১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এল, এম, টারম্যান সর্ব প্রথম বুদ্ধি পরিমাপের গাণিতিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং বুদ্ধাংক (Intelligence Quotient বা I.Q) শব্ধটি ব্যবহার করেন। যে কোন ব্যক্তির বুদ্ধি পরিমাপের জন্য বুদ্ধাংক ব্যবহার করা হয়।
বুদ্ধাংক নির্ণয় (I.Q Test)
বুদ্ধাংক হলো মানসিক বয়স ও প্রকৃত বয়সের অনুপাত। মানসিক বয়সকে প্রকৃত বয়স দিয়ে ভাগ করে ১০০ দ্বারা গুণ করলে বুদ্ধাংক পাওয়া যায়।
সূত্রটি হল -
বুদ্ধাংক (I.Q) = (মানসিক বয়স /প্রকৃত বয়স) * ১০০
এখানে ১০০ দ্বারা গুণ করা হয় ভগ্নারংশ এড়ানোর জন্য এবং ১০০ কে ধ্রুবক হিসেবে ধরা হয়।
স্কেলঃ
বুদ্ধাংকের মাণ অনুযায়ী মানুষকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন -
যাদের বুদ্ধাংকের মান ৭০ এর নীচে তাদের বলা হয় জড় বুদ্ধিসম্পন্ন।
যাদের বুদ্ধাংকের মান ৭০ থকে ৯০ এর মধ্যে তাদের বলা হয় স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন।
যাদের বুদ্ধংকের মান ৯০ থেকে ১২০ এর মধ্যে তাদের বলা হয় স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন।
যাদের বুদ্ধাংকের মান ১২১ থেকে ১৪০ এর মধ্যে তাগের বলা হয় বেশি বুদ্ধি সম্পন্ন।
যাদের বুদ্ধাংকের মান ১৪০ এর উপরে তাদের বলা হয় জিনিয়াস/মনীষা।