আমাদের নখ কাটার পর আবারো তা বড় হয়, এটা কীভাবে ঘটে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
539 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (1,290 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

4 উত্তর

+14 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
কী কাটার পর ?
+14 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন
আঙুলে পাল্প স্পেস নামে ছোট ছোট কুঠুরীর মতো রয়েছে, সবধরনের আঘাত থেকে আঙুলের অগ্রভাগে অবস্থিত এ পাল্প স্পেসটিকে রক্ষা করে থাকে নখ। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাঝে কেবল প্রাইমেট বর্গের প্রাণীদেহে নখ পাওয়া যায়। এই নখ জন্মের পর নয়, বরং মাতৃগর্ভে থাকাকালেই তৈরি হয়ে যায়। কেরাটিন জাতীয় প্রোটিন নির্মিত এই নখ শক্ত এক আবরণের মতো আবৃত করে রাখে আঙুলের অগ্রভাগকে।

 মাতৃগর্ভে একটি শিশুর বয়স যখন ২০ সপ্তাহ পূর্ণ হয়, আঙুলগুলোর অগ্রভাগে শক্ত একটি আবরণের মতো তৈরি হতে শুরু করে। মাতৃগর্ভে ২৮০ দিন পূর্ণ করে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হতে হতে সেই আবরণগুলো পরিপূর্ণ নখে পরিণত হয়।

আঙুলের গোঁড়ায়, নখ যেখানে ত্বকের সাথে মিশে গেছে, এই অংশটুকুকে বলা হয় কিউটিকল, এর ভেতরের দিকে, আঙুলের আরো গভীরে থাকে নখের মূল; একে ম্যাট্রিক্স বলা হয়। এই ম্যাট্রিক্স থেকেই অনবরত নখের সৃষ্টি হতে থাকে। নখগুলো গোড়ার দিকে যেখানে গিয়ে ত্বকে মিশেছে, সেখানে সম্পূর্ণ সাদা অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি অংশ দেখা যায়। না দেখতে পেলেও সমস্যার কিছু নেই, সাধারণত দেখা যাবার কথা নয়। বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে তাকালে হয়তো স্পষ্ট দেখা যেতে পারে। এই অংশটুকুকে বলা হয় লুনুলা, এটি ত্বকের নিচে ম্যাট্রিক্সের বাড়তি অংশ। অর্ধচন্দ্রাকৃতির হওয়ায় এর নাম হয়েছে লুনুলা।
+7 টি ভোট
করেছেন (24,330 পয়েন্ট)
আপনার প্রশ্নটি বুজতে পারছি না?
0 টি ভোট
করেছেন (4,210 পয়েন্ট)
মায়ের গর্ভে ভ্রুণের বয়স যখন মাত্র ২০ সপ্তাহ তখনই মানুষের দেখে নখ নামের এই অংশটির উৎপত্তি। আর ভূমিতে আসার সময় হাত এবং পায়ের পূর্ণতা আসে এই নখের মাধ্যমে।

মানুষের নখ মূলত তৈরি হয় শক্ত এবং মৃত এক পদার্থ দিয়ে যার নাম ক্রিয়েটিনিন। ক্রিয়েটিনিন সেই একই পদার্থ যা দিয়ে আমাদের মাথার চুল তৈরি হয়। কিন্তু নখ মূলত জীবিট কোষের মতই শক্তিশালী। মানুষের হাতের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুলের কিউটিকলের নিচে থাকা মূলের মাধ্যমে রক্ত থেকে নখে প্রতিনিয়ত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হতে থাকে।

এই পুষ্টি উপাদানের উপর ভিত্তি করেই মূলত নখের বৃদ্ধি আজীবন চলতে থাকে। এবং একারণেই নখ উঠে গেলে বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে আমাদের রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। যেহেতু ক্রিয়েটিনিন কিউটিকলের নিচে থাকা মূল থেকে নিয়মিত পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে, তাই ক্রিয়েটিনিন কে সবসময়ই এর নিচে থাকা কোষগুলোর বিভাজন এবং বৃদ্ধি জনিত কারণে সামনের দিকে একটি চাপ অনুভব করে।

মৃত কোষের উপস্থিতির কারণে সময়ের সাথে সাথে নখ আরো বেশি শক্ত হতে থাকে। সেই থাকে হতে থাকে আগের চেয়েও বড়। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মানব শরীরতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আমান্ডা মেয়ার বলেন, ম্যাট্রিক্স কোষের ক্রমাগত বিভাজনের ফলে দেহের মৃত অংশ হবার পরেও আমাদের আমাদের নখের বৃদ্ধি হতে থাকে। হাতের নখের ক্ষেত্রে প্রতিমাসে ৩ মিলিমিটার (০.১ ইঞ্চি) এবং পায়ের নখের ক্ষেত্রে ১ মিলিমিটার নখ প্রতিমাসে বৃদ্ধি পায়।

- বিজ্ঞান নিউজ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 219 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,485 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 244 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন No Name (120 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,611 জন সদস্য

51 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 51 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. CharisBarge

    100 পয়েন্ট

  5. EfrenQ954348

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...