দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয় যে, আসলেই প্রসব তারিখ কোনটা?
এক্ষেত্রে আমরা যেটা বলি, যদি তার শেষ পিরিয়ডের তারিখ ঠিক থাকে অর্থাৎ মা যদি সঠিক ভাবে বলতে পারেন, আমার অমুক মাসের অমুক তারিখে শেষ পিরিয়ড হয়েছিল এবং তার আগে নিয়মিত পিরিয়ড ছিল। পিরিয়ড অনিয়মিত ছিল না। এমনক্ষেত্রে আমরা মাসিকের তারিখটাকে ধরি। এই তারিখের সঙ্গে নয়মাস সাতদিন যোগ করে যে তারিখটা পাই, সেই তারিখটাকে তার প্রসব তারিখ হিসেবে ঠিক করি।
যদি এমন হয় কোন মায়ের পিরিয়ড অনিয়মিত ছিল, দেড়- দু`মাস পরপর পিরিয়ড হতো, কিংবা পিরিয়ড বন্ধ থাকতো, সেক্ষেত্রে সে তার শেষ পিরিয়ডের তারিখটা ভুলে গেছে বা বলতে পারছে না-এমন ক্ষেত্রে আমরা প্রসব তারিখ কীভাবে নির্ধারণ করব? এক্ষেত্রে প্রসব তারিখ নির্ধারণের সহজ উপায় হচ্ছে প্রথম তিনমাসের মধ্যে একটা আলট্রাসনোগ্রাম করা। এই আলট্রাসনোগ্রামে যে তারিখটা আসে সেই তারিখটাকে আমরা তখন ঠিক ধরি।
পরবর্তীতে গর্ভকালীন সময়ের পাঁচ বা ছ`মাসের সময় আলট্রাসনোগ্রাম করলে বা আট মাসের সময় আলট্রাসনোগ্রাম করে তখন আগের তারিখের সঙ্গে এক বা দু`সপ্তাহ এদিক সেদিক হয়। যদি দেখি প্রথম আলট্রাসনোগ্রামের তারিখের সাথে দ্বিতীয় বা তৃতীয় আলট্রাসনোগ্রামের তারিখের এক থেকে দু`সপ্তাহ এদিক সেদিক সেক্ষেত্রে আমরা প্রথম আলট্রাসনোগ্রামের তারিখটাকে সঠিক ধরে থাকি।
একজন গর্ভবতী মা প্রথম যে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিবেন তিনি প্রথম থেকেই একটা প্রসব তারিখ নির্ধারণ করে রাখবেন। ডেলিভারীর কাছাকাছি এসে কবে ডেলিভারী হবে তা নিয়ে মাকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ার মতো অবস্থা সাধারণত কখনো হয়না। এজন্য সবসময় বলি গর্ভধারন করার প্রথম তিনমাসের মধ্যে অন্তত একটা আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য। এই আলট্রাসনোগ্রামটা প্রসব তারিখ নির্ধারণে সাহায্য করে। কিন্তু যদি মাসিকের তারিখ ঠিক থাকে, নিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তাহলে শেষ মাসিকের তারিখ অনুযায়ী যে তারিখটা নির্ধারণ হবে সেটাই শতভাগ চূড়ান্ত।
©কাজী ফয়েজা