প্রথমেই বুঝতে হবে, বিড়াল হাজার বছর সময় থেকে পোষা প্রাণী হলেও পূর্বপুরুষদের সাথে তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও আচরণের ব্যাপক মিল রয়ে গিয়েছে। এমন একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা মাংসাশী।
কুকুর ভেজিটেরিয়ান ডায়েটে বেঁচে থাকতে পারলেও বিড়াল সেটা পারেনা। বিড়াল বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে মাংস থাকা প্রয়োজন কারণ বিড়াল Taurine উৎপাদনে অক্ষম। Taurine হচ্ছে একধরনের অ্যামাইনো এসিড। বিড়ালদের দাঁতের ক্ষতি, লোম পড়া, অন্ধত্ব ইত্যাদি প্রতিরোধে সাহায্য করে এই অ্যামাইনো এসিড। ফলে তারা প্রায়ই শিকার করার মুডে থাকে, এমনকি পেটে পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও বিড়ালকে শিকার করতে দেখা যায়। এর থেকে বুঝতে পারি, বিড়ালের জন্য খাওয়া ও শিকার দুটো আলাদা আলাদা প্রয়োজন। বিড়াল প্লেফুল স্বভাবের হয়, যেকোনো খেলনা ও চলন্ত যেকোনো কিছু দেখলে বিড়াল ট্রিগার হয়ে যায়। বিড়াল বিভিন্ন ধরনের খেলনা দিয়ে খেলতে পছন্দ করে, এগুলো তাদেরকে শিকার করার মতোই আনন্দ দেয়।
শিকার করার জন্য অনেক প্রাণী থাকলেও বিড়াল বিশেষ করে ইঁদুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কারণ ইঁদুর বিড়ালের জন্য যথাযথ শিকার। ইঁদুর এলোমেলোভাবে ছুটোছুটি করে যা বিড়ালকে আকৃষ্ট করে। বিড়াল প্রাকৃতিক শিকারী, শিকার করার বৈশিষ্ট্য তারা পূর্বপুরুষ থেকে পেয়েছে।
- নিশাত তাসনিম (সাইন্স বী)