বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক্সপায়ারি ডেটের পর কেমিক্যাল উপাদানগুলো নানাবিধ বিক্রিয়ায় অন্য উপাদান তৈরি করে। ফলে ভুল করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে গায়ে র্যাশ বের হওয়া ছাড়াও মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং পাকস্থলীর ব্যথা হওয়ার মতো অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া খুব সাধারণ বিষয়। কিডনি, হার্টেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি অন্ধ-বধির হওয়া এবং মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না!
গবেষকরা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক হলে তা তৈরি করতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে প্রয়োজনের চেয়ে কম মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে পুরোপুরি না মেরে দূর্বল করে দেবে। জীবিত ব্যাকটেরিয়াগুলো তখন সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে টিকে থাকার পদ্ধতি শিখে যাবে এবং তার সমসাময়িক ও পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাকটেরিয়াদেরও এই কৌশল শিখিয়ে যাবে।
ফলে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আপনার শরীরে পরবর্তীতে আর কার্যকরী হবে না। আবার, এসব কৌশল শিখে যাওয়া ব্যাকটেরিয়া অন্য কারো শরীরে সংক্রমণ ঘটালে তার ক্ষেত্রেও সেই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। তৈরি হবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা চরম আশঙ্কায় আছেন।