কিছু পাখি রয়েছে যাদের গলাটা আসলেই বিস্ময়করভাবে মিষ্টি। বিশেষ করে বড় আকারের পাখির চেয়ে ছোট ছোট পাখির গানের গলা বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে। এ সব পাখির কণ্ঠ কেন এত মিষ্টি হয়? পাখিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্নেল ল্যাব অব অর্নিথোলজির মার্ক ডেভোকাইটিস জানান, আসলে আমরা সুর বা ছন্দ বলতে যা বুঝি, পাখিদের গানে হয়তো তা খুঁজে পাবেন না। কিন্তু এদের অনেকের কণ্ঠের কারুকার্য মনমুগ্ধকর। এদের অনেকেই অদ্ভুত ধ্বনি সৃষ্টি করতে সক্ষম। একটি পেঁচা বা দাঁড়কাকের গলা থেকে অদ্ভুত শব্দ বেরিয়ে আসে। এদের কণ্ঠ থেকে নাট্যমঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের ৩৩টি ধ্বনি খুঁজে পাওয়া যাবে।
মার্ক আরো জানান, তবে ছোট আকারের পাখি যেগুলো আছে তাদের কণ্ঠ থেকে যে ধ্বনি বের হয় তা মানুষের কাছে সুরেলা বলে বিবেচিত হয়ে ওঠে। এসব পাখির কণ্ঠনালীর গঠন অপূর্ব সুরেলা ধ্বনি তুলতে সক্ষম। মানুষের স্বরতন্ত্রের বিশেষ সংস্করণ হিসেবে এসব পাখির স্বরতন্ত্রকে তুলনা করা যায়। বিশেষ ধাঁচের পাখির সুরেও অভিন্ন ভাব লক্ষ্য করা যায়। যত বেশি রংচঙে পাখি দেখা যায়, তাদের সুর তত বেশি দুঃখের বলে মনে হয়। নানা রংয়ের মিশেলে অদ্ভুত সুন্দের দেহের এসব পাখি কণ্ঠ থেকে সত্যিকার অর্থেই করুণ সুর ভেসে আসে। মূলত এসব পাখি তাদের গান বা ধ্বনির বৈচিত্র্য প্রকাশ করে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণের জন্যে। আবার কিছু পাখি রয়েছে যাদের একাধিক পার্টনার থাকে, তাদের কণ্ঠ ততটা পাগলাটে বলে মনে হয়। এদের গান বেশ তীক্ষ্ণ এবং কর্কশ হয়। এভাবে আমাদের কানে বিভিন্ন পাখির ধ্বনি বিভিন্নভাবে সুরেলা হয়ে ওঠে।
ক্রেডিট : কালের কণ্ঠ