ডিওএমএস হলো ডিলেইড অনসেট মাসেল সোরনেস, যার বাংলা দাঁড়ায়, জিম বা কঠোর শারীরিক ব্যায়ামের ফলে মাংসপেশির তীব্র ব্যথা। ব্যায়াম করার পর মাংসপেশিতে একটু-আধটু ব্যথা হয়ে থাকে, যা স্বাভাবিক এবং বিশ্রামের পর এটি চলে যায়। কিন্তু ডিওএমএস ব্যায়াম করার ছয় বা সাত ঘণ্টা পর ব্যথা শুরু হয় এবং দুই থেকে তিন দিন থাকে। মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হওয়া ছাড়াও ফুলে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্ধির নড়াচড়া কমে যেতে পারে। অনেক সময় পায়ের ঊরুর, কাঁধের বা ঘাড়ের, পিঠের বা কোমরের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
যাঁরা নতুন ব্যায়াম শুরু করেছেন তাঁদের জন্য এটি খুবই কষ্টদায়ক। আর খেলোয়াড় বা অ্যাথলেটদের জন্যও যন্ত্রণাদায়ক।
কী করবেন?
ম্যাসাজ: ব্যথা শুরু হওয়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাসাজ ভালো কাজ করে। তবে অবশ্যই এক্সপার্ট ম্যাসাজ হতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেই করতে পারলে। এটাকে বলা হয় সেলফ ম্যাসাজ। তেল বা লোশন দিয়ে ব্যথার পেশিকে হালকা চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করা যায়।
ঠান্ডা বা গরম সেঁক: গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে বা বাথটাবে পুরো শরীর ১০ থেকে ১৫ মিনিট বরফে ডুবিয়ে রাখলে ব্যথার উপশম হয়। ঠান্ডার তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে।
অন্যদিকে, যেসব পেশিতে ব্যথা আছে সেখানে গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল দ্রুত হয় এবং ব্যথার উপশম হয়।
স্ট্রেচিং: স্ট্রেচিং মাংসপেশির ব্যথা দূর করতে কার্যকর। ধীরে ধীরে প্রতিটি জয়েন্টে স্ট্রেচ করতে হবে। স্ট্রেচিং করতে গিয়ে যে অবস্থানে মাংসপেশি শক্ত বা বাধা পাচ্ছে বলে মনে হয়, সেখানে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে ১০ বার করতে হবে। খু্ব জোর করে টান দেওয়া যাবে না, তাতে করে পেশি আঘাত পেতে পারে।
লেখক, ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি