ঘুড়িটা যখন হাত থেকে বাতাসে ছেড়ে দেয়া হয় তখন বাতাসের উর্ধ্বমুখী বল ঘুড়িকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। এক্ষেত্রে বাতাসের চাপই মূল ভুমিকা রাখে। ঘুড়ির উপর বাতাসের চাপের তারতম্যের কারণেই এই বলের সৃষ্টি হয়। ঘুড়ির আকৃতি এবং কোণের (ঘুড়ি যেভাবে বাঁকিয়ে থাকে বাতাসে, ঘুড়ি কিন্তু সোজাসুজি থাকেনা, সামান্য বেঁকে থাকে) কারণে ঘুড়ির উপরের দিকের বাতাসের বেগ নিচের তুলনায় বেশি থাকে। সুইস বিজ্ঞানী বার্নোলীর সূত্র থেকে জানা যায়, যেখানে চাপ যত বেশি সেখানে বাতাসের বেগ তত কম হবে। উল্লেখ্য, বার্নোলীর সূত্রটি ছিলো তরল পদার্থের জন্য, যা বাতাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ঘুড়ির উপরের দিকের তুলনায় নিচের দিকে বাতাসের চাপ বেশি থাকে। তাহলে, ঘুড়ির উপরের দিকে বাতাসের বেগ বেশি এবং নিচের দিকে কম। যেহেতু, সবসময় ঘুড়ির নিচের দিকে বাতাসের চাপ বেশি থাকে, এই চাপ ঘুড়িকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়।