Nishat Tasnim
প্রতিদিন কোকাকোলা পান করলে শরীরের অনেক ধরণের ক্ষতি হয়ে থাকে। এটি স্বল্পমাত্রায় পান করলে তা হয়তো আপনার শরীরের তেমন ক্ষতিসাধন করে না। তবে প্রতিদিন পান করলে তা বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করে।
যেসব ক্ষতি হতে পারে আপনারঃ-
১. ভিটামিনের স্বল্পতাঃ-
কোকে ক্যাফেইনের সাথে থাকা ফসফোরিক এসিড আমাদের শরীর থেকে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বের করে দিতে শুরু করে। কোক পান করার এক ঘণ্টা পরেই খেয়াল করে দেখবেন প্রস্রাবে চাপ তৈরি হয়। আমাদের শরীরে যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক; যেগুলো অস্থিতে থাকে সাথে সেসব পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। আর এভাবেই শুরু হয় আপনার শরীরে ভিটামিনের স্বল্পতা।
২. দাঁতে ক্ষয়ঃ-
এক বোতল কোকাকোলায় চিনি থাকে ৪৬ গ্রাম যা আপনার দৈনিক চিনির চাহিদার চেয়ে ১৬ গ্রাম বেশি। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন। কোকাকোলার উচ্চ এসিডিটি এবং চিনি দাঁতের উপর শক্ত আবরণ ও ক্ষত তৈরি করে। ভিটামিন স্বল্পতার কারণে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে ফলে দাঁতের ভেতর ও বাইরে কালো দাগ পড়তে বেশিদিন লাগবে না।
৩. মাথাব্যথাঃ-
এক বোতল কোকে এক কাপ কফির সমপরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। আর এটা যেহেতু আসক্তি তৈরি করে, আপনি ছাড়তে চাইলেও পারবেন না। নিয়মিত কোক পান করার অভ্যাস ছাড়তে চাইলেই আপনার মাথাব্যথা, বিরক্তিভাব, ক্লান্তি, এমনকি হতাশা দেখা দিতে পারে।
৪. ওজন বাড়েঃ-
কোক পান করলে আপনার শরীরে চর্বি জমতে থাকবে। আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। অন্যদিকে এটা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটায়। অস্থি ও জয়েন্টের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়।
৫. ত্বকের সমস্যাঃ-
এটা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ধূমপান করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। কোক পান করলেও ত্বকের ক্ষতি হয়। কোকাকোলাতে উচ্চ মাত্রায় থাকা চিনি ও সোডা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা দেখা দেয়। ত্বক থেকে পানি শুষে নেয় ফলে ছোট ছোট দাগ ও ভাঁজ পড়ে যায়। ফলে ত্বকের বয়স বাড়তে থাকে। চামড়া ম্লান দেখায় ও ঝুলে যায়। একজিমা, চুলকানি এবং ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িতে দেয়।
৬. হার্টের সমস্যাঃ-
কোক পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনীর দেওয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। যেমন; হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের নানা রোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক।
লেখার সূত্র: বোল্ডস্কাই