শীতকালে রোদে গেলে শরীর চুলকায় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
5,133 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (47,700 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (34,670 পয়েন্ট)

শীতে মানুষের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শীতকালে মানুষ মোটা কাপড় পরিধান করে। যা অনেক সময় অপরিষ্কার, অপরিছন্ন থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে থাকে ও নিজেও অপরিচ্ছন্ন থাকে তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। 

শীতকালে ত্বকের আদ্রতা শুষে নেয় শীতের বাতাস ৷এতে ত্বক খসখসে এবং শুষ্ক হয় চামড়া মরে ফেটে যায় ৷ এতে করেও চুলকানি বেড়ে যেতে পারে ৷

 

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
বাতাসে আর্দ্রতা কম। ফলে আবহাওয়া হয়ে উঠেছে শুষ্ক ও রুক্ষ। এই শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকের ওপর। ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয় শীতের বাতাস। ত্বক শুষ্ক হয়ে খসখসে ভাব হয় এবং চামড়া মরে ফেটে যায়। মাথায় খুশকির উপদ্রব বাড়ে। ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শীতের শুরু থেকেই ত্বকের যত্নে সচেতন হতে হবে। শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য দরকার ভালো ময়েশ্চারাইজার বা কোল্ড ক্রিম, গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি। শীতকালের জন্য ভালো ময়েশ্চারাইজার যা ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে কোমল ও মসৃণ রাখে।

ত্বকে তেলের প্রলেপ দিলেও ভালো হয়, তবে অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। গোসলের পর গায়ে মাখতে হবে, গোসলের আগে নয়। গোসল সারার পর তোয়ালে দিয়ে গায়ের পানি মুছে নিয়ে এরপর গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে শরীরে মেখে নিতে হবে। গোসলের সময় কিছু পানি ত্বক শুষে নেয়, এই পানিটুকু দীর্ঘ সময় ত্বকে আটকে রাখতে পারলে ত্বকের সজীবতা রক্ষা পায়। আটকে রাখার কাজটি করে এই ময়েশ্চারাইজার। গোসলের পর দেরিতে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকের শুষে নেওয়া পানিটুকু বাতাসে উড়ে যাবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও গোসলের পরই বেবি অয়েল, গ্লিসারিন বা ভেসলিন দিয়ে ম্যাসেজ করা ত্বকের জন্য উপকারী এবং আরামদায়কও বটে। শীতকালে ত্বকে অল্প সাবান ব্যবহার করা উচিত। যদি সাবান ব্যবহার করতেই হয় তবে গ্লিসারিনযুক্ত বা অধিক চর্বিযুক্ত সাবান ব্যবহার করাই উত্তম।

শীতের শুরু থেকেই রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে নিয়মিত অলিভ ওয়েল ম্যাসেজ করে নিলে ত্বক থাকবে মসৃণ ও নমনীয়। শীতকালে ঠোঁটও দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বা ঠোঁটের চামড়া উঠানো উচিত নয়। এতে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হবে। যাদের ঠোঁট ফেটে যায় বা ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে খাবার পরই ঠোঁটে লিপজেল, ভেসলিন বা গ্লিসারিন লাগাতে হবে। শীতকালে যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটে তাদের পায়ের জন্য অবশ্যই আলাদা যত্ন নিতে হবে। সপ্তাহ দুএকদিন একটি গামলায় হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে একটু শ্যাম্পু মিশিয়ে পা দুটি ভিজিয়ে রাখতে হবে আধাঘণ্টার মতো। তারপর ঘঁষে পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে ভেসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে রাখতে হবে। হাতের চামড়া ফেটে গেলে একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। রাতে ঘুমানোর আগে পা ধুয়ে-মুছে গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে তারপর মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের চামড়া নরম ও কোমল থাকবে। পায়ের গোড়ালি বেশি ফেটে গেলে এবং হাঁটাহাঁটিতেতে কষ্টকর হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়াও চুলকানির কারণ হতে পারে। ত্বকের সজীবতা ও প্রাণবন্ত ভাব ধরে রাখতে চাইলে টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। এই শীতে দেখা দেয় টাটকা শাকসবজি আর ফলমূলের সমারোহ। রেটিনল তথা ভিটামিন এ ও মিনারেলসমৃদ্ধ সবুজ সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক,মুলাশাক, মিষ্টিকুমড়া, বরবটি ইত্যাদি।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
কিছুদিন থেকে ভোরের কুয়াশাভেজা সকাল দেখে ঘুম ভাঙে দেশবাসীর। শেষ রাতের শীত শীত আবহাওয়ায় ঘুম ভাঙতেই চায় না যেন। বাতাসে আর্দ্রতা কম। ফলে আবহাওয়া হয়ে উঠেছে শুষ্ক ও রুক্ষ। এই শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকের ওপর। ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয় শীতের বাতাস। ত্বক শুষ্ক হয়ে খসখসে ভাব হয় এবং চামড়া মরে ফেটে যায়। মাথায় খুশকির উপদ্রব বাড়ে। ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শীতের শুরু থেকেই ত্বকের যত্নে সচেতন হতে হবে। শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য দরকার ভালো ময়েশ্চারাইজার বা কোল্ড ক্রিম, গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি। শীতকালের জন্য ভালো ময়েশ্চারাইজার যা ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে কোমল ও মসৃণ রাখে।

ত্বকে তেলের প্রলেপ দিলেও ভালো হয়, তবে অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। গোসলের পর গায়ে মাখতে হবে, গোসলের আগে নয়। গোসল সারার পর তোয়ালে দিয়ে গায়ের পানি মুছে নিয়ে এরপর গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে শরীরে মেখে নিতে হবে। গোসলের সময় কিছু পানি ত্বক শুষে নেয়, এই পানিটুকু দীর্ঘ সময় ত্বকে আটকে রাখতে পারলে ত্বকের সজীবতা রক্ষা পায়। আটকে রাখার কাজটি করে এই ময়েশ্চারাইজার। গোসলের পর দেরিতে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বকের শুষে নেওয়া পানিটুকু বাতাসে উড়ে যাবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও গোসলের পরই বেবি অয়েল, গ্লিসারিন বা ভেসলিন দিয়ে ম্যাসেজ করা ত্বকের জন্য উপকারী এবং আরামদায়কও বটে। শীতকালে ত্বকে অল্প সাবান ব্যবহার করা উচিত। যদি সাবান ব্যবহার করতেই হয় তবে গ্লিসারিনযুক্ত বা অধিক চর্বিযুক্ত সাবান ব্যবহার করাই উত্তম।

শীতের শুরু থেকেই রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে নিয়মিত অলিভ ওয়েল ম্যাসেজ করে নিলে ত্বক থাকবে মসৃণ ও নমনীয়। শীতকালে ঠোঁটও দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বা ঠোঁটের চামড়া উঠানো উচিত নয়। এতে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হবে। যাদের ঠোঁট ফেটে যায় বা ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে খাবার পরই ঠোঁটে লিপজেল, ভেসলিন বা গ্লিসারিন লাগাতে হবে। শীতকালে যাদের পায়ের গোড়ালি ফাটে তাদের পায়ের জন্য অবশ্যই আলাদা যত্ন নিতে হবে। সপ্তাহ দুএকদিন একটি গামলায় হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে একটু শ্যাম্পু মিশিয়ে পা দুটি ভিজিয়ে রাখতে হবে আধাঘণ্টার মতো। তারপর ঘঁষে পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে ভেসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে রাখতে হবে। হাতের চামড়া ফেটে গেলে একই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। রাতে ঘুমানোর আগে পা ধুয়ে-মুছে গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে তারপর মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের চামড়া নরম ও কোমল থাকবে। পায়ের গোড়ালি বেশি ফেটে গেলে এবং হাঁটাহাঁটিতেতে কষ্টকর হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়াও চুলকানির কারণ হতে পারে। ত্বকের সজীবতা ও প্রাণবন্ত ভাব ধরে রাখতে চাইলে টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। এই শীতে দেখা দেয় টাটকা শাকসবজি আর ফলমূলের সমারোহ। রেটিনল তথা ভিটামিন এ ও মিনারেলসমৃদ্ধ সবুজ সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক,মুলাশাক, মিষ্টিকুমড়া, বরবটি ইত্যাদি।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 268 বার দেখা হয়েছে
21 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Zubayer Mahmud (11,220 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
1 উত্তর 891 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 915 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 781 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,691 জন সদস্য

44 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 43 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...