ডি এন এ সংশোধন বা জিন এডিটিং নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চলছে এবং সফল ভাবে এর ব্যবহার ও হয়েছে কিন্তু যখনি এটা ল্যবরেটরির বাইরে জনসাধারণের জন্য ব্যবহারের প্রশ্ন ওঠে তখন চলে আসে নৈতিক প্রশ্ন -
১/জিন এডিং করে ভ্রুন অবস্থায় যদি শিশুর দেহের গঠনের পরিবর্তন আনি তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের উপর কেমন প্রভাব পড়বে?
২/ধনীরা জিন এডিটিং করে সুস্থ ও সবল হবে বংশগত রোগে গুলি থাকবেনা কিন্তু আর্থিক ভাবে দূর্বল গরিবদের মাঝেই জিন ঘটিত এইরোগ গুলি থেকে যাবে।
৩/এই জিন এডিটিং করে শুধু মাত্র রোগ সারানোই সম্ভব নয় এর থেকে বাচ্চার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যেমন বাচ্চা লম্বা হবে না খাটো হবে ইত্যাদি এগুলো কে ডিজাইন বেবি বলা হয় যা একদম প্রকৃতির নিয়মের বিপক্ষে।
কিন্তু এগুলোর মানে এই নয় যে জিন এডিটিং ভবিষ্যতে বহুল ব্যাবহৃত হবে না হয়তো কোনো কঠোর নিতিমালা দিয়ে শুধুমাত্র জিন ঘটিত রোগের বিরুদ্ধে এটা ব্যবহার করা পৃথিবী জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পরে।
সম্প্রতি সময়ে একজন মায়ের ভ্রুন থেকে হার্ট এ্যাটাক এর জন্য দায়ী জিন সরিয়ে দেওয়া হয় এবং এটি সফল হয় কিন্তু তবুও অনেক সমালোচনা হয় এটা নিয়ে।