণতা
এটা এক মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এমনিতেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর বিষণ্নতার কারণে এসব ওষুধ খাওয়া হয়। আর খেলে চূড়ান্ত পর্যায়ের হতাশা গ্রাস করতে পারে অনেক সময়। তখন আত্মহত্যাপ্রবণতা দেখা দেয়। এমনটা দেখা দিলে বুঝতে হবে তা ওষুধের কারসাজি।
করণীয়
তাহলে কী করার আছে? উত্তরটা সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দ্বিধা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। তিনি আপনার ওষুধটা বদলে দিতে পারেন।
Mohi