খুশকি সকল ব্যাক্তিরই একটি সাধারণ সমস্যা। খুশকি বলতে মাথার ত্বকের সর্ববহিস্থ স্তর হতে উঠে আসা মৃত কোষগুলোকে বোঝানো হয়। এটি ছোঁয়াচে বা গুরুতর কোনো সমস্যা না। তবে কখনো কখনো এটি দুরারোগ্য এবং অনেকের কাছে লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুকালেই আমাদের মাথার ত্বকে ম্যালাসিজিয়া (Malassezia) নামক একটি ঈস্ট (ছত্রাক) বাসা বাঁধে। এর প্রধান খাদ্য হচ্ছে তেল। মানুষের ত্বকে সিবেসাস গ্রন্থি নামক কিছু গ্রন্থি থাকে, যা নিয়মিত তৈলাক্ত পদার্থ ক্ষরণ করে ত্বকের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে। সবচেয়ে বেশি সিবেসাস গ্রন্থি থাকে মাথায়, তাই মাথায়ই ম্যালাসিজিয়া ছত্রাক তার কলোনি স্থাপন করে।
সিবেসাস গ্রন্থির নিঃসৃত তেলে সম্পৃক্ত এবং অসম্পৃক্ত উভয় ধরণের ফ্যাটি এসিডই থাকে। ম্যালাসিজিয়া খাদ্য হিসেবে মূলত সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করে। অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড ত্বকে শোষিত হয় এবং ত্বক থেকে পানি বের করে আনে। ত্বকের উপরের স্তর তখন শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। নতুন কোষ দ্বারা ওই স্তরটি পুনর্গঠিত হয় এবং মৃত কোষগুলো খুশকি হিসেবে ঝরে পড়ে।
খুশকির জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সাধারণ শ্যাম্পু বা প্রয়োজনে ঔষধি শ্যাম্পু ব্যবহার করেই খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে কারও যদি এতে খুশকি না কমে তখন একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ক্রেডিট: তৌফিক-ই-ইলাহী