বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা হত ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতায়, একদম প্রথম দিকে মানুষ ট্যালি পদ্ধতিতে গণনা করত মানে এক বলতে একটি দাগ, দুই মানে দুইটি দাগ কিন্তু এভাবে ১০০, ২০০ বা আরো বড় পরিমাণ বুঝাতে অনেক দাগ দিতে হত যা কস্টসাধ্য, তাই পরবর্তীতে বড় পরিমাণ বুঝানোর জন্য বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার শুরু হয়। ছবিতে প্রাচীন ইজিপশিয়ান দের এমন কিছু চিহ্ন দেখুন।
কিন্তু এগুলো আমাদের আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতি না বা পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি নয়, দাগ টেনে তিন বুঝালে তিনটা দাগ যেভাবেই রাখেন সেখানে তিন ই বুঝাবে, কিন্তু ১২ লিখাটায় ২ আগে নিলে ২১ মানে মান ও চেঞ্জ হয়ে গেছে এগুলো পজিশনাল নাম্বার যা আধুনিক সভ্যতায় প্রচলিত হয়।
বর্তমানে আমরা দশটি চিহ্ন ব্যাবহার করেই সকল মান প্রকাশ করি (০ থেকে ৯), নয় এর পর দশ বুঝাতে নতুন কোন চিহ্ন নেই একদম শুরুর দুটি চিহ্ন ১ এবং শূন্য পাশাপাশি বসিয়ে ১০ প্রকাশ করি।
এবার ভাবুন এমন সভ্যতা বা একটা পৃথিবী যেখানে ৭ এর পর নতুন কোন চিহ্ন বা সংখ্যা আবিষ্কৃত হয়নি, তাহলে তারা আট কিভাবে বুঝাবে? আমরা এগারো কিভাবে বুঝাই বা দশ কিভাবে বুঝাই আগে ভাবুন, ১০ লিখার সময় নতুন কোন চিহ্ন কিন্তু ব্যাবহার করছিনা, আগের ১ এবং ০ এই দুটি চিহ্ন কে পাশাপাশি বসিয়ে একটি নতুন কম্বিনেশন তৈরি করছি যা দশ হিসেবে চিনি কারণ ৯ এর পর আর নতুন চিহ্ন নেই।
তাহলে ৭ এর পর যদি নতুন চিহ্ন না থাকে সেক্ষেত্রে আট বুঝাতে প্রথম দুটি চিহ্ন বা সংখ্যাকে পাশাপাশি বসাতে হবে মানে ১ এবং ০, অর্থাৎ ১০ দ্বারা এখানে বুঝাবে আট। এরকমি একটি সংখ্যা পদ্ধতি আছে যাকে বলে অক্টাল (ইন্টারের আইসিটি বইয়ে এগুলো বিস্তারিত আছে)।
এছড়াও ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি(হেক্সাডেসিমাল) যেখানে ১৫ পর্যন্ত আলাদা চিহ্ন আছে তাই পনেরো এর পর ষোল বুঝাতে প্রথম দুটি পাশাপাশি বসায় তাই সেক্ষেত্রে ১০ দ্বারা দশ নয় ষোল প্রকাশ করে।
বাইনারী পদ্ধতিতে শুধুমাত্র ০ এবং ১ আছে, এবার ভাবুন এই পদ্ধতিতে দুই কিভাবে লিখবে? এখানে ত দুই এর জন্য আলাদা কোন চিহ্ন নেই! আমাদের দশের জন্য আলাদা চিহ্ন নেই তাই প্রথম দুটি একসাথে বসিয়ে দশ প্রকাশ করি , বাইনারী পদ্ধতিতে দুই এর জন্য কোন চিহ্ন নেই তাই সেক্ষেত্রে প্রথম দুটি মানে ১ এবং ০ পাশাপাশি বসিয়ে দুই বুঝাবে, এখানে ১০ মানে হচ্ছে দুই।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে বিশ,ত্রিশ, বত্রিশ বা অন্য পরিমাণকে কিভাবে বাইনারি বা অক্টাল বা অন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রকাশ করে? এগুলোর উপর ইন্টারের আইসিটি বইয়ে সম্পূর্ণ একটি অধ্যায় আছে।
লিখেছেন- Warman Hasbi । Science Bee