Moshiur Rahman Hridoy
খাদ্যদ্রব্য হজমের জন্য লালা (saliva) খুব প্রয়োজনীয়। এতে থাকে শতকরা ৯৮ ভাগ জল ও ২ ভাগ এনজাইম বা জৈব রাসায়নিক পদার্থ ।
আমরা যখন কোন কিছু চিবাই কিংবা চুষি তখনই লালা (saliva) তৈরি হয় । শক্ত বস্তু চিবালে অধিক লালা তৈরি হয় । সাধারনত লালা তৈরি করে থাকে লালাগ্রন্থি । এই লালাগ্রন্থির অবস্থান হচ্ছে দুই গালের ভেতর এবং মুখের ভেতরের নিম্নাংশে এবং সম্মুখ দাঁতের চোয়ালের হাঁড়ের দিক ।
সাধারনত ৩ জোড়া লালাগ্রন্থি বিদ্যমান মুখের ভেতর ।
১. প্যারোটিড গ্রন্থি - কানের হাড় ও চোয়ালের মধ্যে এর অবস্থান
২. সাবলিঙ্গুয়াল গ্রন্থি - ছোট এবং জিহ্বার নিচেই এর অবস্থান
৩. সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থি - আকারে বাদামের মতো। জিহ্বা ও চোয়ালের হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে এই গ্রন্থি অবস্থিত
উক্ত গ্রন্থিসমূহ হতে লালানালীর মধ্য দিয়ে লালা নিঃসৃত হয় । সচরাচর শরীর প্রতিদিন ২ থেকে ৪ পাইটস(pints) লালা তৈরি করতে সক্ষম । সাধারনত শেষ বিকেলের দিকে তুলনামূলক বেশি লালা তৈরি হয় এবং রাতে কম ।
[1 pints=473.176ml]
লালা মুখের খাদ্যদ্রব্যকে পিচ্ছিল করে তুলতে সাহায্য করে। এর ফলে গলনালি দিয়ে খাদ্যদ্রব্য সহজেই পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। তা ছাড়া লালা মুখের অভ্যন্তরকে ভিজে ভিজে রাখে, আর আমরা তাতে যথেষ্ট আরামবোধ করি। যদি মুখের ভিতর লালা উৎপাদন প্রক্রিয়াটির গতি ধীর হয়, তাহলে আমরা জলের প্রয়োজন অনুভব করি।