আমাদের সবার গানের গলা ভালো না হলেও,বাথরুমে গান গাইতে সবার কমবেশি ভালোই লাগে।কারণ বাথরুমে গানের গলা অনেক শ্রুতিমধূর মনে হয়,একটা শিল্পী শিল্পী ভাব চলে আসে।
বাথরুমে গানের গলা কেন সুন্দর লাগে এর পেছনেও কিন্তু কারণ রয়েছে।
নিখুঁত অ্যাকোস্টিক তৈরি করতে অর্থাৎ গান গাওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান তৈরি করতে আপনার কয়েকটি মুখ্য উপাদান প্রয়োজন আর বাথরুমেই এ উপাদানগুলি রয়েছে।
প্রথমত, দেয়ালের উপাদান। বাথরুমের টাইলস শব্দ শোষণ করে না, তাই যখন আপনি গান করেন,তখন নিঃসৃত শব্দগুলো মিলিয়ে যাওয়ার আগে উপরে নিচে ধাক্কা খেতে থাকে এবং আমাদের আওয়াজকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে।
দ্বিতীয়ত,কনসার্ট হলের একটা নির্দিষ্ট আকার থাকে।আপনার বাজেট কম হলে বাথরুমকেই আপনি কনসার্ট হল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।কারণ কনসার্ট হলের কিছু সুবিধা এতে পাবেন,যেমনঃ আপনি শক্তিশালী আওয়াজ পাচ্ছেন,পাশাপাশি সামান্য পরিমাণ বেসও আপনার স্বরে যুক্ত করছে।
এছাড়াও, দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে শব্দগুলো প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে,শব্দগুলোকে কিছুটা ছড়িয়ে দেয়।ফলে আপনার স্বর আরও বেশি শ্রুতিমধুর এবং অর্নামেটেড মনে হয় ঠিক যেন অটো টিউনের মতো কৃত্রিম স্বর। তাই আপনার বাথরুমে গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
আর একটা প্রশ্ন থেকে যায়, আমাদের বাথরুমেই কেন গান করতে ভালো লাগে?এর একটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে,আলোচনা করছি।
বাথরুমই হচ্ছে আপনার কর্ম থেকে মুক্তির স্থান।আমরা যখন ঝর্ণা ছেড়ে দিই বা শরীরে পানি ঢালতে থাকি,তখন মনে হয় জীবনের সব হতাশা,মানসিক চাপ,বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছি, যা আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ্য এবং আনন্দিত করে তোলে।পাশাপাশি আমাদের মস্তিষ্কও ভালো অনুভূতি সৃষ্টি করে এমন হরমোন ডোপামিন নিঃসরণ করতে থাকে, যা আমাদের স্নায়ুকে প্রশান্ত করে তোলে এবং প্রফুল্লতা বাড়িয়ে দেয়।
আর আমরা এ ভালো অনুভুতিগুলোকে প্রকাশ করতে গান গাওয়া শুরু করি।আমাদের ভোকাল কর্ডগুলি খোলার ফলে স্ট্রেস হ্রাস, ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।