আমাদের শরীর চুলকায় কেন ? এর পিছনে কি কোন অণুজীব দায়ী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
2,375 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (65,620 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

নাহিদ মজুমদার · 

কেন শরীর চুলকায় এ নিয়ে এখনও গবেষণা চলমান। কারণগুলোকে কয়েকভাগে ভাগ করা গেলেও কি মেকানিজমে যে আসলে শরীর চুলকায় তা পুরোপুরি এখনও বোঝা যায়নি।চর্মরোগের কারণেই শরীর চুলকাবে এমনটা নয়। 

 চুলকানির কারণ: ত্বকে থাকা স্নায়ুগ্রন্থি ‘প্রুরিসেপ্টরস’ হল চুলকানি প্রধান কারণ। এই গ্রন্থিগুলো উদ্বেলিত হলে চুলকানোর প্রবল ইচ্ছা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ভূমিকা রাখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও, নিঃসরণ করে ‘হিস্টামিনস’ নামক উপাদান যা চুলকানির অনুভূতির সুত্রপাত ঘটায়, জানান নিউ ইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ মেলেনি গ্রোসম্যান। 

 শরীরের ভেতরের অংশ আর বাহ্যিক পৃথিবীর মধ্যকার সুরক্ষা দেয়াল ত্বকে কোনো ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আপনাকে জানানোর মাধ্যমটি হল এই চুলকানি। 

 জৈব রাসায়নিক উপাদান থেকে চুলকানি: ডা. গ্রোসম্যান বলেন, “অনেক সময় শরীরের অভ্যন্তরীন জৈব রাসায়নিক উপাদান চুলকানির কারণ হতে পারে। যেমন ‘ওপিওয়িডস’ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলকানি দেখা দেয়। যার কারণ হল ব্যথা আর চুলকানি এই দুটিতেই সাড়া দেয় এমন স্নায়ু। আবার বৃক্ক ও যকৃতের রোগে আক্রান্তদের মাঝেও চুলকানি দেখা দেয়, যার কারণ শরীরে অত্যধিক বিষাক্ত উপাদান। 

 মনোস্তাত্ত্বিক চুলকানি: ‘সেরোটনিন’ ও ‘নোরেপিনেফ্রিন’ নামক রাসায়নিক উপাদানের নিঃসরণের কারণে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে আরও দেখা দিতে পারে মানসিক অস্বস্তি, হতাশা ও মানসিক চাপ। ডা. চার্লস ব্যাখ্যা করেন, “বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রিয়জনের মৃত্যু ইত্যাদি শোকাবহ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এমন ব্যক্তিকে অনেকসময় চুলকানির শিকার হতে দেখা যায়। আবার অতিরিক্ত তাপ বা গরমের কারণেও চুলকানি হয়।” স্নায়বিক চুলকানি: এই ঘটনা বিরল। এক্ষেত্রে ত্বকের কোনো সমস্যাই থাকে না। তবে মস্তিষ্ক এমন সাড়া দেয় যে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে চুলকানো প্রয়োজন। মস্তিষ্কের কোনো সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। শুষ্ক-রুক্ষ ত্বক: “ময়েশ্চারাইজারের অভাবে শুষ্ক ত্বকের চুলকানি দেখা দেয়”, বলেন ডা. চার্লস। 

আবার বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ও ছত্রাক সংক্রমণেও ত্বক চুলকায়। 

যেমন: 

 * খোস-পাঁচড়া

 * আর্টিকেরিয়া 

 * বয়স্কদের ত্বকের শুষ্কজনিত চুলকানি 

 * সোরিয়াসিস আক্রান্ত স্থানে চুলকায়

 * ছত্রাক সংক্রমণ 

 * উকুন

 * লাইকেন প্লানাস  সারা গায়ে বা শুধু নির্দিষ্ট স্থানে চুলকায় 

 * অ্যাকজিমা 

 চুলকানোর সময় সন্তুষ্টির কারণ: এমনটা হওয়ার প্রধান কারণ হল, যখন আপনি চুলকাচ্ছেন তখন ওই স্থানে প্রাথমিক যে অস্বস্তি অনুভব করছিলেন তা থেকে অন্যমনষ্ক হয়ে যান নতুন সংবেদনশীলতার কারণে। 

 গ্রোসম্যান বলেন, “চুলকানোর সময় আপনি ত্বকের ভিন্ন ধরনের সংবেদনশীলতার সৃষ্টি করছেন। চুলকানোর মাত্রার উপর নির্ভর করবে ব্যথার মাত্রাও। আর সেটাই সাময়িক সময়ের জন্য প্রশান্তি দেয়। এই চুলকানোর কারণেই ওই স্থানে নতুন ক্ষত সৃষ্টি হয়, সংক্রমণ বাড়ে। আর এভাবেই যত বেশি চুলকানি ততই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।”

 করণীয়: ডা. গ্রোসম্যান বলেন, “চুলকানি প্রধান নিরাময় হল তার কারণ দূর করা। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে যেসব স্থানে বেশি চুলকানি হয় সেসব স্থানে সাবান ব্যবহার কমাতে হবে। সেই সঙ্গে ওই স্থানগুলোতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে বেশি। পোকামাকড়ের কামড়ে চুলকানির ক্ষেত্রে সবার আগে পোকামাকড় দমন করতে হবে। 

তথ্য সূত্র: https://www.jugantor.com/todays-paper/features/stay-well/260491/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘১% হাইড্রোকর্টিসোন অ্যান্টি-ইচ ক্রিম’ কিংবা ‘ক্যালামাইন লোশন’ ব্যবহার করতে হবে। অ্যালার্জিজনীত চুলকানির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ‘অ্যান্টিহিস্টামিন’ ধরনের ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।

+5 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

মেহেদি

আমাদের শরীর চুলকায় কেন? 

এর পিছনে কি কোনও অণুজীব দায়ী? 

স্ক্যাবিজ : স্ক্যাবিজ এক ধরনের চর্মরোগ, যা জীবাণু দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। এর প্রধান লক্ষণ হলো শরীরে চুলকানি হয় ও গুটি গুটি র‌্যাশ ওঠে। উপসর্গগুলো শরীরের বেশিরভাগ অংশে যেমন কব্জি, আঙুলের ভেতর বা কোমরের আশপাশে হতে পারে। রাতের বেলা এই রোগের তীব্রতা আরও বাড়ে। এই রোগ ছোঁয়াচে। 

সোরিয়াসিস : সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ। এই রোগের কারণেও চুলকানি হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো বয়সীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এটি সংক্রামক 

ফাঙ্গাল ইনফেকশন : এটি হচ্ছে একটি সংক্রামক রোগ। আমাদের আবহাওয়ায় অনেক জীবাণু বসবাস করে, যা আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে ত্বকে প্রবেশ করে। সাধারণত শরীরের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ প্রথমে আক্রান্ত হয়। এর তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা না করা হলে ক্রমশ শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তারা ঘন ঘন ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, তৈলাক্ত ত্বক, পানির সংস্পর্শে বেশিক্ষণ থাকা ইত্যাদি কারণে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। এর কারণে ত্বকে চুলকানি হয়, জ্বলুনি বা অস্বস্তি দেখা দেয়। ত্বকে ক্রমশ অস্বাভাবিক লাল আভা দেখা দেয়।

 লিভারে সমস্যা হলে :  একটি অসুস্থ লিভার শরীরের সর্বত্র চুলকানির উদ্রেক করতে পারে। যেমন যখন শরীরে জন্ডিস দেখা যায় আর সঙ্গে চুলকানি হয়, তখন বুঝবেন লিভারের সমস্যার কারণেই এটা হচ্ছে। 

কিডনির সমস্যায় : কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত তরল বের করে খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন কিডনি রক্তের পুষ্টি উপাদান ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না তখন ত্বক শুষ্ক ও ফেটে গিয়ে ত্বকে চুলকানি ও র‌্যাশ তৈরি করতে পারে। 

এগুলো ছাড়া আরও কিছু কারণে চুলকানি হতে পারে । 

যেমন 

১ঃ ত্বক খুব শুষ্ক হলে, বিশেষ করে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে গেলে 

২ঃ রক্তশূন্যতা হলে 

২ঃডায়াবেটিস থাকলে 

৩ঃ হরমোনে সমস্যা থাকলে

 ৪ঃ পানির কারণে চামড়ায় চুুলকানোর সময় বেশি বেশি হিস্টামিন নিঃসরিত হয়। ফলে আরও চুলকাতে ইচ্ছা করে। যাতে করে আরো সমস্যা হতে পারে। সুতরাং বেশি চুল্কানি থেকে বিরত থাকুন।

+5 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

Nishat Tasnim

 ত্বকে থাকা স্নায়ুগ্রন্থি ‘প্রুরিসেপ্টরস’ হল চুলকানি প্রধান কারণ। এই গ্রন্থিগুলো উদ্বেলিত হলে চুলকানোর প্রবল ইচ্ছা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ভূমিকা রাখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও, নিঃসরণ করে ‘হিস্টামিনস’ নামক উপাদান যা চুলকানির অনুভূতির সুত্রপাত ঘটায়, জানান নিউ ইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ মেলেনি গ্রোসম্যান। শরীরের ভেতরের অংশ আর বাহ্যিক পৃথিবীর মধ্যকার সুরক্ষা দেয়াল ত্বকে কোনো ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আপনাকে জানানোর মাধ্যমটি হল এই চুলকানি। 

জৈব রাসায়নিক উপাদান থেকে চুলকানিঃ- ডা. গ্রোসম্যান বলেন, “অনেক সময় শরীরের অভ্যন্তরীন জৈব রাসায়নিক উপাদান চুলকানির কারণ হতে পারে। যেমন ‘ওপিওয়িডস’ ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলকানি দেখা দেয়। যার কারণ হল ব্যথা আর চুলকানি এই দুটিতেই সাড়া দেয় এমন স্নায়ু। আবার বৃক্ক ও যকৃতের রোগে আক্রান্তদের মাঝেও চুলকানি দেখা দেয়, যার কারণ শরীরে অত্যধিক বিষাক্ত উপাদান।

 মনোস্তাত্ত্বিক চুলকানিঃ- ‘সেরোটনিন’ ও ‘নোরেপিনেফ্রিন’ নামক রাসায়নিক উপাদানের নিঃসরণের কারণে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে আরও দেখা দিতে পারে মানসিক অস্বস্তি, হতাশা ও মানসিক চাপ। 

স্নায়বিক চুলকানিঃ- এই ঘটনা বিরল। এক্ষেত্রে ত্বকের কোনো সমস্যাই থাকে না। তবে মস্তিষ্ক এমন সাড়া দেয় যে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে চুলকানো প্রয়োজন। মস্তিষ্কের কোনো সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে।

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
ত্বকে থাকা স্নায়ুগ্রন্থি ‘প্রুরিসেপ্টরস’ হল চুলকানি প্রধান কারণ। এই গ্রন্থিগুলো উদ্বেলিত হলে চুলকানোর প্রবল ইচ্ছা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ভূমিকা রাখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও, নিঃসরণ করে ‘হিস্টামিনস’ নামক উপাদান যা চুলকানির অনুভূতির সুত্রপাত ঘটায়, জানান নিউ ইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ মেলেনি গ্রোসম্যান। শরীরের ভেতরের অংশ আর বাহ্যিক পৃথিবীর মধ্যকার সুরক্ষা দেয়াল ত্বকে কোনো ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আপনাকে জানানোর মাধ্যমটি হল এই চুলকানি।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 263 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 759 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
3 টি উত্তর 5,048 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 292 বার দেখা হয়েছে
30 ডিসেম্বর 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,330 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,797 জন সদস্য

57 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 56 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  4. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  5. MariaAmandaP

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...