Nishat Tasnim
হাত ও পায়ের আঙুলে সবারই নখ আছে। বিশেষ করে স্তন্যপায়ী বেশিরভাগ প্রাণীদের হাত-পায়ে নখ দেখা যায়। নখ আসলে আমাদের দেহের এক ধরনের মৃতকোষ। এই মৃতকোষ কেরাটিন নামের এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়। নখ দেখতে সাদা বর্ণের এবং পাতলা। নখ প্রতিদিন তৈরি হয়। প্রতি মাসে ১/৮ ইঞ্চি নখ বড় হয়। পায়ের নখ হাতের নখের তুলনায় ধীরে বড় হয়।
আমাদের দেহে নানা জৈবিক প্রক্রিয়ায় কেরাটিন নামের এই প্রোটিন তৈরি হয়। দেহের এসব কেরাটিন নানান রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এক সাথে হয়ে হাত বা পায়ের নখ হিসেব দেহের বাইরে বের হয়। নখের নিচের নরম ও সংবেদনশীল অংশকে রক্ষায় নখ সাহায্য করা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কাজ করে। এক হিসেবে দেখা গেছে, হাত-পায়ের নখ প্রতিবছর গড়ে দুই ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পায়। অবশ্য মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নখের বৃদ্ধিও তুলনামুলকভাবে কমে যায়। আবার পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
নখ বড় হওয়ার জন্য নখের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ হতে হবে। আর আমরা কোনো অংশ দিয়ে যত বেশী কাজ করি তত বেশী রক্তচলাচল হয়। যেহেতু পায়ের তুলনায়, হাত দিয়ে আমরা কাজ বেশী করে থাকি তাই পায়ের নখের তুলনায় হাতের নখে দ্রুত এবং বেশী রক্ত প্রবাহিত হয়! ফলে হাতের নখ পায়ের নখের তুলনায় ২/৩ গুণ বেশী দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এবং হাতের নখে কোন আঙ্গুলের নখ ধীরে পাবে তাও কিন্তু বলা আছে। এটি হচ্ছে কনিষ্ঠা আঙ্গুল কারণ এই আঙ্গুলে ও কাজের চাপ কম থাকে। মূলত এই কারণেই হাতের নখ প্রতি ৬ মাসে পরিবর্তিত হয় যেখানে পায়ের নখ প্রতি ১ বছরে।
©wiki+zaima