Warman Hasbi-
পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দুই দিকে আছে দুই মেরু, উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু, এই দুই মেরু বরাবর সোজা দাগ টানলে যা হবে তাকে বলে অক্ষ রেখা, এই রেখা একদম সোজা না ২৩.৫ ডিগ্রী কাত হয়ে আছে(১ম কমেন্টের ছবিতে দেখুন), এবং এভাবে কাত হয়ে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে।
তাই বছরের অর্ধেক সময় উত্তর মেরু থাকে সূর্যের দিকে কাত হয়ে আর তখন দক্ষিন মেরু সূর্যের বিপরীত দিকে ঘুরে, ফলে বছরে ছয় মাস উত্তর মেরুতে দিন ঠিক সেই ছয় মাস দিক্ষিণ মেরুতে রাত, পরের ছয় মাস আবার এর বিপরীত।(Science Bee)
১ম কমেন্টের ছবিতে যে আর্কটিক সার্কেল নামক গোল দাগটি দেখতে পাচ্ছেন এই এরিয়ার ভেতরের স্থানগুলোতে এরকম ঘটে, ছবিটিতে উত্তর মেরু সূর্যের দিকে হেলানো, এখন কল্পনা করুন যে দেশটি ছবির উত্তর মেরুর একদম কাছে (আর্কটিক সার্কেল এর কাছাকাছি) পৃথিবী যখন ঘুরবে সেই দেশটি সূর্যের আলোবিহীন খুব অল্প সময় থাকবে ফলে সেখানে ছোট রাত এবং দীর্ঘ দিন (১ম কমেন্টের ছবির কালো দাগ দেয়া জায়গাটি দেখুন এবং অক্ষ রেখা বরাবর পৃথিবীর ঘূর্ণন কল্পনা করুন)।
‍উত্তর মেরুর কাছাকাছির দেশ নরওয়ে ১ম কমেন্টের ছবির অবস্থায় যখন থাকে তখন সেখানে ১৮ ঘন্টার বেশি সূর্যের আলো থাকে, আবার গ্রীনল্যান্ড যা প্রায় উত্তর মেরুতেই অবস্থিত এবং ছবির আর্কটিক সার্কেল এর ভেতরেই এর অবস্থান সেখানে কিছুদিন ২৪ ঘন্টাই সূর্যের আলো থাকে মানে ২৪ ঘন্টাই দিন(১ম কমেন্টের ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটি দেখুন এবং অক্ষ রেখা বরাবর পৃথিবীর ঘূর্ণন কল্পনা করুন)।
ঠিক ঐ সময় ই আবার বিপরীতে মানে দক্ষিণ মেরুর কাছের দেশগুলোতে দীর্ঘ রাত কারণ সেখানে সূর্যের আলো কম সময় পায়(১ম কমেন্টের ছবির নীল দাগ দেয়া জায়গাটি দেখুন এবং অক্ষ রেখা বরাবর পৃথিবীর ঘূর্ণন কল্পনা করুন)।(Science Bee)
এবং পৃথিবী এভাবে কাত হয়ে নিজ অক্ষে ঘুরতে থাকে যার ফলে দিন রাত হয়, এবার ভাবুন ত পৃথিবী সূর্যের বাম দিকে যখন আছে তখন উত্তর মেরু সূর্যের দিকে হেলানো কিন্তু যখন পৃথিবী সূর্যের ডান দিকে আসবে তখন কিন্তু উত্তর মেরু সূর্যের বিপরীতে হেলানো হবে আর দক্ষিণ মেরু (নিচের দিকটা) সূর্যের দিকে হেলানো হবে তাই তখন দক্ষিন মেরুর দেশগুলোয় দিন বড় অনেক।
Warman Hasbi | Science Bee-বিজ্ঞান গ্রুপ