মূত্রের মাধ্যমে স্বাভাবিক যে পরিমান ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, এর বেশি যকৃত তৈরি করলেই রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অথবা খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিডের উৎস যেমন লাল মাংস, ক্রিম, রেড ওয়াইন ইত্যাদি গ্রহণ করলে এবং কিডনী রক্ত থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তা পরিশোধন করতে না পারলে বাতের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমার কারণেই বাত হয়ে থাকে। শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রেই বাতরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে। যেসব কারণে বাতরোগের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ডায়াবেটিস, শরীর মোটা হয়ে যাওয়া, কিডনির রোগগুলো, সিকল সেল এনিমিয়া (এক ধরনের রক্তস্বল্পতা)। নিয়মিত অ্যালকোহল পান করলে তা দেহ থেকে ইউরিক এসিড বের করে দেয়ায় বাধা দেয় এবং প্রকারান্তরে বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিছু কিছু ওষুধ যেমন—অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন ডাই-ইউরেটিকস, লিভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন ইত্যাদি অনেক সময় বাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্রেডিট: একুশে টিভি