ডিস্লেক্সিয়া বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তন্মধ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্তকৃত কিছু ডিস্লেক্সিয়া হলো:
১. প্রাইমারি ডিস্লেক্সিয়া (Primary Dyslexia) : ডিস্লেক্সিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে সাধারণ। মস্তিষ্কের বামপাশের সেরেব্রাল কর্টেক্সের কোনোরূপ অকার্যকারিতা তথা ডিসফাংশনের কারণে এ ধরনের ডিস্লেক্সিয়া হতে পারে। যারা প্রাইমারি ডিস্লেক্সিয়া তে ভোগে তাদেরকে জীবনে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে যারা ইন্টারভেনশন পায় তারা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারে। তবে কয়েকজনের সারা জীবন কষ্ট করতে হয়।
২. সেকেন্ডারি ডিস্লেক্সিয়া (Secondary Dyslexia) : ফিটাস বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি হলে সেই শিশুদের মধ্যে এ ধরনের ডিস্লেক্সিয়া দেখা যায়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সেকেন্ডারি ডিস্লেক্সিয়ার অবসান ঘটে এবং ছেলে শিশুদের মধ্যে সেকেন্ডারি ডিস্লেক্সিয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
৩. ট্রমা আইকিউ ডিস্লেক্সিয়া (Trauma IQ Dyslexia) : মস্তিষ্কের যেই অংশ পড়াশোনা ও লিখালিখির সাথে সম্পৃক্ত তথা নিয়ন্ত্রণ করে সেই অংশে কোনোরূপ আঘাত (Injury) ও ট্রমার কারনে এরূপ ডিস্লেক্সিয়া হতে পারে।
অন্যান্য ডিস্লেক্সিয়াগুলো হলো :
★ ভিজ্যুয়াল ডিস্লেক্সিয়া (Visual Dyslexia) : এটি "Visual Processing Disorder" এর সাথে সম্পৃক্ত যেখানে ব্যক্তি বা শিশু ঠিকমতো দর্শন সংকেত পায় না।
★অডিটরি ডিস্লেক্সিয়া (Auditory Dyslexia) : "Visual Processing Disorder" এর মতো এটিও "Audio Processing Disorder" এর সাথে সম্পৃক্ত।
★ ডিসগ্রাফিয়া (Dysgraphia) : যখন কোনো শিশু ঠিকমতো পেন্সিল ধরে রাখতে পারে না ও লিখায় সমস্যা দেখা দেয় এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে যদি বাধার সম্মুখীন হতে হয় তবে সেটি ডিসগ্রাফিয়া হিসেবে পরিচিত।