ইয়ারফোন এত গুছিয়ে রাখার পরেও তা কিভাবে এলোমেলো হয়ে যায়? এটার পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
1,827 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+11 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
হেডফোনের তারে জট লাগে মূলত এর আকারের জন্য। আসুন, একটু পদার্থবিজ্ঞানে নিজেদের আলোকিত করি।

 পদার্থের গাঠনিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে ইয়োঙের গুণাঙ্ক (Young's Modulus) বলে একটি বিষয় আছে।
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
+1
হেডফোনের তারে জট লাগে মূলত এর আকারের জন্য।

আসুন, একটু পদার্থবিজ্ঞানে নিজেদের আলোকিত করি।

পদার্থের গাঠনিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে ইয়োঙের গুণাঙ্ক (Young's Modulus) বলে একটি বিষয় আছে। এটি নির্ধারণ করে দেয় কোন সরু লম্বা তারের গাঠনিক পরিবর্তন করতে কি পরিমান শক্তির প্রয়োজন।

সূত্রটি এরকম:

Y=stressstrain

Y=F×LA×ΔL

যেখানে,

Y = Young's modulus (ইয়োঙের গুণাঙ্ক)
F = Force (বল)
L = Initial length (প্রাথমিক দৈর্ঘ)
A = Area (ক্ষেত্রফল)
∆L = Change in length (দৈর্ঘের পরিবর্তন)
এখান থেকে বলা যায়:

Y∝LA



ইয়োঙের গুণাঙ্ক আমাদের বলে দেয় কোন একটি তার যার দৈর্ঘ এবং ব্যাসার্ধ আছে, তাদেরকে বাঁকাতে কতটা বল প্রয়োগ করতে হয়। যার দৈর্ঘ যত বেশি তাকে তত কম বল প্রয়োগ করতে হয় একই পরিমান পরিবর্তনের জন্য। যার প্রস্থ যত বেশি, তাকে তত বেশি বল প্রয়োগ করতে হয় একই পরিমান পরিবর্তনের জন্য।


হেডফোনের তার সাধারণত গোলাকার হয়। তাই ইয়োঙের গুণাঙ্ক খুব সফলভাবে প্রয়োগ করা যায় এখানে। আপনার তারটি লক্ষ্য করুন। তার যত চিকন তার তত প্যাঁচ লাগে। অথচ তারটি মোটা হলে এমনটা হতো না। আবার তারটা যত লম্বা তত জট লাগে। দৈর্ঘের দিক এখানে বিবেচনা করব না। শুধু প্রস্থ নিয়ে বলব।

হেডফোনের তার যত চিকন, এর আকারে পরিবর্তন আনতে তত কম বলের প্রয়োজন। তাই দেখা যায় সহজেই হেডফনের তারে জট বাধে। সামান্য ছুড়ে মারলেই তাই জট বাধে তারে। ওদিকে আবার আমরা কেউই মোটা মোটা তার নিয়ে ঘুরতে চাই না।


তথ্যসূত্র :bdprotidin,  research,  science research
+8 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
ইয়ারফোন ব্যবহার করলে ইয়ারফোনের তারের প্যাঁচ খোলাও আমাদের জন্য একটা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। আমরা অনেকেই তখন ভাবি, এলোমেলোভাবে রাখার কারণে এভাবে প্যাঁচ খেয়ে গেছে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন, সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার পরেও প্যাঁচ লাগে। এর কারণ উদ্ধার করতে বিজ্ঞানীরা করেছেন নানা রকম পরীক্ষা। প্রথমত তারা যে পরীক্ষা চালিয়েছেন তা হলো, তারা বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কিছু তার একটি বাক্সে রেখে ভালভাবে ঝাঁকিয়েছেন এটা দেখতে যে তাদের মধ্যে প্যাঁচ লাগে কিনা! তারা এই পরীক্ষা একবার দু’বার করেননি, করেছেন মোট ৩,৪১৫ বার!

ডোরিয়ান এম. রেমার এবং ডগলাস ই. স্মিথ; দুজন গবেষক তাদের ‘Spontaneous knotting of an agitated string’ নামক গবেষণা পত্রে, খুব কম সময়ের মধ্যে যেকোন জটিল গিঁট লাগার দুটি মূল বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেছেন। প্রথমটি হলো, ‘তারের তুলনামূলক দৈর্ঘ্য’ এবং দ্বিতীয়টি, ‘আলোড়ন সময়’। আলোড়ন বলতে এখানে ঝাঁকুনির ফলে তারগুলোর মধ্যে যে নড়াচড়ার সৃষ্টি হয় তা বুঝিয়েছেন।

তাদের মতে, তার যত বড় হবে এবং সেখানে আলোড়ন যত বেশি হবে, তত তারের নিজেদের ভেতর আপনা-আপনি গিঁট লাগার সম্ভাবনাও বাড়বে। প্যাঁচ লাগার ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে তারের গুণগত মান; যেমন তারের দৃঢ়তা এবং ব্যাসও দায়ী থাকে তবে তারের দৈর্ঘ্য এবং ঝাঁকির ফলে তাদের মাঝে সৃষ্ট আলোড়নই মূলত গিঁট লাগার পেছনে বেশি দায়ী। দুর্ভাগ্যবশত, এগুলোর খুব একটা সমাধানও নেই।

রেমার এবং স্মিথ তাদের পরীক্ষায় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের তার এবং তাদের মাঝে বিভিন্ন সময়ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে দেখেছেন। দেখা গেছে, ৪৬ সেন্টিমিটার এবং এর থেকে ছোট তারে আপনা আপনি গিঁট লাগেনি এবং লাগার সম্ভাবনাও একদম নেই। কিন্তু ৪৬ সেন্টিমিটার থেকে যত বেশি দৈর্ঘ্যের তার নেয়া হয়েছে তত তাদের মধ্যে গিঁট লাগার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। সর্বোচ্চ ২ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত তারগুলো নিজেরাই নিজেদের মধ্যে গিঁট লাগিয়েছে। ২ মিটারের বড় তারগুলো সাধারণত বেশি দৈর্ঘ্যের কারণে পকেট জুড়ে থাকে। এজন্য ঝাঁকি পেলেও নিজেদের ভেতর আলোড়িত হবার মত জায়গা পায় না,তাই এদের মধ্যে আপনাআপনি গিঁট লাগে না।

বর্তমানে প্রচলিত ইয়ারফোনগুলো যেগুলোর গড়ে দৈর্ঘ্য ১৩৯ সেন্টিমিটার তাদের নিজেদের ভেতরে প্যাঁচ লাগার সম্ভাবনা ৫০%। অর্থাৎ আপনার পকেটসমান জায়গা আছে এমন আবদ্ধ স্থানে এরকম দৈর্ঘ্যের হেডফোন রাখলে প্রতি দুইবারে অন্তত একবার সেই হেডফোনের তারে প্যাঁচ লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়।

রেমার এবং স্মিথ আরো দেখেছেন, Y আকারের ইয়ারফোনগুলোয় প্যাঁচ লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ এ ধরনের ইয়ারফোনের শুধু একটি তারের মাথা নিজের ভেতর একবার ‘ডিগবাজি’ দেয়ার মতো করে ঢুকতে পারলেই জটিল প্যাঁচের সৃষ্টি করে ফেলে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমানে প্রচলিত সব তারের ইয়ারফোনই দেখতে Y আকারের।

তারা তাদের পরীক্ষায় তারগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০ রকমের গিঁটের দেখা পেয়েছেন, যেখানে অধিকাংশ গিঁটে তারগুলো নিজেদের মধ্যেই প্রায় ৭ বার করে প্যাঁচ লাগিয়েছে।

আর তাই, ইয়ারফোনের তারে গিট লাগা মোটেই আপনার দোষ নয়!

তথ্যসূত্রঃ রোর বাংলা
0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 311 বার দেখা হয়েছে
02 মে 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন PabonAhsanIvan (2,620 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 335 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
2 টি উত্তর 313 বার দেখা হয়েছে

10,826 টি প্রশ্ন

18,533 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

771,094 জন সদস্য

110 জন অনলাইনে রয়েছে
16 জন সদস্য এবং 94 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. basketfuel12

    100 পয়েন্ট

  2. nosefarm5

    100 পয়েন্ট

  3. altocoffee2

    100 পয়েন্ট

  4. chefepoch7

    100 পয়েন্ট

  5. plowfifth3

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...