যখন আমরা কোনো ব্যাপারে সত্য বলি তখনকার প্রতিক্রিয়া এবং যখন মিথ্যে বলি তার প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয়। এর ওপর আমাদের কোনো হাত নেই, আমরা না চাইতেও এই প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহ দিয়ে থাকে। যখন আমরা মিথ্যে বলি তখন আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়, রক্ত চলাচল দ্রুত হয় এবং শরীর থেকে ঘাম নিঃসৃত হতে শুরু করে। যদিও তা খুব বেশি যে তা নয়, খুব ক্ষুদ্র পরিসরে তা বের হয় যা খালি চোখে দেখা যায় না। তো এই পরীক্ষায় blood pressure, pulse, body response, sweating এবং skin conductivity একসাথে পরীক্ষা করা হয়।যেহেতু রক্ত চলাচল বেড়ে যায় তার জন্য ব্লাড প্রেসার, উত্তর দেওয়ার সময়,বাহ্যিক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা বা চেহারা কিছুটা কোঁচকাচ্ছে কিনা তার জন্য বডি রেসপন্স ও স্কিন কন্ডাক্টিভিটি টেস্ট করা হয়। দুটো আঙুলের মধ্যে কারেন্ট পাস করার একটি মাধ্যম রাখে। আমরা সকলেই জানি লবণ পানির মাধ্যমে ইলেকট্রন পাস হতে পারে। আমরা ঘামলে ও লবণ পানি বের হয়। ফলে মিথ্যা বলার সময় কারেন্ট আগের তুলনায় বেশি পরিবাহিত হয়। যখন পরীক্ষা শুরু হয় তখন কিছু সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে শুরু করে। এতে যার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তার শরীরের সাধারণ রেসপন্স কি তা বের করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে প্রশ্ন গভীরের দিকে যেতে থাকে।আর পরীক্ষক দেখতে থাকেন তার উত্তরের রেসপন্স প্রথম তার জন্য যে সাধারণ মানদন্ড পেয়েছে তার সমান আছে কিনা। যদি আগের তুলনায় বেশি থাকে তবে সে মিথ্যা বলছে।১৯০২ সালে এটি প্রথম James McKenzie আবিষ্কার করেন, যা ভালো মতো কাজ করতো না এবং ভুল উত্তর দিত। ফলে তা গ্রহণযোগ্য হয় নি। তারপর ১৯২১ সালে একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট John Larson ক্যালিফোর্নিয়াতে এটি সংস্কার করে উন্নত রূপ দেন। পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে Leonarde Keeler এটিকে পুনরায় আরো উন্নত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেন। এখন পর্যন্ত এভাবেই দিনে দিনে এটা আরো উন্নত হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার এই যে, এই মেশিন মাঝেমধ্যে ভুল তথ্যও দিয়ে থাকে। তাছাড়া খুব self-control কেউ হলে তার মিথ্যা নাও ধরা যেতে পারে।