নিদ্রা বিশেষজ্ঞদের মতে, বোবায় ধরা তেমন গুরুতর কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। তাই ঐ অর্থে কোনো রোগ বা রোগের আলামত বলতেও তারা চান না। তাদের মতে, বোবায় ধরা হচ্ছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থা, যেখানে আমরা ঘুম ও জাগরণের একটি মাঝামাঝি দশায় অবস্থান করি। ঘুমোনোর সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলা সহ চলনক্ষমতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে, যাতে আমরা ঘুমের মাঝে চলতে গিয়ে আঘাত না পাই। কিন্তু এমন স্থিতাবস্থার মাঝেই অনেক সময় আমরা জেগে উঠি। অর্থাৎ কখনো কখনো মস্তিষ্কের চেতন অংশের পুরোটা একত্রে কার্যকর হয় না। তখন অন্য অনুভবশক্তি সচল থাকলেও চলন ও বাকশক্তি ফিরতে একটু সময় নেয়। এর মাঝেই তৈরি হয় সাময়িক পক্ষাঘাত বা বোবায় ধরা।
ঘুম ও জাগরণের মধ্যবর্তী এ অবস্থার প্রকরণ হলো দুটি। একটি হতে পারে, যখন আপনি জাগ্রত অবস্থা থেকে ঘুমাচ্ছেন বা ঘুমাবো ঘুমাবো করছেন। অন্যটি হতে পারে যখন আপনি ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে উঠছেন বা উঠবেন। প্রথমটিকে বলা হয় প্রিডরমিটাল স্লিপ প্যারালাইসিস এবং দ্বিতীয়টিকে পোস্টডরমিটাল স্লিপ প্যারালাইসিস।
লেখক: Tariq Ul-Islam