Radia Ahmed Lubna-
আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় তৈরি সব বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে কিডনির মাধ্যমেই বের হয়ে যায়। কিডনি অকার্যকর হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। কিডনি বিকল মানে আমাদের দেহের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হওয়া।
কিডনি কেন নষ্ট হয় বা সমস্যার সৃষ্টি হয়?
কিডনির অকার্যকারিতা দুই ধরনের। একটা হলো, স্বল্প সময়ে কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়া। কোনো কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ কমে গেলে, যেমন: মারাত্মক ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতায় এমন হতে পারে। এর মূলে রয়েছে সুপেয় ও নিরাপদ পানির অভাব। পানিবাহিত রোগ, যেমন: ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি হলো এ ধরনের কিডনির অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ। টাইফয়েড বা ডেঙ্গুজ্বর, অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ, ব্যথানাশকজাতীয় ওষুধ সেবনের কারণেও হঠাৎ কিডনির সমস্যা হতে পারে। গ্রামাঞ্চলে অনিরাপদ উপায়ে প্রসবের কারণে অতি রক্তক্ষরণ হয় বা বিলম্বিত প্রসবের কারণেও কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই দেখা যাচ্ছে এ সমস্যার কারণগুলো প্রায় সবই প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য প্রয়োজন একটু সচেতনতা আর সতর্কতা।আরেক ধরনের কিডনি অকার্যকারিতা হয় ধীরে ধীরে। একে বলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ এবং কিডনির নিজস্ব কিছু রোগ এমন সমস্যার জন্য প্রধানত দায়ী।
এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে, যেমনঃ
১. বারবার মূত্রনালির সংক্রমণ।
২. কিডনিতে প্রদাহ হলে।
৩. জন্মগতসমস্যা থাকলে।
৪. শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থায় সমস্যা হলে।
৫. অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
৬. ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবন করলে।
কিডনি রোগের লক্ষণ
১. অতি দ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া।
২. কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা
৩. খাবারে অরুচি হওয়া।
৪. ঘুমের সমস্যা হওয়া।
৫.রাতে বেশি বেশি প্রস্রাব ও মাংসপেশিতে টান লাগা।
৬. মুখ ও অস্থির সংযোগস্থল ফুলে যাওয়া।
৭. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ।
৮. শরীরে পানি আসা।