HM Jubayer Ahmed-
মানুষ বিভিন্ন অনুভূতির মিশ্রণ দিয়ে গড়া । রাগও তেমনি একপ্রকার মানবীয় অনুভূতি। আবেগ অনুভূতির উপর নিয়ন্ত্রণ খুব কম মানুষেরই থাকে। রাগ ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়, কিন্তু কখনো কখনো রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ এমনকিছু কাজ করে ফেলে যা মুহূর্তেই নষ্ট করে দেয় দুটো মানুষের সুন্দর সম্পর্ককে । এর ফলে অনেক সর্বনাশা দুর্ঘটনাও ঘটে যায় । মাত্রাতিরিক্ত রাগ শুধু সুন্দর সম্পর্ককেই নষ্ট করে না এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে । যেমন –
ব্লাড প্রেসার, মেন্টাল ডিসওর্ডার, ADHD ইত্যাদি। সুতরাং সবধরনের ক্রোধকে বা রাগকে নিয়ন্ত্রন করা দরকার ।
রাগের কারনগুলি কী কী হতে পারে ? রাগ করলে যতটা না অন্যের ক্ষতি করে তারচেয়ে অধিক ক্ষতি হয় আমাদের নিজেদের । রাগের কারনে আমরা শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবেই ধ্বংস হতে থাকি । তার প্রভাব পড়ে আমাদের কর্মজীবনে তথা পারিবারিক জীবনে। আমার মতে, রাগ দুটো ফর্মে প্রকট হয়ে থাকে ।
I) ফিজিক্যাল অ্যাঙ্গার ।
II) সাইকোলজিক্যাল অ্যাঙ্গার ।
যদিও রাগকে এইভাবে ভাগ করা হয় নি , বিষয়টি বোঝানোর জন্য আমি এভাবে বিশ্লেষণ করেছি , এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা ।
ফিজিক্যাল অ্যাঙ্গার :-
রাগের বহিঃপ্রকাশের কারন যখন শারীরিক কোনো কষ্ট বা যন্ত্রণার অনুভূতি থেকে হয় তখন তাকে ফিজিক্যাল অ্যাঙ্গার হিসেবে ধরা যেতে পারে । যেমন ধরো , খুব খিদে পেয়েছে তখন হাতের কাছে খাবার না পেয়ে রাগ ওঠে যায় এবং আচরণে তার বহিঃপ্রকাশ পায় , সেটা আসলে ফিজিক্যাল অ্যাঙ্গারের বিষয় । শিশুদের ক্ষেত্রে এই ফিজিক্যাল অ্যাঙ্গার এর লক্ষণ বেশি প্রকাশ পায় । আবার এই ধরনের রাগ তাড়াতাড়ি ওঠে এবং নেমেও যায় ।
সাইকোলজিক্যাল অ্যাঙ্গার :-
যা আমাদের মানসিক কারণে হয়ে থাকে । মানসিক অসন্তুষ্টি , দীর্ঘদিনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনবরত কাজ করে চলা , আকাঙ্খার অতৃপ্তি, গ্রহনযোগ্যতা বা মান্যতার অভাবের কারনে আমাদের মধ্যে এইধরনের রাগের প্রবনতা আরও বাড়তে থাকে । এই ধরনের রাগের সাথে বোঝাপড়া করা একটু কঠিন হয়ে যায় আমাদের জীবনে । আর কখনো কখনো এটা মারাত্মক আকার ধারণ করে । সাইকোলজিক্যাল অ্যাঙ্গারের উৎস হিসেবে ধরা যেতে পারে এই নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকে –
ক। ভয়
খ। হতাশা
গ। অপরাধবোধ
ঘ। হীনমন্যতা
ঙ। অহংবোধ
চ। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন
ছ। ঈর্ষা
জ। সামাজিক মর্যাদা
ঝ। মাদকাসক্তি
ঞ। আকাঙ্ক্ষার অতৃপ্তি
ট। মতাদর্শের পার্থক্য ইত্যাদি
HM Jubayer Ahmed