এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণাতেই মানুষের জিনের কারণেই সে অপরাধী, তা প্রমাণিত হয় নি। বিষয়টা অনেক জটিল।
জেমস ফ্যালন নামের একজন নিউরো সাইন্টিস্ট UC Irvine School of Medical এ অপরাধীদের মস্তিষ্ক নিয়ে একটি গবেষণা চালান। সেখানে তিনি অপরাধীদের মস্তিষ্কের সাথে নিজের মস্তিষ্কের মিল খুঁজে পান অথচ তিনি কোনো অপরাধী নন। আবার অপরাধীদের জিন নিয়েও তিনি গবেষণা করেন এবং একইরকমভাবে তার জিনের সাথে মিল খুঁজে পান। এই জিনের নাম MAO-A জিন বা Monoamine Oxidase A জিন যাকে মানুষ Warrior জিন নামে ডেকে থাকে। এই জিন এক ধরনের প্রোটিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে যেটা নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক ম্যাসেঞ্জারকে ব্রেকডাউন করে যেগুলো চিন্তাভাবনা ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে যেহেতু, সাধারণ মানুষ আর অপরাধীদের মস্তিষ্ক ও জিনের মধ্যে পার্থক্য করা যাচ্ছে না। তাই এটা নিশ্চিত নয় যে অপরাধীরা কি জিনগতভাবে অপরাধী না কি পরবর্তীতে তারা অপরাধী হয়ে ওঠে।