বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক বস্তু বা ফসিল এর বয়স কিভাবে বের করা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
767 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+13 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
শিলা স্তরের গঠন এবং কার্বন ডেটিং এর মাধ্যমে ৷
+13 টি ভোট
করেছেন (17,760 পয়েন্ট)

কোনো প্রাণি বা গাছ মারা গেলে মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে পঁচে যায়। কিন্তু হাড় বা অন্যান্য অংশগুলো সহজে পঁচে না। দীর্ঘদিন মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকলে মাটি থেকে নানা খনিজ (যেমন ক্যালসিয়াম) প্রবেশ করে, যা এই খোলস বা হাড়গুলোকে আরো মজবুত করে তুলে যার ফলে এইসব টিকে থাকে হাজার হাজার বছর। এই হাড়গুলো তখন ফসিলে পরিণত হয়।

ফসিলের বয়স নির্ধারণে কার্বনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। একটি ফসিলে কি পরিমান কার্বন-১৪ আছে এটা নির্ণয় করতে পারলেই সেই ফসিলের বয়স সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কার্বন-১৪ হলো কার্বনের তেজষ্ক্রীয় রূপভেদ। আর ফসিল থেকেন কার্বন নির্ণয়ের এই পদ্ধতিই হলো কার্বন ডেটিং। এখন প্রশ্ন হলো কার্বন-১৪ এর এমন কি বিশেষ গুণাবলী আছে যে তা দিয়ে বয়স নির্ণয় করা যায়?

আমরা জানি যে সকল পদার্থ মূলত ৩টি মৌলিক কণা দ্বারা গঠিত – ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। একেকটি মৌলের প্রোটন, ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যা একেক রকম। আমরা প্রকৃতিতে যে কার্বনের সাথে পরিচিত তা মূলত কার্বন-১২। অর্থাৎ এই কার্বনে ৬টি প্রোটন ও ৬টি নিউট্রন থাকে। কিন্তু কার্বন-১৪ তে নিউট্রনের সংখ্যা হলো ৮টি। এই কার্বন অণুগুলোকে বলা হয় কার্বন-১৪। কার্বন-১৪ এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এরা ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাধ্যমে কার্বন-১৪ অণু থেকে প্রোটনের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে থাকে এবং একসময় কার্বন-১৪ অণু নাইট্রোজেন পরমাণুতে পরিণত হয়। অর্থাৎ কোন বস্তুতে কিছু পরিমান কার্বন-১৪ অণু থাকলে ধীরে ধীরে সেই বস্তুর কার্বন-১৪ এর পরিমাণ কমতে থাকবে।

প্রতিটি প্রাণীর শরীরেই কার্বন থাকে। প্রকৃতি থেকে উদ্ভিদ সরাসরি কার্বন -ডাই অক্সাইড গ্রহনের মাধ্যমে কার্বন গ্রহন করে আর সেই প্রাণীরা সেই উদ্ভিদ খেয়ে প্রকৃতির কার্বন গ্রহণ করে। গৃহীত এই কার্বনের বেশিরভাগ অংশই কার্বন-১২ তবে এতে কিছু পরিমান কার্বন-১৪ ও থাকে। তাই প্রাণীর ফসিলে থাকা কার্বনের মাঝে কার্বন-১৪ ও উপস্থিত থাকে। বিজ্ঞানীরা যখন কোন ফসিল পান তখন সেই ফসিলে কি পরিমান কার্বন-১২ আর কি পরিমান কার্বন-১৪ আছে তা পরীক্ষা করে বের করেন। আগে বেটা কাউন্টিংয়ের মাধ্যমেই কার্বন-১৪ এর পরিমাণ নির্ণয় করা হত। তবে বর্তমানে এক্সেলেটর মাস স্পেক্ট্রোমিটারের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ফসিলের কার্বন-১৪ ও কার্বন-১২ এর অনুপাত নির্ণয় করেন।

যেহেতু কার্বন-১৪ এর পরিমান সারাক্ষণ কমতে থাকে তাই যে ফসিলে কার্বন-১৪ এর অনুপাত কম সেই ফসিলের বয়স বেশি। কার্বন-১৪ এর অর্ধায়ু প্রায় ৫৭৩০ বছর। অর্থাৎ কিছু পরিমান কার্বন-১৪ নেওয়া হলে সেই কার্বন-১৪ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অর্ধেকে পরিনত হতে সময় নিবে প্রায় ৫৭৩০ বছর। যে সময়ে কোন তেজষ্ক্রিয় পদার্থের মোট পরমাণুর ঠিক অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের অর্ধায়ু বলে। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার বছরের পুরানো ফসিলের বয়স পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়।

তথ্যসূত্রঃ champs21
+8 টি ভোট
করেছেন (34,670 পয়েন্ট)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
1 উত্তর 361 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 1,053 বার দেখা হয়েছে
25 জুন 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sabbir Ahmed Sajid (8,670 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 377 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 866 বার দেখা হয়েছে
09 অক্টোবর 2021 "আইকিউ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tamim Hossain (12,990 পয়েন্ট)

10,857 টি প্রশ্ন

18,557 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

853,216 জন সদস্য

29 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 29 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. sanjay

    240 পয়েন্ট

  2. trendytraders

    120 পয়েন্ট

  3. ok8386blue

    100 পয়েন্ট

  4. 11Uu01org

    100 পয়েন্ট

  5. dongphuccongtybonmua

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...