যেকোন প্রাচীন পুরাতত্ত্বের বয়স নির্ণয় করা হয় আইসোটোপ এর মাধ্যমে। মমি কার্বন- 14 (¹⁴C) আইসোটোপের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। জীবন্ত প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
বাতাসের বিভিন্ন উপাদান যেমনঃ অক্সিজেন (O₂), নাইট্রোজেন (N₂) কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), জলীয় বাষ্প (H₂O), ধূলিকণা, নিষ্ক্রিয় গ্যাস ইত্যাদি পদার্থ থাকে। বাতাসে যে কার্বন ডাই অক্সাইড পাওয়া যায় সেখানে কার্বন- 12 আইসোটোপের কার্বন ডাই অক্সাইড এর সাথে কিছু carbon-14 আইসোটোপের কার্বন ডাই অক্সাইড পাওয়া যায়।
আমরা উভয় আইসোটোপের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করি। কার্বন- 14 আইসোটোপের নির্দিষ্ট অর্ধায়ু / অর্ধজীবন আছে। অর্ধায়ু বলতে কার্বন- 14 আইসোটোপ অর্ধেক ক্ষয়প্রাপ্ত হতে যে সময় লাগে তা বোঝায়। কার্বন- 14 আইসোটোপ তেজস্ক্রিয় হওয়ায় এটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। জীবিত প্রাণীর দেহে এ আইসোটোপ যতটুক ক্ষয় হয় ঠিক ততটুকু আবার সৃষ্টি হয় বলে জীবিত অবস্থায় আইসোটোপের পরিবর্তন হয় না। তবে প্রাণীটি মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথে কার্বন- 14 আইসোটোপটি ক্ষয় হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।প্রাণী মৃত অবস্থায় আইসোটোপটি সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
ক্ষয়প্রাপ্ত তেজস্ক্রিয় কার্বন- 14 আইসোটোপের পরিমাণ দেখে মৃত প্রাণীর বয়স নির্ণয় করা যায়। এভাবে মমির বয়স নির্ণয় করা হয়৷
ক্রেডিট : মিথিলা ফারজানা মেলোডি