ফেসবুকের এলগরিদমকে বলা হয়ে থাকে এডজ রেঙ্ক (Edge Rank). এই এলগরিদম মুলত তিনটা বিষয়ের উপর কাজ করে থাকে। Affinity, Weight এবং Time decay।
Affinity: এটা মুলত আপনার পোস্টের এংগেইজমেন্ট বিহেভিয়ার। আপনার পোস্টে কি পরিমান এংগেইজমেন্ট হয়। কারা করে, কারা করে না। কত ভাগ করে এবং কত ভাগ করে না। যারা এংগেইজড হয় তারা কি করে? লাইক, শেয়ার, কমেন্ট? এই ডাটা গুলোর উপর ভিত্ত করেই আপনার পোস্ট কতজনের নিউজফিডে শো হবে তা নির্ভর করে থাকে।
Weight / Type of Content: এটা মুলত আপনার পোস্টের ধরন। আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করছেন অথবা শেয়ার করছেন? টেক্সট, ছবি, ভিডিও? ফেসবুক এক এক ধরনের পোস্টকে এক এক ভাবে ট্রিট করে। যেমন বর্তমান সময়ে ভিডিও এবং ছবি নিউজফিডে বেশি শো হয়ে থাকে। আবার মোবাইল থেকে ভিজিট করলে ভিডিও বেশি শো হয়।
Time Decay: এইটা মুলত আপনার পোস্টটি কতটুকু পুরানো তার উপর নির্ভর করে। ফেসবুক মুলত মোস্ট রিসেন্ট পোস্টগুলো নিউজ ফিডে বেশি দেখায়। তাই আপনার পোস্ট মুলত যত পুরানো হতে থাকবে, আপনার রিচ তত কমতে থাকবে। তবে নিয়মিত ভাবে এংগেইজমেন্ট পেলে রিচ বেড়ে যাবে।
এখন, একটা বেপার আপনার মাথায় রাখতে হবে, আপনার পোস্টে যত বেশি এংগেইজমেন্ট হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত বাড়তে থাকবে। একই ভাবে, আপনার এঙ্গেইজমেন্ট যত কম হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত কমতে থাকবে। ধরেন আপনার পেইজে ১০,০০০ ফলোয়াড় আছে এবং কেউ আপনার কোন পোস্টে এঙ্গেইজ হয় না। তারমানে Edge Rank এলগরিদম অনুসারে আপনার পেইজের নেগেটিভ মার্কিং হবে। আপনার নতুন পোস্টগুলোর রিচ তত কমতে থাকবে। তাই আপনার কত জন ফ্যান আছে তার চাইতে আপনার কত পার্সেন্ট ফ্যান এঙ্গেইজ হয় এটা গুরুত্ব পুর্ন। যত বেশি ফ্যান এঙ্গেইজ হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত বাড়বে।