Nishat Tasnim-
সাধারণত বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষলোকের দাড়ি গজায়। একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর অর্থাৎ এই বয়সেই পুরুষের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যার একটি হচ্ছে দাড়ি-গোঁফ ওঠা। এক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা এন্ড্রোজেন গ্রুপের। মানুষ সহ সকল স্তন্যপায়ী,পাখি সরীসৃপ প্রাণীর শুক্রাশয়ে এটি উৎপন্ন হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় এবং নারীর ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়, যদিও স্বল্প পরিমাণ অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। এটি প্রধান পুরুষ হরমোন যা শুক্রাশয়ের লিডিগ কোষ থেকে উৎপন্ন হয়।
পুরুষের জন্য টেস্টোস্টেরন প্রজনন অঙ্গ যেমন শুক্রাশয় বর্ধনের পাশাপাশি গৌণ বৈশিষ্ট্য যেমন মাংসপেশি, শরীরের লোম বৃদ্ধি করে। পুরুষদের মাঝে টেস্টোস্টেরন বিপাক হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি।
পুরুষদের বয়ঃসন্ধিকালে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনের উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায়। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়। ফলে গ্রীষ্মকালে দাড়ি দ্রুত বাড়ে।
এই টেস্টোস্টেরন হরমোন সমস্যার কারণে আবার অনেকের প্রকৃত বয়সের পরে দাড়ি গোঁফ গজায়। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পারিবারিক বা জন্মগত কারণেও দাড়ি-গোঁফ কারো কারো কম বা দেরিতে ওঠে। তবে তা যদি অনেক বেশি দেরি হয়ে যায় তাহলে এটিকে শারীরিক সমস্যা বলে অভিহিত করা যায়। এমতাবস্থায় অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
©সংগ্রহীত