সুইডেনের আকাশে সবুজ আভা দেখা যায় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
480 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (310 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (2,290 পয়েন্ট)
চৌম্বকীয় উত্তর মেরুতে সুইডেনের ভৌগোলিক নৈকট্যের জন্য ধন্যবাদ, দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এমন একটি অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে যেখানে সৌর কণাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের সাথে সংঘর্ষে আলোর এই রঙিন ফিতা তৈরি করে।

এই আলোগুলিকে অরোরা বলা হয়। আপনি যদি উত্তর মেরুর কাছাকাছি থাকেন তবে এটিকে অরোরা বোরিয়ালিস বা উত্তর আলো বলা হয়।

বেশিরভাগ উত্তরের আলোর রঙ সবুজ কিন্তু কখনও কখনও আপনি গোলাপী রঙের ইঙ্গিত দেখতে পাবেন এবং শক্তিশালী ডিসপ্লেতে লাল, বেগুনি এবং সাদা রঙও থাকতে পারে, যা প্রায়শই নর্দার্ন লাইট ট্রিপে অরোরা চেজারদের দ্বারা দেখা যায়। এই সমস্ত রঙের কারণ আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গঠনের মধ্যে রয়েছে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দুটি প্রাথমিক গ্যাস হল নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন, এবং এই উপাদানগুলি একটি অরোরা প্রদর্শনের সময় বিভিন্ন রং দেয়। অরোরাতে আমরা যে সবুজ দেখতে পাই তা অক্সিজেনের বৈশিষ্ট্য, যখন বেগুনি, নীল বা গোলাপী রঙের ইঙ্গিত নাইট্রোজেনের কারণে হয়।
+1 টি ভোট
করেছেন (4,570 পয়েন্ট)
সুইডেনের আকাশে সবুজ আভা সম্ভবত নর্দার্ন লাইটস বা অরোরা বোরিয়ালিস।  সুইডেনের সুদূর উত্তরে কিরুনা এবং তার আশেপাশে সেপ্টেম্বরের শুরুতে নর্দান লাইটস দেখা যায়।  উপরে গোলাপী, সবুজ এবং বেগুনি রঙের রেখাগুলি উপরে নাচলে আকাশটি জীবন্ত হয়ে ওঠে।
+1 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)

এদের বলা হয় অরোরা বা মেরুজ্যোতি

মেরু অঞ্চলে রাতের আকাশে নানা রঙের যে অপূর্ব আলো খেলা করে তাকে আরোরা বা মেরুজ্যোতি বলে। উত্তর এবং দক্ষিণ দুই মেরুতেই আরোরার দেখা মেলে। উত্তর মেরুর মেরুজ্যোতিকে বলা হয় অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দান লাইট। আর দক্ষিণ মেরুরটাকে বলা হয়, আরোরা অস্ট্রালিস বা সাউর্দান লাইট। এ চমৎকার আলো অবশ্য দিনের বেলায় দেখা যায় না। দেখা যায় শুধু রাতের আকাশে। রাতের বেলা দেখা গেলেও আরোরা মূলত সূর্যের আলো।

আসলে সূর্য থেকে আমরা আলো বা তাপ ছাড়াও আরও নানাকিছু পাই। প্রচুর পরিমাণে শক্তি (Energy) এবং ক্ষুদ্র কণা প্রতি মূহুর্তেই সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো সৌরজগতে। আসছে আমাদের পৃথিবীতেও।

কিন্তু পৃথিবীর নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র অদৃশ্য ঢালের ভূমিকা পালন করছে। আমাদের জন্য ক্ষতিকর সেই শক্তি বা তরঙ্গগুলোকে আটকে দিচ্ছে বা ফিরিয়ে দিচ্ছে আমরা কোনকিছু বোঝার আগেই!

তবে, সূর্য সবসময় একই পরিমাণে শক্তি পাঠায় না। সূর্যের বায়ুমন্ডলের অবস্থা সবসময় একরম থাকে না। সৌর বায়ু বা সোলার উইন্ডের মাঝেও ঝড়ের সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। একে বলা হয় সোলার স্ট্রম বা সৌরঝড়।সৌরঝড়ের সময় সূর্যতে করোনাল ম্যাস ইজেকশন (Coronal mass ejection) নামে একটা ব্যাপার ঘটে। এ সময় সূর্য থেকে বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রিফাইড গ্যাস। যেগুলা প্রচণ্ড বেগে মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে।যখন সৌরঝড়ের ঝাপটা আমাদের পৃথিবীতে এসে লাগে, তখন সূর্য থেকে আসা কিছু কণা এবং এনার্জি পৃথিবীর চৌম্বক বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড উপেক্ষা করে মেরু অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। এবং আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসের সাথে সেই কণাগুলো মিথস্ক্রিয়া (Interact) করে।ফলাফল আকাশে হিসেবে তৈরী হয় অনিন্দ্য সুন্দর আলোর প্রদর্শনী! আলাদা আলাদা রঙের জন্য বায়ুমন্ডলের আলাদা আলাদা গ্যাস দায়ী। যেমন, অক্সিজেন যখন সূর্য থেকে আসা কণার সাথে মিথস্ত্রিয়া (Interact) করে তখন আকাশে দেখা যায় সবুজ এবং লাল আলো। আবার নাইট্রোজেনের বেলায় এই আলোর রঙ পরিবর্তন হয়ে নীল এবং বেগুনী হয়ে যায়!

Krndrobangla

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 248 বার দেখা হয়েছে
18 এপ্রিল 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন PabonAhsanIvan (2,620 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,755 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 495 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 575 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,159 বার দেখা হয়েছে
02 সেপ্টেম্বর 2022 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Jihadul Amin (6,150 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,520 জন সদস্য

46 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 44 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...