সুপারবাগ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+24 টি ভোট
1,098 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (32,140 পয়েন্ট)
পূনঃরায় খোলা করেছেন

4 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (32,140 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

এরা হল ব্যাকটেরিয়া। আমাদের শরীরেই থাকে। আমাদের ভালো করে,মন্দ করে। আমাদের ভুলে এরাই হয়ে যায় সুপারবাগ।
আমরা অসুখ হলে ঔষুধ খাই। ঔষুধ না খাবার মত অবস্থাতেও ঔষুধ খাই। যদি অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক ডোজে না খাই, ডোজের চেয়ে কম খাই, তবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো শিখে ফেলে কীভাবে ঔষুধটি দ্বিতীয়বার আসলে তাকে প্রতিহত করতে হয়। মানুষ নিজের শরীরকে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলেও এই আণুবীক্ষণিক ব্যাকটেরিয়াগুলো জানে কীভাবে টিকে থাকতে হয়। কীভাবে পরবর্তী আক্রমণ প্রতিহত করতে হয়।
এরা চুপচাপ নিজের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল নিজের মত করে বদলে ফেলে। ফলে পরেরবার আরো বেশি ডোজেও ঔষুধ খেলেও তাদের মারা যায় না। হয়ে যায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী।
ব্যাপারটা এমন নয় যে একটামাত্র বা একদল ব্যাকটেরিয়া শিখে ফেলল কীভাবে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হয়। বরং তারা অন্যদেরও শিখিয়ে দেয়। কিংবা পাশের ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকেও শিখে নেয়। ফলে চেইন রিয়েকশনের মত বাকী ব্যাকটেরিয়াগুলোও হয়ে যায় অ্যান্টিবায়োটিকপ্রতিরোধী। এভাবেই তারা একটা সময় হয়ে যায় সব ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। তখন এরা হয়ে যায় ভয়ংকর। পৃথিবীর বাঘাবাঘা বিজ্ঞানী আর বটবৃক্ষের মত গবেষণা সংস্থাগুলো এই ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়ার নাম দিয়েছে- সুপারবাগ।
সুপারবাগ আপনার শরীরে আসলে কী হবে?
সামান্য কাঁটাছেড়া হলে, সামান্য জ্বর হলে, অতি সামান্য ঘা হলেও আপনি মারা যাবেন। কারণ আপনি কোন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সামান্য ব্যাকটেরিয়াগুলো মারতে পারবেন না।
আপনি কী জানেন, বাংলাদেশে অলরেডি সুপারবাগ পাওয়া যাচ্ছে?
পিজি হাসপাতালের কথা তো বললাম। কিছুদিন আগে কলিস্টিন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে রাজধানীতপিজি হাসপাতালের কথা তো বললাম। কিছুদিন আগে কলিস্টিন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে রাজধানীতপিজি হাসপাতালের কথা তো বললাম। কিছুদিন আগে কলিস্টিন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে রাজধানীতপিজি হাসপাতালের কথা তো বললাম। কিছুদিন আগে কলিস্টিন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে রাজধানীতেই।

এবারে আসি এ সপ্তাহের আলোড়ন সৃষ্টকারী প্রতিবেদন গুলো নিয়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। এই প্রতিষ্ঠানের আইসিইউতে মারা যাওয়া রোগীদের ৮০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হলো সুপারবাগ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে,এছাড়া বড় গণমাধ্যম গুলো প্রতিবেদন করেছে। বলা হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা আগেই জেনেছি সুপারবাগ হলো অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়াকে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে ঠেকানো যায় না। বিএসএমএমইউর আইসিইউতে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে এই সুপারবাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউয়ের চিকিৎসক সায়েদুর রহমানের কথায় উঠে এসেছে এই মৃত্যুঝুঁকির কথা। তাঁর মতে, ২০১৮ সালে বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ভর্তি হওয়া আনুমানিক ৯০০ রোগীর মধ্যে ৪০০ জনই মারা গেছেন। আর এর পেছনে অন্যতম বড় কারণ হলো অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার।
মানবদেহে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আবিষ্কার করা হয়েছিল অ্যান্টিবায়োটিক। চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে যুগান্তকারী হিসেবেই ধরা হয়েছিল অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কারকে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সেই অ্যান্টিবায়োটিক এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে।
দ্য টেলিগ্রাফের এই প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চের এক গবেষণার বরাত দিয়ে তাতে বলা হয়েছে, ওই জরিপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি রোগীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেছেন।
বিএসএমএমইউর মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান আহমেদ আবু সালেহ বলছেন, বাংলাদেশের সব আইসিইউতে মারা যাওয়া মোট রোগীর ৭০ শতাংশের মৃত্যুর পেছনে সুপারবাগের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। অথচ ১০ বছর আগেও পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ ছিল না। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ভবিষ্যতে ব্যবহার করার মতো কার্যকর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের হাতে নেই। বর্তমানে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এ কারণে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
চিকিৎসক সায়েদুর রহমান বলছেন, ‘নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। যেখানে সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। কেবল নিবন্ধিত হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।’
২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি! গত বছর ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও ডায়রিয়ায় মারা যাওয়া রোগীর সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি এই সংখ্যা!
অন্যদিকে মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক বানানো হয়েছিল, অতিরিক্ত লাভের আশায় সেগুলো এখন পশুপাখিদের দ্রুত বর্ধনশীল করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শহরের অর্ধেকেরও বেশি পোলট্রি মুরগির শরীরে এসব অ্যান্টিবায়োটিক ঢোকানো হচ্ছে। এই পোলট্রি মুরগি খেয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ 
মানুষও।
শুধু বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, এই ভয়াবহতা থেকে মুক্ত নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও। ২০১৭ সালের এক গবেষণা জানাচ্ছে, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ আরও অনেক দেশ সুপারবাগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
[তথ্যসহায়তায়,ছবি: অনলাইন]

Courtesy: MD Korban Ali

imageimageimage





 
0 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
সুপারবাগঃ

সুপারবাগ হচ্ছে এক ধরনে অণুজীব। যেসব ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হলে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর, তাদের সুপারবাগ বলা হয়। এরা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বলে এদের মাল্টি ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট বলা হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
ব্যাকটেরিয়াগুলো যখন অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তখন তাকে বলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এরই আরেক নাম সুপারবাগ।
এটা আসলে এক ধরনের জীবের বিবর্তন। একটি অ্যান্টিবায়োটিক যখন দিনের পর দিন ব্যবহৃত হতে থাকে, তখন প্রকৃতির নিয়মেই ব্যাকটেরিয়াগুলো নিজেদের জিনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এটি ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্বের লড়াই। একে বলে সারভাইভাল ইন্সটিংক্ট।
0 টি ভোট
করেছেন (43,940 পয়েন্ট)
বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলেছেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ-তে থাকা রোগীদের একটি বড় অংশের মৃত্যুর পেছনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যাদেরকে এই ক্ষমতার জন্য 'সুপারবাগ' হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 213 বার দেখা হয়েছে
02 নভেম্বর 2023 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন myname (120 পয়েন্ট)
+38 টি ভোট
10 টি উত্তর 71,418 বার দেখা হয়েছে
22 ফেব্রুয়ারি 2019 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sadia Chowdhury (17,750 পয়েন্ট)
+19 টি ভোট
4 টি উত্তর 13,978 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2019 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,210 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
0 টি উত্তর 59 বার দেখা হয়েছে
20 সেপ্টেম্বর 2024 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন jamescooper (230 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,477 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

281,024 জন সদস্য

76 জন অনলাইনে রয়েছে
17 জন সদস্য এবং 59 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  3. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  4. saleh

    110 পয়েন্ট

  5. paintping61

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...