কেন অনেক বিড়াল ইঁদুর শিকার করতে চায় না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
448 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (39,270 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (39,270 পয়েন্ট)
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতীতে মানুষ ভাবতেন পশুরা হচ্ছে বর্বর এবং তাদের নিজেদের কোনো চিন্তা করার ক্ষমতা নেই। মানুষের ধারণা ছিল পশুরা পৃথিবীতে এসেছে পূর্ব নির্ধারিতভাবেই।

 

তারা নির্দিষ্টভাবেই তাদের জীবন কাটিয়ে দিবে আর পাশবিকতাই তাদের স্বভাব হবে।

ছবি-সংগৃহীতএটা স্পষ্ট যে- চেতন বা অচেতন মনে মানুষ নিজেকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই এ ধারণাকে জাগিয়ে তুলেছেন। তবে এ ধারণাগুলো জনপ্রিয় হলেও, যারা পশুদের সঙ্গে কাজ করেন বা ভালবাসেন তারা সবাই জানেন এসব মিথ্যা। বরং পশুদেরও আবেগ রয়েছে। তারাও কারণে-অকারণে শিক্ষা নিয়ে থাকে।

 

প্রায় একশ বছর আগে বিজ্ঞানীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন আসলেই পাশবিক ব্যবহার কি? আর কি শেখার আছে?

 

এ ধরনের সব গবেষণার ফল এসেছে সময়ানুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। তবে এ প্রশ্ন যখন বিড়ালের বিষয়ে উঠবে তখন অবশ্যই সাংহাইয়ের গবেষক এবং সাইকোলজিক্যাল সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক জিং ইয়াংয়ের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ তিনি এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন।

 

ছবি-সংগৃহীততিনি বলেন, প্রথম কথাই হচ্ছে স্বভাবজাতভাবেই প্রাণীদের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। বিড়ালছানারা জন্ম থেকেই শেখা শুরু করে। তারা নড়াচড়া করে, চিঁ চিঁ আওয়াজ করে, তাদের পাগুলোকে বাড়ানোর চেষ্টা করে।

 

তাদের খাওয়া আর বন্ধুত্বপূর্ণ চেটে দেয়া বাড়তে থাকে। তারা যখন চোখ খোলে তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো থেকে শিখতে থাকে। বিড়ালছানারা একে অপরকে অনুসরণ করতে থাকে আর পরিবেশ থেকেও শিক্ষা নিতে থাকে।

 

তবে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেও বিড়ালের প্রেরণা আর শিক্ষা দুটোর মধ্যে সহজে মিল পাননি। এসব উত্তর খুঁজতে ১৯২০ সাল থেকে শুরু করে দশ বছর ধরে বিড়াল নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক কুয়ো রান। তিনি বিভিন্ন পরিবেশে বিড়ালদের বড় করে তোলেন। তিনি একা বিড়াল যেমন বড় করেন, তেমনি পরিবারসহও বড় করে তোলেন। তিনি শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যে এ গবেষণা পরিচালনা করেন, ‘কারো প্রেরণা বা প্রবৃত্তি ছাড়াই কি বিড়াল ইঁদুর শিকার করে?’

 

ছবি-সংগৃহীতএ গবেষণার জন্যে এক দশক সময় লাগে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন, বিড়াল শুধুমাত্র তখনই শিকারী হয়ে উঠতে পারে যখন তার মা তাকে এ শিক্ষা দেয়। যদি বিড়ালছানার মা শিকারী না হয়, বা সেও মা ছাড়া বড় হয়, তবে দেখা যায় সেই বিড়ালছানা হয়তো ইঁদুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে। অথবা ইঁদুর দেখলেও এড়িয়ে যাবে বা তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে।

 

তুলনামূলক মনোবিজ্ঞানের জার্নালে অধ্যাপক কুয়ো ১৯৩০ সালে বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, বিড়ালছানা যেমন ইঁদুরকে হত্যা করতে পারে, তেমনি ভালবাসতে পারে, ভয়ও পেতে পারে বা খেলাও করতে পারে। এটা নির্ভর করে বিড়ালছানার জীবন ইতিহাসের ওপর। ’

 

উদাহরণ হিসেবে তিনি নিজের বাসার বিড়াল গুইডোর কথা উল্লেখ করে বলেন, গুইডো একটি ড্রেইন দুর্ঘটনায় তার পরিবারকে হারায়। এরপর উদ্ধারকারী মানুষের সঙ্গেই সে বেড়ে ওঠে। মানুষের অভিভাকত্বে বেড়ে ওঠায় সে নিজের শিকারী দক্ষতা হারিয়ে ফেলে। সে এখন শিকারের চেয়ে প্রতিবেশীর বাসায় নজর রাখা, সূর্যের আলোয় বসে থাকা এবং খেলে সময় কাটাতে পছন্দ করে।

Nishat Tasnim
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
ইঁদুর ধরতে বিড়ালের তৎপরতা থাকবে তাইতো স্বাভাবিক। সুযোগ পেলেই ইঁদুরের ঘাড় মটকে ধরবে। তবে হচ্ছে কি তাই? শহরের বাসায় যে বিড়ালছানা বেড়ে উঠছে, সে সবসময় যে পাশবিক হবে সেটা আর ভাবার সময় নেই। বরং পশুর মধ্যে যে পশুত্ব থাকবে সেটাই বা কেন?

পশুর মধ্যে পাশবিকতা নিয়ে গবেষণা করেছেন কিছু বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, পশু মানেই পাশবিক, সেই ধারণা আর ঠিক নয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতীতে মানুষ ভাবতেন পশুরা হচ্ছে বর্বর এবং তাদের নিজেদের কোনো চিন্তা করার ক্ষমতা নেই। মানুষের ধারণা ছিল পশুরা পৃথিবীতে এসেছে পূর্ব নির্ধারিতভাবেই।

তারা নির্দিষ্টভাবেই তাদের জীবন কাটিয়ে দিবে আর পাশবিকতাই তাদের স্বভাব হবে।

এটা স্পষ্ট যে- চেতন বা অচেতন মনে মানুষ নিজেকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই এ ধারণাকে জাগিয়ে তুলেছেন। তবে এ ধারণাগুলো জনপ্রিয় হলেও, যারা পশুদের সঙ্গে কাজ করেন বা ভালবাসেন তারা সবাই জানেন এসব মিথ্যা। বরং পশুদেরও আবেগ রয়েছে। তারাও কারণে-অকারণে শিক্ষা নিয়ে থাকে।

প্রায় একশ বছর আগে বিজ্ঞানীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন,আসলেই পাশবিক ব্যবহার কি? আর কি শেখার আছে?

এ ধরনের সব গবেষণার ফল এসেছে সময়ানুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। তবে এ প্রশ্ন যখন বিড়ালের বিষয়ে উঠবে তখন অবশ্যই সাংহাইয়ের গবেষক এবং সাইকোলজিক্যাল সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক জিং ইয়াংয়ের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ তিনি এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন।
 
তিনি বলেন, প্রথম কথাই হচ্ছে স্বভাবজাতভাবেই প্রাণীদের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। বিড়ালছানারা জন্ম থেকেই শেখা শুরু করে। তারা নড়াচড়া করে, চিঁ চিঁ আওয়াজ করে, তাদের পাগুলোকে বাড়ানোর চেষ্টা করে।

তাদের খাওয়া আর বন্ধুত্বপূর্ণ চেটে দেয়া বাড়তে থাকে। তারা যখন চোখ খোলে তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো থেকে শিখতে থাকে। বিড়ালছানারা একে অপরকে অনুসরণ করতে থাকে আর পরিবেশ থেকেও শিক্ষা নিতে থাকে।

তবে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেও বিড়ালের প্রেরণা আর শিক্ষা দুটোর মধ্যে সহজে মিল পাননি।

এসব উত্তর খুঁজতে ১৯২০ সাল থেকে শুরু করে দশ বছর ধরে বিড়াল নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক কুয়ো রান। তিনি বিভিন্ন পরিবেশে বিড়ালদের বড় করে তোলেন। তিনি একা বিড়াল যেমন বড় করেন, তেমনি পরিবারসহও বড় করে তোলেন। তিনি শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যে এ গবেষণা পরিচালনা করেন, কারো প্রেরণা বা প্রবৃত্তি ছাড়াই কি বিড়াল ইঁদুর শিকার করে?

এ গবেষণার জন্যে এক দশক সময় লাগে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন, বিড়াল শুধুমাত্র তখনই শিকারী হয়ে উঠতে পারে যখন তার মা তাকে এ শিক্ষা দেয়। যদি বিড়ালছানার মা শিকারী না হয়, বা সেও মা ছাড়া বড় হয়, তবে দেখা যায় সেই বিড়ালছানা হয়তো ইঁদুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে। অথবা ইঁদুর দেখলেও এড়িয়ে যাবে বা তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে।

তুলনামূলক মনোবিজ্ঞানের জার্নালে অধ্যাপক কুয়ো ১৯৩০ সালে বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, বিড়ালছানা যেমন ইঁদুরকে হত্যা করতে পারে, তেমনি ভালবাসতে পারে, ভয়ও পেতে পারে বা খেলাও করতে পারে। এটা নির্ভর করে বিড়ালছানার জীবন ইতিহাসের ওপর।

উদাহরণ হিসেবে তিনি নিজের বাসার বিড়াল গুইডোর কথা উল্লেখ করে বলেন, গুইডো একটি ড্রেইন দুর্ঘটনায় তার পরিবারকে হারায়। এরপর উদ্ধারকারী মানুষের সঙ্গেই সে বেড়ে ওঠে। মানুষের অভিভাকত্বে বেড়ে ওঠায় সে নিজের শিকারী দক্ষতা হারিয়ে ফেলে।

সে এখন শিকারের চেয়ে প্রতিবেশীর বাসায় নজর রাখা, সূর্যের আলোয় বসে থাকা এবং খেলে সময় কাটাতে পছন্দ করে।

বাংলাদেশ সময়:০৮১৬ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,822 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 689 বার দেখা হয়েছে
13 ডিসেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 838 বার দেখা হয়েছে
13 ডিসেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
3 টি উত্তর 647 বার দেখা হয়েছে
06 জানুয়ারি 2022 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
+6 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,851 বার দেখা হয়েছে
05 ফেব্রুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,710 পয়েন্ট)

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,811 জন সদস্য

75 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 75 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...