মহাকর্ষীয় সংকোচনের ফলে সিঙ্গুলারিটিরর ঘনত্ব অনেক বেশী হয়। বিগ ব্যাং এর সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অনেক বেশী।তাই এই সময় ব্ল্যাকহে তৈরি হওয়া সম্ভব।১৯৭১ সালে হকিং দেখান যে ব্ল্যাকহোল সূর্যের ভরের আাইতে কমও হতে পারে। বিগব্যাং এর সময় কয়েক কেজি ভর থেকে কয়েক হাজার সৌর ভরের ব্ল্যাকহোল তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে হিসাবমতে ১হাজার১১কেজির থেকে কম ভরের সব ব্ল্যাকহোল ইতিমধ্যে হকিং রেডিয়েশনে বিলীন হয়ে গেছে।
ব্ল্যাকহোলের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রকার হচ্ছে তারা থেকে বিবর্তিত ব্ল্যাকহোলেরা। যেগুলো হাইড্রোজেন ফিউশনের মধ্যেমে তৈরি হয় তাদেরকে নক্ষএ বলা হয়। অর্থ্যৎ হাইড্রোজেন হল জ্বালানি এবং হিলিয়াম হল উৎপাদক। মহাকর্ষ বলের জন্য এদের তাপমাএা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। একসময় সেগুলো নিউক্লিক ফিউশন বিক্রিয়ায় তাপমাএার জন্য পৌছাঁয়।তখন হাউড্রোজেন এবং নিউক্লিয়াস পরষ্পরের সাথে যুক্ত হতে থাকে। ফলে এদের অভ্যন্তর থেকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। তারার নিজের ভরের জন্য মহাকর্ষ বল বল কেন্দ্রের দিকে টানে। ফলে সাম্যাবস্তা পাওয়ার জন্য স্থির হারে শক্তি নির্গত করতে থাকে। এমন অবস্থায় তারাকে বলা হয় মেইন সিকুয়েন্স স্টার।
সাধারণ অবস্থায় এর ভেতরে নিউক্লিয় ফিউশন হয় না। ফলে একসময় তারা গুলো তাদের নিজেদের সব জজ্বালানি শেষ করে ফেলে। এর ফলে কোন বহির্মূখী চাপ মহাকর্ষ বলকে বাধা দিতে পারে না। তাই মহাকর্ষ তারাকে সংকুচিত করে ফেলে। ০.৫ এর তারা গুলো বামন তারতে রূপান্তরিত হয়। ০.৫-১০ সৌরভরের তারা গুলোতে বেশ তাপমাএা বেড়ে যায় এবং হিলিয়ামের ফিউশন শুরু হয়ে যায়। এদের এ সময় লাল দানবের মত দেখায়। লাল দানবে লোহা পর্যন্ত চলতে শুরু করে। এরা নিবুলা বা বামন গ্রহে পরিণত হয়। এক সময় নিউক্লিক ফিউশন চলা বন্ধ হয়ে যায় এবং সুপারনোভা বিষ্পোরণ হয়ে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সুপারনোভা বিষ্পোরণে যে অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে তার ভর যদি ১.৪ সৌরভরের চেয়ে বেশী হয় তখন তারাটির মধ্যেবর্তী ইলেক্ট্রনের ডিজেনারেসি সংকোচনে বাধা দিতে পারে না। ফলে ইলেক্ট্রন ও প্রোটনে যক্ত হয়ে নিউট্রনে পরিণত হয়। এ সময় এ তারাদের বলা হয় নিউট্রন স্টার।