চোরাবালিতে আটকা পড়লে নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
392 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (160 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (2,350 পয়েন্ট)

সর্বপ্রথম মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।নিজেকে যথাসম্ভব হালকা করতে হবে অর্থাৎ অতিরিক্ত ওজন যেমন ব্যাগ,জ্যাকেট ইত্যাদি ফেলে দেয়া।পিছনের দিকে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করা এবং হাত চোরাবালির বাইরে রাখা।নিজেকে বাইরে টানার জন্য আশেপাশের শাখা বা অন্য কিছু আঁকড়ে ধরে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসা সম্ভব।

 

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
সাধারণভাবে আমরা চোরাবালি বলতে বুঝি- যখন বালি, কাদা বা নুড়ি গর্ভস্থ পানির প্রবাহের সান্নিধ্যে আসে, সেই বালি বা নুড়ির দানাগুলোর মধ্যে যে ঘর্ষণ শক্তি থাকে তা কম হয়ে যায়, আর সেই বালি বা মাটি ভার সহ্য করতে পারে না- একেই চোরাবালি বলে।
পানি শুধু মাটির উপরেই না মাটিন নিচেও থাকে। প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভে পানি থাকার এই ঘটনা ঘটে দুই ভাবে। ১- Flowing underground water বা spring ২- Earthquake। এই আটকে পরা পানি তার চারপাশের soil কে সিক্ত করে। এভাবে liquefied হতে হতে এক পর্যায়ে বালির অণুগুলোর মধ্যে যে friction থাকে তা কমে যায় এবং বালি পানির অণুর মত আচরণ করে। ভেজা এই বালি এক পর্যায় এমন অবস্থায় যায় যে সে কোন ভারি বস্তুর চাপ নিতে পারে না। solid water এ কিছু পরলে সাথে সাথে ডুবে যায় আর চোরাবালি তে কিছু পরলে তা ধীরে ধীরে ডুবে। মূলত এটাই বৈজ্ঞানিক ব্যাখা।

এ ধরনের ব্যাপার আমরা সমুদ্র সৈকতে দেখতে পাই। সমুদ্রধারের বালিতে যদি কেও দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে খানিকক্ষণ পর দেখা যাবে যে ধীরে ধীরে তার পা বালির ভেতর বসে যাচ্ছে। এটাও এক ধরনের ছোটখাটো চোরাবালি। তবে এ ধরনের চোরাবালির গভীরতা মাত্র কয়েক ইঞ্চি হয়। তাই সেসব স্থানে শুধু আমাদের পায়ের পাতা ডোবে। তবে যে সব স্থানে এর গভীরতা বেশি সেসব স্থান খুবই ভয়ংকর।

চোরাবালি পানি ও তরল কাদা মিশ্রিত এমনই একটি গর্ত, এর ফাঁদে একবার পা দিলে আর নিস্তার নেই। আস্তে আস্তে ডুবে যেতে হয় বালির ভেতর। যত নড়া যায় ততই ডুবে যেতে থাকে শরীর। সাধারণত নদী বা সমুদ্রতীরে কাদা মিশ্রিত বালির ভেতরে লুকানো অবস্থায় থাকে চোরাবালি। কোনও মানুষ যদি সেই গর্তের ধারে-কাছে যায়, তাহলে শরীরের চাপে ওই বালি ক্রমে সরে যেতে থাকে। ফলে মানুষ শত চেষ্টা করেও আর ওপরে উঠে আসতে পারে না। চোরাবালিতে পড়ার পর সেখান থেকে উঠে আসার জন্য চেষ্টা করলে শরীরের চাপে আরও দ্রুত ডুবে যেতে হয়। সময়মতো কেও এগিয়ে না এলে ওই মানুষ নিশ্চিত মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। তবে অধিকাংশ চোরাবালি সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে এটি প্রকৃতির একটি অদ্ভুত বিস্ময়।

যেসব জায়গায় পানি বেশি, সেসব জায়গায় চোরাবালি থাকার সম্ভাবনাও বেশি। যেমন জলা, নদী, খাল, সমুদ্রতীর এবং জলাভূমি। যেসব জায়গায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ থাকে সেখানে চোরাবালি থাকতে পারে বা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোনও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে।

মানুষের শরীরের ঘনত্ব 62.4 pounds প্রতি কিউবিক ফুটে। চোরাবালির ঘনত্ব পানির থেকে বেশি। অর্থাৎ মানুষ যদি পানিতে ভেসে থাকতে পারে , তাহলে চোরাবালিতেও অনায়াসে পারবে, যেহেতু চোরাবালির ঘনত্ব পানির থেকে বেশি। তাই চোরাবালিতে পড়ে গেলে একদম নড়াচড়া করা যাবে না। যত মুভমেন্ট হবে তত ডুবে যাবার আশংকা বাড়বে। চোরাবালি শুধু সমুদ্র সৈকতেই থাকে না। নদীর পাড়ে, হাওর এর আশে পাশেও থাকতে পারে।

বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।

চোরাবালি ভূবিদ্যায় অনেক অবদান রেখেছে। প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই পৃথিবীতে চোরাবালি আছে। সেই সময় যেসব জীবজন্তু চোরাবালিতে আটকা পড়ে মারা গিয়েছিল তাদের দেহবাশেষ মাটিতে পচে ফসিলে পরিণত হয়েছে। হলিউডের বিখ্যাত জুরাসিক পার্ক বা কিং কং সিনেমায় ডাইনোসরদের দেখানো হয়েছে। এসব ডাইনোসর বা অন্য জন্তুজানোয়ারদের কথা আমরা বর্তমান সময়ে এসে জানতে পেরেছি তাদের জীবাশ্ম থেকে। আর এসব জীবাশ্ম আমরা পেয়েছি সেই সময়কার পাথর থেকে। আসলে চোরাবালিতে আটকে গিয়ে এসব জীবজন্তু মাটির তলায় তলিয়ে গিয়েছিল। মাটির ভেতরে আটকে যাওয়ার দরুন, তাদের দেহবাশেষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। এই চোরাবালি কয়েক লক্ষ বছর পরে ধীরে ধীরে পাথরে পরিণত হয়।
-সংগৃহীত

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 11,597 বার দেখা হয়েছে
10 ফেব্রুয়ারি 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Annoy Debnath (2,910 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 215 বার দেখা হয়েছে
27 অক্টোবর 2021 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 461 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,921 জন সদস্য

68 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. AleidaBoyd3

    100 পয়েন্ট

  2. Hallie25A196

    100 পয়েন্ট

  3. AngelikaHobb

    100 পয়েন্ট

  4. FrancineMyri

    100 পয়েন্ট

  5. CarlosMabe5

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...