অতিরিক্ত কোকাকোলা পান করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
1,547 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,370 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (15,710 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim

প্রতিদিন কোকাকোলা পান করলে  শরীরের অনেক ধরণের ক্ষতি হয়ে থাকে। এটি স্বল্পমাত্রায় পান করলে তা হয়তো আপনার শরীরের তেমন ক্ষতিসাধন করে না। তবে প্রতিদিন পান করলে তা বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করে।

যেসব ক্ষতি হতে পারে আপনারঃ-

১. ভিটামিনের স্বল্পতাঃ-

কোকে ক্যাফেইনের সাথে থাকা ফসফোরিক এসিড আমাদের শরীর থেকে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বের করে দিতে শুরু করে। কোক পান করার এক ঘণ্টা পরেই খেয়াল করে দেখবেন প্রস্রাবে চাপ তৈরি হয়। আমাদের শরীরে যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক; যেগুলো অস্থিতে থাকে সাথে সেসব পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়। আর এভাবেই শুরু হয় আপনার শরীরে ভিটামিনের স্বল্পতা।

২. দাঁতে ক্ষয়ঃ-

এক বোতল কোকাকোলায় চিনি থাকে ৪৬ গ্রাম যা আপনার দৈনিক চিনির চাহিদার চেয়ে ১৬ গ্রাম বেশি। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৩০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন। কোকাকোলার উচ্চ এসিডিটি এবং চিনি দাঁতের উপর শক্ত আবরণ ও ক্ষত তৈরি করে। ভিটামিন স্বল্পতার কারণে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে ফলে দাঁতের ভেতর ও বাইরে কালো দাগ পড়তে বেশিদিন লাগবে না।

৩. মাথাব্যথাঃ-

এক বোতল কোকে এক কাপ কফির সমপরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। আর এটা যেহেতু আসক্তি তৈরি করে, আপনি ছাড়তে চাইলেও পারবেন না। নিয়মিত কোক পান করার অভ্যাস ছাড়তে চাইলেই আপনার মাথাব্যথা, বিরক্তিভাব, ক্লান্তি, এমনকি হতাশা দেখা দিতে পারে।

৪. ওজন বাড়েঃ-

কোক পান করলে আপনার শরীরে চর্বি জমতে থাকবে। আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। অন্যদিকে এটা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটায়। অস্থি ও জয়েন্টের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়।

৫. ত্বকের সমস্যাঃ-

এটা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ধূমপান করলে ত্বকের ক্ষতি হয়। কোক পান করলেও ত্বকের ক্ষতি হয়। কোকাকোলাতে উচ্চ মাত্রায় থাকা চিনি ও সোডা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা দেখা দেয়। ত্বক থেকে পানি শুষে নেয় ফলে ছোট ছোট দাগ ও ভাঁজ পড়ে যায়। ফলে ত্বকের বয়স বাড়তে থাকে। চামড়া ম্লান দেখায় ও ঝুলে যায়। একজিমা, চুলকানি এবং ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িতে দেয়।

৬. হার্টের সমস্যাঃ-

কোক পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনীর দেওয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। যেমন; হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের নানা রোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক।

লেখার সূত্র: বোল্ডস্কাই
+1 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
প্রচুর পরিমাণে কোকাকোলা ব্যবহারের ফলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন পাওয়া যায় যা নেতিবাচকভাবে কাজ শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এবং চিকিত্সকরা লক্ষ করেছেন যে যে সমস্ত লোকেরা 1 বা একাধিক লিটার কোলা পান করেন, রক্তচাপ বেড়ে যায়, তাদের হৃদয় আরও ঘন ঘন প্রহার শুরু করে। চিকিত্সকরা হাইপারটেনসিভ রোগীদের জন্য কোলা অপব্যবহারের পরামর্শ দেন না, পাশাপাশি যারা অ্যারিথমিয়া বা ইস্কেমিয়া পেয়েছেন তাদেরও। পর্যায়ক্রমিক (প্রতি সপ্তাহে 1 বারের বেশি নয়) 300 মিলি পরিমাণে ব্যবহারের সাথে কোকাকোলা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য কোকাকোলা বাঞ্ছনীয় নয়, কারণ এই পানীয়টি পেটের অম্লতা বাড়ায় increases এছাড়াও, ফসফরিক অ্যাসিড, যা কোলার অংশ, শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। এটি হাড়গুলিকে ভঙ্গুর, ভঙ্গুর নখ তৈরি করতে পারে, কিডনি এবং লিভারের স্বাভাবিক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় কার্বনেটেড পানীয় ব্রণর চেহারাতে অবদান রাখে, রক্ত ​​জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াটি ধীর করে দেয়।

কোকাকোলাতে ই লেভেলযুক্ত এ এসসালফাম পটাসিয়াম (ই 950) সুক্রোজের চেয়ে কয়েকশো গুণ বেশি মিষ্টি রয়েছে। এই পরিপূরকটি পানীয়টির তাকের জীবন বাড়ায়, এটি ক্যালোরিতে বেশি নয় এবং অ্যালার্জির কারণ হয় না। তবে, E950 এ মিথাইল এসটার এবং অ্যাস্পারটিক অ্যাসিড রয়েছে যা নেশা এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক মিষ্টি কার্বনেটেড পানীয়তে এসসালফেম পটাসিয়াম এষ্পার্টেম (E951) এর সাথে মিলিতভাবে ব্যবহৃত হয়। অ্যাস্পার্টেম হ'ল ফেনিল্যালাইনাইন এবং অ্যাস্পারাজিন সমন্বিত একটি সুপরিচিত সুইটেনার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এবং অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন লোকেরা E951 অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যাস্পার্টাম ক্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, পার্কিনসন রোগ এবং আলঝাইমার রোগের কোর্সকে ত্বরান্বিত করে এবং কয়েক ডজন সংখ্যক মারাত্মক রোগকে আক্রমন করে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 321 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
4 টি উত্তর 4,923 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 127 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,112 বার দেখা হয়েছে

10,744 টি প্রশ্ন

18,397 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

244,004 জন সদস্য

30 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 30 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    990 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    320 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. unfortunately

    120 পয়েন্ট

  5. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...